আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। Lyrics by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Music by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Monday, September 12, 2011

**বিদীর্ণ বুকের পাঁজর**


বিদীর্ণ বুকের পাঁজরে,
ভালবাসা নামের এক একটি পেরেক ঠুকে
বক্ষ পিঞ্জরে চলে নিঃশ্বাসের গোলামী।
বিমূর্ত ছায়ার অদৃশ্য কোন লালিমায়
আপ্লুত আবেগ বরফে ঢাকা শতদল বর্ষা মেঘে
অজানা পথিক চলে দুরের কোন চেনা গন্তব্যে,
জীবাশ্ম এই পথে রেখে অসংখ্য পদচিহ্ন,
মমি করে যেথা কফিনে ভরা
আমার অদৃশ্য আবেগ।।

নির্ঘুম কুহকের চিৎকারে,
সুবিশাল নিঝুম অরণ্য থেকে
দলবেঁধে উড়ে যায় দোয়েলের ঝাঁক
উড়ে যায় বিষাদ নীলিমা ছেড়ে বিষণ্ণতার ঘরে।
সৈকত বালিতে যাযাবর জোনাক হয়ে,
ঝিঁঝিঁ পোকার বাগানে হানা দেয়
একদল মরুভূমির জলদস্যু।।

আলপিন ফোটানো যন্ত্রণার এক নির্ঘুম সকাল,
পরিণত হয় শ্রাবণ ঝরা সজল বিকালে।
পলাশের গন্ধে ছুটে নামে রিনঝিন মেঘরুদ্র।
মনের গহিনে চাঁদের বুড়ি মত
উঁকি দেয় কোন এক বনসাই মেয়ে...
যেখানে ভোরের প্রথম আলোয়,
ধ্যানমগ্ন একজন নীলসাধু আমায় সুধায়
কেন এই কবিতা তোমার....
উত্তরে বলি------
এই মন যে আমার ইচ্ছেঘুড়ি
মন যা চায় তাই লিখে ফেলি।।

______আল ইমরান

No comments:

Post a Comment