আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। Lyrics by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Music by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Monday, August 15, 2011


নিশীথ রাত বাঁশ পাতার ফাঁকে লাজুক একাদশীর দেখী
তার বিরহে, স্বাক্ষী থেকো তোমরা ও ফুল ও ফল ও নিশাচর পাখি।
আমি ভেবে পাইনা আগা-মাথা, এদিকে সেদিকে অযথা হাটা-হাটি
অসহ্য অনল ধিক-ধিক সদা মনের মাঝে, নির্ঘুম ক্লান্ত চোখ দুটি।
বুঝিনি আজও ভালবাসার একোন পরিণতি, না পারলাম শত্রু হতে
না পারলাম বন্ধু হয়ে পাশে বসে রাখতে চখে-চোখ হাত তার হাতে !
কুল-মান হারা অসামাজিক বক-প্রেমিক, শুনি ঝিঁ ঝিঁ পোকার গান
নিশীথ বিষাদী গুঞ্জন শেষে কানে আসে ভেসে মোয়াজ্জিনের আজান।
আমায় ফাঁকি দিয়ে সময়ের অনুগামী প্রতারিণী চাঁদও হারায়
আসলে আমরা কেহ কারও নয় কিন্তু আমরা সবার সবায় !
পাখি ডাকে কলরব তুলে ঘোষনা করে নতুন দিনের শুভ সূচনা,
আলো ফোঁটে পুবের আকাশে তবুও হয়না শেষ অনর্থক ভাবনা!

1 comment: