তুমি আমাকে কিছু বলতে চেয়েছিলে, অন্যরকম কিছু;
আমার জানাই ছিলো, অন্যরকম কিছু অন্যরকম নয়।
তুমি আমাকে তোমার প্রিয় জায়গায় নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলে,
চিরে যাওয়া অতুল ভাবনা ঠেলে শেষবারের মতো তা গ্রহণ করেছিলাম।
হারানোর নিষ্ঠুর সুর যখন তোমার মাঝে খেলা করছিলো,
নির্মম বেদনা সয়ে অনেক কষ্টেও তখন আমি হেসেছিলাম।
ছিঁড়ে খুঁড়ে অনেক দূরে যখন তোমাকে দুমড়ে মুচড়ে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলাম,
জান কি তুমি; ছিন্ন ভিন্ন হয়ে অভিন্ন কষ্টে আমিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলাম।
টোলপড়া হাসিমাখা মুখটা নীল বেদনায় জমাট হয়ে গিয়েছিলো,
নিভ্রিতে শুধু বলেছিলে একটা কথা, “আমি কি এখন যাবো?”
জানতাম শেষবারের মতো বলছি, তারপরেও চেয়েছিলাম শেষ না হোক;
কী নির্লিপ্তের মতো বলেছিলাম, “যাও” ।
..........................................
সময় গড়িয়ে যায়, মেশে স্রোতের মোহনায়,
বহুকাল, বহুক্ষন কেটে যায় তার প্রতীক্ষায়!!
..........................................
তুমি আর আমার জন্য অপেক্ষায় থেকো না,
আমাকে ভালোবাসতে উন্মুখ হয়ো না,
আমাকে যদি বা কখনো দেখো, তবে ঘৃণাই না হয় দিও
আমি বুঝে নিবো, এখনো আমায় তুমিই ভালোবাসো।
প্লিজ.... আর কেঁদো না।
কান্নার নোনতা জলে অবগাহন না হয় আমিই করবো নে,
তারপরেও তুমি সুখী হও, অনেক সুখী!
তোমার সুখে যেন তোমার সখীও ঈর্ষান্বিত হয়।
এই যে সুখের পরশ পাথর তোমার শিয়রে বুলিয়ে দিলাম,
চিবুকখানি উপরে তুলে দেখ,
অনেক দূরে থাকার পরও আমি এখনও তোমার পাশে,
থাকবো সারাটা জীবন; ভাবনা করোনা তুমি।
মনে করো কষ্টমাখা দুষ্টু হাসিতে তোমাকে বিদায় দিয়েছিলাম,
বিদায় তো একটা সময় নিতেই হয়, তাই না মেয়ে?
আমি না হয় একটু আগেই নিয়েছিলাম।
আজ যে অশ্রুসজল ঝাপসা দৃষ্টিকে বড় আপন মনে হয়,
আচ্ছা, তুমি কি জানো, কান্নাজল কেন নোনা হয়?
______________নিঝুম অরণ্য