আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। Lyrics by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Music by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Friday, August 26, 2011


নিস্তব্ধ বিকেলের নিরবতা ভেঙ্গে
একঝাঁক কাঁকের কর্কশ চিৎকারে
যখন আন্দোলিত হয় চারিপাশ-
তখন,- তীব্র মানসিক যন্ত্রণায়
কাতরাতে থাকে বিবাগী মন।।

শেষ বিকেলের আলো শেষ হয়ে গেলেও
এখনও যায়নি মুছে তার লালিমা
ছোট্ট ছোট্ট মেঘপুঞ্জ উড়ছে হেথা সেথা
দেখে যেন মনে হয়,
এ আকাশের রক্তাক্ত, ব্যথিত মুখচ্ছবি।

ক্লান্ত পথিকের ঘরে ফেরা আর
কর্মব্যস্ততার কোলাহল থেমে
চারিপাশে যেন ঘিরে ধরে নিস্তব্ধতা।।

এ অসহ্য....... কেন??? কেন???
কেন এত বেশি নিস্তব্ধতায় ডুবে আছি
লোকচক্ষুর অন্তরালে....
এ কোন ঝড় উঠেছে এই বুকে??

ঝড়ের তোড়ে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে
পংতিমালা যত সাজানো ছিল মনে।
দুর্বোধ্য, দুর্ভেদ্য এ অন্ধকার,
প্রচণ্ড শূন্যতার হাহাকার
আমাকে ঘিরে ধরছে কেন???

কে দেবে উত্তর, ঐ কাঁক, ঐ সন্ধ্যে
নাকি ঐ নীলাভ আকাশ??
এরা উত্তর দিতে জানে না,
এরা উত্তর দিতে পারে না।
যে জানে সে তো চলে গেছে দূরে
দূর থেকে দূরান্তরে..... বহুদূরে,
শুধু রেখে গেছে বিচ্ছিন্ন আমায়
নিস্তব্ধ এ কোন অন্ধকারে।।



_______আল-ইমরান

No comments:

Post a Comment