আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। Lyrics by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Music by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Tuesday, August 23, 2011


আমি একটি গ্রামিন বালিকাকে চিনতুম
নাম তার সুরলা
সুরলাদের বাড়ির পথ দিয়েই আমাদের বাড়ি
যেতে হতো
আমি যখন ওদের বাড়ির পথদিয়ে হাঠতুম
ও আমাকে দেখেই দেৌড়ে বাড়ির ভিতর
চলে যেত
শুধু আমাকে দেখলেই ঐ রকম করতো

আমাকে দেখে খুব লজ্জা পেত !
কখনো বুঝিনি ওর কি এত লজ্জা ?
কেনই বা লজ্জা হতো ?

এর পর অনেকদিন চলে গেল
আমিও গ্রাম থেকে শহরে চলে
আসলুম

আট বছর পর যখন একই পথ দিয়ে
হাঠতে ছিলুম
একজন নারী দেখলুম পুকুরের পাড়
একা বসে রয়েছে
না , চিনতে ভুল হয়নি ওই সেই
বালিকা সুরলা
আজ কত বড় হয়েছে !
সুরলা এক দৃস্টিতে পুকুরের জলের
দিগে চেয়ে রয়েছে

আমি যখন ওর কাছা কছি চলে আসলুম
সুরলা আমার দিগে একবার তাকিয়ে
আবার সে পুকুরের জলের দিগে চেয়ে
রইলো

সুরলার দিগে চেয়ে বুঝলুম ওর মুখে
সেই বালিকার রুপ নাই যে আমাকে
দেখে দেৌড়দিয়ে ঘরে চলে যাবে
ওকে দেখে বুঝাযায় ওর চোখে
কি যেন বিষন্নতা খেলা করছে
তাই এক দৃস্টিতে জলের দিগে
চেয়ে থাকা

_____মানুষ আজিজ

No comments:

Post a Comment