এই মেয়ে, এই মেয়ে; এই....... শোন, একটু দাড়াও।
আহা ওদিকে নয়, এদিকে নয়, কোন দিকেই নয়;
আমি বিবেক বলছি, আমায় তুমি দেখতে পারবে না।
তুমি পার্কের ঐ বেঞ্চিটার উপর বস তো,
হাত থেকে ব্যাগের বোঝাগুলো নামাও, একটু স্থির হও।
ভয় পেয়ো না, তোমার অন্য দু’প্রেমিকের মত
আমিও তোমায় ভালবাসি, খুব ভালবাসি।
তোমায় আজ পরীর মত লাগছে। কপালে কালো
একটা টিপ পড়েছ দেখছি; অদ্ভুত মানিয়েছে তো তোমায়।
আচ্ছা, তোমার কি মনে আছে তোমার প্রথম প্রেমিক
সেই কিশোরী বয়স থেকেই পরম মমতায়
তোমার চুল বেঁধে কপালে টিপ পড়িয়ে দিত।
গলা জড়িয়ে কত্ত আদর নিতে তুমি, তোমার পায়ের নূপুরের
নিক্কণ ধ্বনিতে কত্ত খুশি হত তোমার প্রথম প্রেমিক।
ক’দিন আগেও তো জ্বর বাধিয়ে বিছানায় ছিলে তুমি,
তোমার প্রথম প্রেমিকের অস্থিরতা তুমি দেখ নি?
রাত জেগে কে তোমার মাথায় জলের পট্টি দিয়েছিল?
যে প্রেমিক গত বাইশ বছর ধরে নিঃস্বার্থহীনভাবে
তোমায় ভালবেসে এসেছে।
তোমার শৈশব, তোমার কৌশর, তোমার নিষ্পাপ যৌবনে
যে প্রেমিক তোমার কপালে প্রতিদিন চুমু খেয়ে এসেছে,
তোমার সব আল্লাদ, সব আবদার যে হাসিমুখে মিটিয়েছে।
সেই বাইশ বছরের প্রেমিককে ফেলে এক বছরের
প্রেমিকের হাত ধরে তুমি পালাতে পার না। পার কি?
প্রথম প্রেমিকের চেয়ে তোমার এই নতুন প্রেমিক
তোমাকে বেশি ভালবাসতে পারবে কি?
তোমার নতুন প্রেমিকের এত্ত বড় বুক আছে কি
যেখানে একই সাথে পাবে আদর, স্নেহ, মমতা আর ভালবাসা?
মনে রেখ মেয়ে, পৃথিবীর সব পুরুষ তোমাকে ফেলে
যেতে পারে; পৃথিবীর সব পুরুষকে তুমি ঘৃণা করতে পার।
কিন্তু হাজারটা আঘাত দিলেও তোমার ঐ প্রথম প্রেমিক তোমায় ফেলে যাবে না,
উনিই একমাত্র পুরুষ যাকে তুমি ঘৃণা করতে পারবে না।
শত আঘাত, শত লাঞ্ছনা শেষে তুমি ওর বুকেই ফিরে আসতে চাইবে।
আহা কাঁদছ কেন? উঠছ কেন? উল্টো পথে চললে যে?
যাও। ফিরে যাও। আমার মনে হয় তুমি ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছো।
কোন বাবা চায় না তার হাতে গড়া প্রাণের প্রিয়তমা কষ্ট পাক,
বাবা সন্তানদের কাছে খুব বেশি কিছু চায় না।
একটু ভালবাসা চায়, একটু শ্রদ্ধা চায়, একটু সম্মান চায়,
আর একটু বিশ্বাস। এগুলো কি খুব বেশি চাওয়া???
____________অনিন্দ্য অন্তর অপু
আহা ওদিকে নয়, এদিকে নয়, কোন দিকেই নয়;
আমি বিবেক বলছি, আমায় তুমি দেখতে পারবে না।
তুমি পার্কের ঐ বেঞ্চিটার উপর বস তো,
হাত থেকে ব্যাগের বোঝাগুলো নামাও, একটু স্থির হও।
ভয় পেয়ো না, তোমার অন্য দু’প্রেমিকের মত
আমিও তোমায় ভালবাসি, খুব ভালবাসি।
তোমায় আজ পরীর মত লাগছে। কপালে কালো
একটা টিপ পড়েছ দেখছি; অদ্ভুত মানিয়েছে তো তোমায়।
আচ্ছা, তোমার কি মনে আছে তোমার প্রথম প্রেমিক
সেই কিশোরী বয়স থেকেই পরম মমতায়
তোমার চুল বেঁধে কপালে টিপ পড়িয়ে দিত।
গলা জড়িয়ে কত্ত আদর নিতে তুমি, তোমার পায়ের নূপুরের
নিক্কণ ধ্বনিতে কত্ত খুশি হত তোমার প্রথম প্রেমিক।
ক’দিন আগেও তো জ্বর বাধিয়ে বিছানায় ছিলে তুমি,
তোমার প্রথম প্রেমিকের অস্থিরতা তুমি দেখ নি?
রাত জেগে কে তোমার মাথায় জলের পট্টি দিয়েছিল?
যে প্রেমিক গত বাইশ বছর ধরে নিঃস্বার্থহীনভাবে
তোমায় ভালবেসে এসেছে।
তোমার শৈশব, তোমার কৌশর, তোমার নিষ্পাপ যৌবনে
যে প্রেমিক তোমার কপালে প্রতিদিন চুমু খেয়ে এসেছে,
তোমার সব আল্লাদ, সব আবদার যে হাসিমুখে মিটিয়েছে।
সেই বাইশ বছরের প্রেমিককে ফেলে এক বছরের
প্রেমিকের হাত ধরে তুমি পালাতে পার না। পার কি?
প্রথম প্রেমিকের চেয়ে তোমার এই নতুন প্রেমিক
তোমাকে বেশি ভালবাসতে পারবে কি?
তোমার নতুন প্রেমিকের এত্ত বড় বুক আছে কি
যেখানে একই সাথে পাবে আদর, স্নেহ, মমতা আর ভালবাসা?
মনে রেখ মেয়ে, পৃথিবীর সব পুরুষ তোমাকে ফেলে
যেতে পারে; পৃথিবীর সব পুরুষকে তুমি ঘৃণা করতে পার।
কিন্তু হাজারটা আঘাত দিলেও তোমার ঐ প্রথম প্রেমিক তোমায় ফেলে যাবে না,
উনিই একমাত্র পুরুষ যাকে তুমি ঘৃণা করতে পারবে না।
শত আঘাত, শত লাঞ্ছনা শেষে তুমি ওর বুকেই ফিরে আসতে চাইবে।
আহা কাঁদছ কেন? উঠছ কেন? উল্টো পথে চললে যে?
যাও। ফিরে যাও। আমার মনে হয় তুমি ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছো।
কোন বাবা চায় না তার হাতে গড়া প্রাণের প্রিয়তমা কষ্ট পাক,
বাবা সন্তানদের কাছে খুব বেশি কিছু চায় না।
একটু ভালবাসা চায়, একটু শ্রদ্ধা চায়, একটু সম্মান চায়,
আর একটু বিশ্বাস। এগুলো কি খুব বেশি চাওয়া???
____________অনিন্দ্য অন্তর অপু
No comments:
Post a Comment