আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। Lyrics by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Music by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Sunday, September 18, 2011

আমার যতো ভাবনা


নিজের সঙ্গে নিজের দূরত্ব বাড়ছে যেন প্রতিদিন
একটু একটু করে, যেতে যেতে অনেক দূর থেকে
গোধূলির রঙে নিজের পান্ডুর ছবি দেখে মনে হয়
এতো আমি নই, আঁৎকে উঠি আতঙ্কে হঠাৎ করে!

মধ্য রাতে যখন দূরের সবগুলো বাতিঘর নিভে যায়
যখন আকাশ ভেঙ্গে ঝড়ের- বৃষ্টির মাতামাতির চলে
যখন মাতাল ঢেউ তছনছ করে দেয় নদীর দুই তীর
তখন খুব নিষ্পৃহ মনে হয়, চেনা খুব দায় নিজেকে।

দিনরাত যেন অন্ধকারেই পথ চলি আমি আজকাল
যেন ভোরের আলো আর দেখা দেবে না কোনদিন
এমনই দ্বিধা আর শংকিত একজন পথভোলা মানুষ
আমাকেই পরিহাস করে, ‘অদ্ভূত অপদার্থ বলে!

আমি আমাকেই হারিয়ে ফেলেছি যেন অন্ধকারে
বৃষ্টিভেজা দিনে কিংবা কোজাগরি জ্যোৎস্না রাতে
কে যেন ইঙ্গিতে আমাকে ডেকে নিয়ে যায় দূরে
আমি তাকে দেখিনি, আমাকেও চিনি না সেখানে!

No comments:

Post a Comment