
তুমি কি জানতে? তোমাকে আমি খুঁজেছিলাম।
মোড়ের রাস্তার চায়ের দোকানে
কেটেছিলো আমার উন্মাদ বিকেল বেলা।
তোমার অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা
জানালার গ্রিল আঁকড়ে ধরে ডুঁকরে কেঁদেছিলাম।
তবুও তুমি আসনি, সান্ত্বণার বাণী শোনাতেও না।
আমার অভিমানী মনকে পোষ মানিয়েছিলাম এই ভেবে
তুমি পাষাণ নও, হয়তো এই সবই হয়েছে তোমার অজান্তে!
তুমি কি বুঝতে? তোমাকে আমি অনেক ভালোবেসেছিলাম।
আমার নির্ঘুম রাত কাটত শুধু তোমার ভাবনায়।
রাতের আকাশের সাথে হয়েছিলো গভীর সখ্যতা।
তারাদের সাথে আমার স্বপ্নগুলোও মিটির মিটির করে জ্বলত।
ভাবনায় দেখতাম তুমি এসেছ, সেই তুমি
যাকে ঘিরে আমার স্বপ্নের জাল বোনা।
তুমি কি শুনতে? তোমার জন্য আমার আর্ত বাণী।
স্রষ্টার কাছে করা আমার প্রার্থণা সংগীত।
যাতে তোমার জন্য থাকত আন্তরিক দু’আ।
এবং তোমার সুস্থতা ও কণ্টখীন জীবনের কামনা করা হতো।
তোমার জন্য ঐ রোদেলা দুপুরকে বলতাম
“ তপ্ত রৌদ্র ভুলে কোমল উষ্ণতা দাও, মার্তণ্ড।“
শীতকে বলতাম, “শীতে তার কষ্ট হবে,
তোমার শীতলতায় আমাকে জর্জরিত কর, তবু তাকে না।
সে থাকুক অনেক ভালো, কষ্ট হোক আমার সঙ্গী”।
তুমি কি দেখতে? তোমাকে দেখে আমার ছেলেমানুষী উল্লাসে মেতে উঠা।
নিষ্পলক চোখে ব্যাকুল কথামালার স্ফুলিঙ্গ ঝরানো।
অব্যক্ত কথা ইঙ্গিতে বোঝানোর ব্যর্থ চেষ্টা।
চোখের নীরব ভাষায় তোমাকে দেখাতে চাইতাম
অজানা ভবিষ্যতের কোনো এক বর্ণিল স্বপ্ন,
যার কেন্দ্রমণি হয়ে থাকবো আমরা দু’জন।
_______ঈশিতা জুলিয়া
No comments:
Post a Comment