আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। Lyrics by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Music by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Tuesday, August 9, 2011


রাতের অন্ধকারে ঝুরঝুর বৃষ্টির ধ্বনিরা যখন,
খেলা করে চেনা জানা প্রকৃতির মাঝে
মেঘ রৌদ্রের খেলা হয়তো শেষ হয়েছে, অনেক আগে,
সোনালি মুখের প্রান্তে অনিশ্চিত হাতে, কোনো এক
যৌবনের খেলোয়াড়ি উৎসাহে মেতেছে,
পাপের অস্তিত্ব দীর্ঘ হয়েছে আর, তাই
নেশার ঘোরে রুবাইয়াৎ পড়ে পড়ে
ঈশ্বর পোষণ করে, নিজের মাঝে নিজে,
তার ভাবনা করুণ হয়ে হয়ে যেন সব, মিথ্যে
আর্ত শব্দের মাঝে খেলা করে,
আমার করুণা হয়, আমার করুণা হয়।


গভীর নলকূপের জলে আর
শিশিরের জলো বিন্দুর মাঝে
অস্তিত্ব মিশেছে, খুঁজে পাই
খুঁজে পাই তার ভাবনার জগৎ হয়তো
বিলীন করতে গিয়ে বিলীন হয়েছি নিজে,
তবুও থেমে থাকতে চাই না এখানে,
সাদা কালো ছায়া গুলো, নরম শীতলে
হাজার বছর শুধু হৃদয় হতে হৃদয়ে
জন্মান্তরে খেলা করে
হয়তো প্রকৃতি আর মানুষের খেলা গুলো
অতৃপ্ত হয়ে হয়ে এভাবেই খেলা করে।


No comments:

Post a Comment