আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। Lyrics by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Music by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Saturday, September 24, 2011

বিষন্ন অন্ধকার


বিব্রত লাশ পড়ে আছে পরম বিস্ময়ে
সবকিছু কেমন যেন বদলে যাচ্ছে হালের দুঃসময়ে
কিসমত,একবার কাঁদে ফের চেয়ে দেখে
বউয়ের বিব্রত লাশ,শোকের নগরী সারা বাড়ি
ইমার্জেন্সী সারাদেশে, কিভাবে বলি নগ্ন সত্য
শালার মানবতা: লোভের ঘুণে খেয়েছে তাকে।

একখান ছেড়া থান কোনমতে লজ্জায় জড়িয়ে
সারাদিন সুফলা করত কাজকাম
টপটপ ঘামের বৃষ্টি ঝরিয়ে
অভাবের সংসার,খানাপিনা জুটত না
দুদিন পর আধমুঠো সাদা ভাত ও
লঙ্কা মরিচ দিয়ে ক্ষুধার জ্বালা মিটত না
সুফলার কষ্টের শিশিরে বিকেলের মাট ঘাট বিষন্ন অন্ধকার
দুঃখের বৃষ্টিতে ঠাঁইহীন অথৈ জলাধার

কামনার শকুনেরা যণ্ত্রনায় পিষে মারবে তাকে
এহেন সম্ভাবনা ছিল না, তবে ছেড়া থানে
ঢাকত না তার মায়াবী লজ্জা।
তাই কী সে কামনার বর্বর শিকার?
রাত গভীরে সে নিজেকে সপে দিত খাটে নয় পাটিতে
চারপাশে ভাঙ্গা বাঁশের বেড়া,দড়িতে রাখা স্বামীর
পরনের ছেড়া লুঙ্গি, ঘরের এক কোণায় কাস্ত,লাঙ্গল

কিসমত, সে রাতে ফেরে নি
সুযোগ বুঝে হায়েনাদের আক্রমণ
সুফলার আর্তচিৎকার কেউ শুনে নি!
হাতমুখ ছিল বাঁধা
নির্যাতনের বুলডেজার শেষ করে দেয় তার সবকিছু
রক্তাক্ত,বিভৎস শরীরে সে
পড়ে আছে ঘরের মাঝামাঝি
কিসমত শোকে কাঁদে,
বারবার ফ্যালফ্যাল চেয়ে দেখে
সোহাগিনী প্রিয়তমার নিথর দেহ।
ইমার্জেন্সী চলছে, তবু মুখ থেকে বেরিয়ে এল ঘৃণাসহ
শালার মানবতা, লোভের ঘুণে খেয়েছে তাকে।


_______মজিব উল্লাহ্

No comments:

Post a Comment