
অদ্ভুত ছোট দুটো হাত, দুটো পা, পিটপিট করা চোখের পাতায় আদো আদো কাঁপন । অপার আঁধারি
মায়া হতে একরাশ আলোর সামনে এসে পড়লো । তখনও বিস্ময় ! ঘোর কাটে না যেন । মায়ের ঊষ্ণ
ও'মে জিরিয়ে নিলো কিছুক্ষন । কি সে তার কান্না ! সজোরে জানিয়ে দিলো -"ঐ আঁধারি মায়ায় ভাল ছিলাম আমি" ।
দুপুর গড়িয়ে নামলো বিকেল । আজ সে অনেক বড় হয়ে গিয়েছে । আর অনেক নিঃসঙ্গ যেন । মাঝে মাঝে ভাবে ---
সময়ের গতিটা যদি পেছনে ফিরিয়ে দেওয়া যেত
পথ ভুলে কিংবা মনের অজান্তে
চলে যেত অনেক দূরে;
যেখানে এক নিষ্পাপ বালিকা
পাড়ার সাথীদের খুঁনসুটি আর
বোনদের আড্ডায় হেসে কুটিকুটি মধ্যদুপুরে;
জোছনা রাতে জানালা-খোলা আকাশ পেরিয়ে
চাদের বুড়ির গল্প শুনতে শুনতে ঘুম চোখে
হাতছানি দেওয়া কতদূর বহুদূর।
বইয়ের কালো অক্ষর ঘোলাটে হয়ে এলে
আম্মু বলতেন" রাত জেগে পড়তে হয় না" ।
মিষ্টি অভিমান- খুব ভাল লাগত বলেই না
নিত্য রাত জেগে পড়ত ; লক্ষ্মী মা ।
টেবিল থেকে টেনে মুখে তুলে দিত খাবার
তারপর সোজা ঘুম; আহা কোথায় হারালো সেসব??
অথবা আরও দূরে
যেখানে ছয় বছরের খুকী
আম্মুর ছায়ায় ছায়ায় , আব্বুর আদরে
পড়ুয়া ভাইয়ের সোহাগ আর
বোনদের বকার ভিড়ে ।
ভাত-ঘুমে মায়ের পাহারা
সাথীদের খেলার আহ্বান
মন আনচান --আরও কত কি !
সন্ধ্যা হামাগুড়ি দিতে দিতে রাত এনে দিল--
সেই ...সেই মেয়ে আজ
ইট -পাথর - সুরকির দেয়ালের মাঝে
রাত জাগা ঘুম চোখে শুনতে পায়
ডেকে যাওয়া রুপোলী রোদ্দুর ।
__________________পাহাড়ী
No comments:
Post a Comment