
শেষবার যখন লিখেছিলে আমায়
সোনামীর মতো ভেসে গিয়েছিলো চোখ আমার
অল্প কয়েকটা শব্দের যে এতো জোর থাকে
তা আমার অত্যাবধি অজানাই ছিলো।
এভাবে যে ভেঙ্গে দিতে পারে একটা জলজেন্ত মানুষকে
সাধারণ কিন্তু কঠোর কয়েকটা মাত্র শব্দ।
তোমার সব কথাইতো রেখেছি আমি...
সবটুকুই...তবে এমন কি করলাম আমি
যে তুমি আমাকে ছাড়া একবিন্দুতেই পাগল হয়ে যেতে
আজ সেই তুমিই বলছো ভুলে যেতে তোমাকে...!!!
তোমার বিশ্বাস হবে কিনা জানিনা
যতবার তোমার শেষ কথাটুকু রাখতে চেয়েছি
ততোবার মন তীব্র প্রতিবাদ করেছে।
দুরন্ত আকাশটা হঠাত করেই বিষন্ন হয়েছে
যতবারই আপোষ করতে চেয়েছি তোমাকে ভুলে যাবার সাথে
ততোবারই তোমার স্মৃতি ঘিরে ধরেছে আমাকে হায়ানা হয়ে।
আমি প্রতিনিয়ত এক হারমানা নাবিক হয়েছি
তোমার খন্ডিত ভালোবাসার কাছে।
কি আশচর্য... আজ যেখানে আমি
অস্তযামী সুর্যের মত ক্লান্ত হয়ে ডুবে যাচ্ছি পৃথিবীর কোণে
আর তুমি কিনা দিব্বি ভালোই আছো...
সুখের প্রহর গুণছো, গাইছো, শুনছো, ভালোই আছো।
একটা সুখের হরিণ ধরতে... শুধু একটা হরিণ
তারপর তোমার সব কিছু থেকে মুক্তি
বলেছিলাম তুমি পারবে ধরতে... জানিনা এখন
তুমি ধরেছো কিনা... জানারই বা অপেক্ষা করলে কই...!!!
বলেছিলাম দুটো জিনিস চাইবো তোমায় কাছে
একটা না হয় নাইবা জানলে আজ শুধু একটা শুনো
শুধু একটা সওদা করবে আমার সাথে
আমার ক্ষুদ্র যতটুকু সুখ আছে তোমার কারনে
সেটুকু তুমি নিয়ে নাও তোমার ব্যাথার দামে...
কি... দিবে না আমায় তোমার সবটুকু দুঃখ???
নিজের অস্তিত্ত বলে যতটুকু ছিলো সেতো
হারিয়েছি অনেক আগেই তোমার নীলাভ আকাশে।
আমার তো এখন পাহাড় ঘেরা দুঃখ জীবন
একলা বিকেল, ঘন তমসার রাত, থেমে থাকা প্রহর
যেখানে ব্যাথাগুলো বেড়ে যায়
একটা কিনলে একটা ফ্রি হারে।
তুমি ভালো থাকো, সুখী থাকো
আমার জীবনের বইটা না হয় থাকুক দুঃখ ভরা পাতায়
সুখের মলাটে বাধাঁ হয়ে।