লরেলকুঞ্জে ভ্রমন!

এখনো যে অনেক বাকী দূর সম্মুখে যাবার!
হেমন্তের শেষ নি:শ্বাস ফেলার আগের চ্ছটায়
নিষ্ঠাবান হয়েছিলাম। ঘোর বনপথে তখনো
তাঁবু গাড়েনি ছায়ারা।পাথরেরা জেগে ওঠায়
পিছু হটা, যেখানে ফুরোয়না সময় কখনো।
আমার প্রথম অভিযান! জেগে ওঠার, একা
একা। চারপাশটা বড্ড কেমন যেন, ছমছম,
গা ছমছম, এক ম্লান হিমেল আলোয় ঢাকা
জলপ্রপাতেরা আপনমনেই ঘুরিয়ে চলে চাকা।
আমার সংক্ষিপ্ত ভ্রমন,এক লরেলকুঞ্জের পাশে
চাঁদের আলোটিও এক বহুবর্নের ঘ্রানে হেলায়
অবহেলায় হাসে। আসে হাতটি বাড়িয়ে উষ্ণ
ছোঁয়ায়, আচমকা মাদকতাময় পূর্ন রাহুগ্রাসে।
এ হল শেষ প্রহরের প্রহেলিকা, দীর্ঘ বৃত্তান্তে
বর্ননাময়, তবে আমার সব কৌশলই জানা,
কিভাবে ক্লান্তি হ্রাস হয় এক মদির চুমোয়?
বসন্তের এ আবাহনে শীতটি যেমন ঘুমোয়।
ভয়গুলো সব হামাগুড়ি দিয়ে আসে। চেপে
ধরে ক্ষনিককাল, যেন ব্যাঞ্জনা স্তবগীতের,
স্বাগত ঋতুতে ঋতুবতী হওয়া, ক্ষনকালেই
জেগে ওঠা।কান্নাটি বেদনার্ততায়, হেমন্তের।
হে ঋতুগন! স্বপ্নের জিয়নকাঠি,যত্ত অগনন
সময় হয়েছে নূতন যাত্রার, আত্মার মনন।
অম্বর, কস্তুরী,ধূপ পরিকীর্ণ গম্ভীর লোবান
গুঞ্জনের অবমুক্ততায় হোক ইন্দ্রিয়ের গান।
হেমন্ত, তোমার সময় হল শুধুই চলে যাবার
ঘূর্নায়মান শীত, বসন্তে দেখা হবেই আবার।
আমার পদপাতের চৌকো মিনার জাগছে এখন
ভিন্নময় ঋতুতে। হজম করেছি, তপস্বীর মতো
এর নিগূঢ়তম রহস্য যতো।
__________আশরাফুল কবির
No comments:
Post a Comment