
প্রিয় অংশুকবি-জীবনের রঙে তুমি কী!
তোমাকে দেখেছি-তোমাকে বার বার দেখেছি
কৃষ্ণচূড়ার তলে মেঘলা আকাশের ছায়াতে
মনের যৌবন নিয়ে চল্লিশ পেরিয়ে, হে কবি!
তুমি জানান দিলে কবি হয়েছ, বুঝিনি!
বুঝিনি তোমাকে, বিচিত্র পথে ভেবেছি,
যৌবনের রূপ খুঁজিনি কেন আগে, কেন হে!
তুমি কী ফুরিয়ে গেছ ভেবেছ? হয়তো না-
তোমার যে দেবার আছে অনেক বাকী, জেনে নাও-
জেনে নাও হে কবি, তোমার পুষ্পিত ঠিকানা।
তুমি ভেবে ভেবে স্বপ্নের ঠিকানা বলে দাও
তাই তো তোমার ভাবনায়-যে বিশালতা খুঁজে পাই
তারই বর্ণনা করে ভালবাসায় মিশে যাই।
তোমার যৌবন রাণী বৃদ্ধা হয়েছে-বলছ কী!
মনের যৌবনে সে-আজো তোমারই প্রেয়সী
হয়তো আমি ভাবি-ভাব ভালবাসা কমেনি,
অম্লান চোখের দৃষ্টি থেমে থেমে আসবে বলে
তুমি বিচলিত, ভাবতে পারিনি-পারিনি!
অনেক ঘটনার ভাব-যখন ঘনীভূত মনে
বিশাল ভাবনার দেয়াল কঠিণ শ্রমে এঁকে ফেলে;
তখন তোমার কথা মনে মনে স্মরণ করি-
জীবনের শ্রমিকে ভাবনার এই বুঝি পৃথিবী!
সালাম তোমায় কবি-আপাদমস্তক যে কবি
যার কথা শুনেছি তুমি কি সেই-সে কবি!
কেন ঢোল বাজিয়ে বিদ্যার খসড়া জানান দাও?
ভালবাসার মনে আমি আহত হই বলে,
পেতে চাই মহাকাব্য তোমার কলম-রস থেকে
আপন স্থির মনে সেই-বহমান নদীর বক্রতায়,
সরলতা পাবে-রঙিন ফুলের গোলাপ শাঁসে,
তাই প্রত্যাশার ছায়া দরদ দিয়ে ভাবনায় রেখ
আর জীবন দর্শনে সেই দ্বন্দ্বকে ভুলে থেকো
ভালো থেকো প্রিয়, শুভকামনা সতত
ইতি তোমারই সেই- একজন
_____কে, এম, ওমর ফারুক!
No comments:
Post a Comment