আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। Lyrics by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Music by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Saturday, October 29, 2011

ত্রিমাত্রিক স্থানাঙ্কে হারানো মন

আমি বাস করি আলো আর অন্ধকারে
ভূগোলের প্রথাগত সীমারেখা ছাড়িয়ে
উপস্থিতির সঠিক সংবেদনশীলতার বর্ণনা
শব্দেরাও আর দিতে পারে না
ত্রিমাত্রিক স্থানাঙ্ক শরীরকে চিহ্নিত করতে পারে;
কিন্তু হৃদয়ের হদিস যন্ত্র থেকে দূরে, বহুদূরে।।

আজ আলোতে একা নই, একা নই অন্ধকারেও
আলোর কায়া আমায় ছায়া সঙ্গী দেয়
আলো উবে গেলে ছায়াও নিভে যায়
কিন্তু এক অস্পৃশ্য বোধ
মাথার ভেতর মাথা নাড়ে
হৃদয়ে নিরন্তর পায়চারি করে
আলোতে আর অন্ধকারে।

হাতে সে হাত রাখে
আমি আমার অতীত ভুলে যাই
বর্তমান আমার কাছে ম্লান হয়ে আসে
আর ভবিষ্যত প্রচণ্ড অর্থহীন মনে হয়।

চারপাশের পৃথিবীর ব্যস্ততা বৃথা মনে হয়
স্থবির হয়ে বসে থেকেও অনেকটা পথ পাড়ি দেই কল্পনায়
মননের স্বপ্ন করতলে পরস্পরের সান্নিধ্যে উষ্ণ হই
সে উষ্ণতায় প্রেম নেই; ব্যাখ্যাতীত এক বোধ মিশে থাকে।

সে স্পর্শ আমাকে পালটে দেয়
আমার ভেতরে তুমুল ঝড় বইয়ে দেয়
আমার ভেতরটা লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবার উপক্রম হয়
আমি নিজেকে চিনতে পারি না
আমি আমার চারদিককে নতুন বলে আবিষ্কার করি।

মানুষে-মানুষে সহজ সম্পর্ককে আমার মেকি বলে মনে হতে থাকে
প্রেমকে আমার শরীরের স্বাদ-আস্বাদন বলে মনে হয়
স্নেহকে প্রাণের অনন্ত আহ্লাদ হয়।।

নিজেকে এই পৃথিবীর মাটি-জল-সংগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন
এক সত্ত্বা বলে মনে করা আমি বোধের কাছে আত্মসমর্পিত হই।

বদলে দিতে থাকা এই দূর্বোধ্য বোধ এর সঙ্গ অসহ্য বোধ হয়
আমি তার হাত ধীরে ছেড়ে দেই
দ্রুতলয়ে হাঁটতে থাকি তাকে পেছনে রেখে
আমি তাকে মেরে ফেলতে চাই গলা টিপে
মড়ার খুলির মতো ধরে আছাড় মারার ভয় দেখাই
সে বিচলিত হয় না
আমার পিছু নেয় নাছোড়বান্দার মতো
আমার ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে আমাকে অনুসরণ করে
ক্লান্ত আমি একসময় তাকে সামনে যেতে বলি
সে আমাকে পাশ কাটায় না
সে আমাকে অতিক্রম করে না
সে আমার পিছু পিছু হাঁটে, আমি থামলে সে-ও থেমে যায়
পরাজিত আমি তার কাছে আত্মসমর্পিত হই
তাকে পেছনে রেখে পথ পাড়ি দিতে আমার অস্বস্তি লাগতে থাকে
পুনরায় আমি তার হাত ধরে পাশাপাশি হাঁটতে থাকি
আমি আবার আলো আর অন্ধকারের পথে হাটি
একলা আমি
মৃত আমি
সে মৃতের আলো-অন্ধকারের অনুভব থাকে না।

পরিত্যাক্ততায় আমার এফিটাফ

এমনি এক হেমন্তে পরিত্যাক্ত হয়েছিলাম।

অত:পর ঠিক সেখানটাতেই আছি, ঠিক
যেন এক প্রতীক্ষারত প্রমিথিউসের মত।
ক্লান্ত, নীরব, নিস্তব্ধ সন্ধা হতে উদয়ান্ত
অখন্ড অবসর। কত যে দিন হয় গত।

ইয়াত্তা নেই তার, কাল চক্রের পারাপার
কত রাত যে হয় ভোর এক নির্মীলতায়,
অবসন্নতায় তোমার প্রতীক্ষায়। প্রয়োজন
নেই দু গন্ডা হিসাব মেলানোর জটিলতায়।

একালের অথবা সেকালের, কোন কালের?
এক পৌরানিক প্রশ্ন হয়ে থাক
যদি হও শঙ্খচিল, এসো কালেভদ্রে কখনো
হারিয়ে, অচেনা পথের বাক।

আমি আছি সেই একই রকম ঠিক হেমন্তের পর
সম্মুখে চির হিম বসন্ত কাটছেনা শীতের তর।

মিলবেনা হয়তো সব সমীকরন ধাপ থেকে ধাপ
শূন্য বরাবরই শূন্য, নির্জন, পরিত্যাক্ততায় রবে
আমার এফিটাফ।

কেউ একজন ভুল হাত ধরে করে বলেছিলো আমি তোমাকে ভালোবাসিনা

কেউ যায়, কেউ আসে, কেউ আবার হারিয়ে পড়ে ঘূর্ণাবর্তে
আমি দেখেছি তাদের যাদের কেউ মনে রাখেনি
আমি শুনেছি তাদের যাদের কেউ একজন মনে করে বলেছিলো
আমি তাদের মনে রাখতে চাইনি অথচ বারবার মনেই উঁকি মারে।
এ মন, সেই মনের কাছে হাত পাতে; ভালোবাসায়
মনও ফিরিয়েছে তাদের শুনিনি কোনকালে
তবু আমি বারবার মনের কাছে মন চাইছি, মনের দেখা পাবো বলে,
তবু মন, বিচিত্র মন ফের ভুল করে, ভুল করে ভালোবাসে
ভালোবেসে কাছে গিয়ে থমকে যায় আবার ভালোবাসে
শুনেছি, ভালোবাসার কাল মধুর কোনো এক
দিয়ে যায়, শুধুই দিয়ে যায়-
তাই দিন গড়ালে দিন আসে রাতের হাত ধরে।
রাতের গতরে বাস যার সে কানে কানে বলে
কেউ একজন ভুল করে হাতে হাত ধরে বলেছিলো
আমি তোমাকে ভালোবাসি না!

কাতর ভালবাসা


মনের গভীর অতলে প্রেম পিপাসায় কাতর হয়ে
একদিন ভালবাসা পেতে হয়তো গিয়েছিলাম,
হয়তো গভীর ভালবেসে ছিলাম-
তাই গিয়েছিলাম রাতের হিমে,
শেষ প্রহরের জ্যোৎস্না নিয়ে।
কাতর হৃদয়ের বুকে-সেদিন জমেনি
শিশিরের হিমেল ভালবাসা,
তাই তো বলি দূর অস্তমিত-
আবিরের রঙে যেন-ভালবাসা ছুটিতেছে
ঋতু বদলের মতো হয়তো মাঝরাতে
মৌসুমীর কুহকীর স্বরে কাঁন্নাতে-
সেদিন যেতে পারিনি, চিনতে পারিনি তোমাকে।
রাতের শীতল কাতরে খেজুরের রস জমে হাঁড়িতে
সেদিন রসে রসে প্রিয়-মনে পড়েছে তোমাকে;
তোমাকে ভালবাসতে গিয়েও যেন
ভালবাসতে পারিনি-মনের সুর মনকে বেঁধেছে
পারিনি মনের ভাষা আবৃত্তি করিতে।
নারকেল গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে
যখন চাঁদের মৃদু আলো ভাসে
তখন পৃথিবীর রূপ যেন মরণের মাঝে এসে
নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন গড়ে তোলে;
আমার ভালবাসা তাই পৃথিবীর বৃহৎ অরণ্যে
রঙিন রঙে রঙে খেলা করে-
তবুও তোমার ভালবাসা ভুলতে পারিনা
ভুলতে পারিনা তোমার-কাতর ভালবাসা;
তাই পথে পথে আজো দেখি
সেই সব ভালবাসার মন-নগদে রঙিন করে;
সেদিন রাতে নটীরা হয়তো জেগেছিল
টাঙ্গাইল ইস্টিশনের পাশে।

অপরাজিতা

একটি পাখি,
পৃথিবীর অগণন মৃত্যুরাশি চিনে নিয়ে
ফিরে আসে নীড়ে ।
আর তুমি ?
আমার অপরাজিতা
সূর্যকে চেন তুমি ?
জানো মেঘহীন শ্রাবণীর উৎস ?
অথবা রক্তকমল কেন কৃষ্ণচূড়া নয় ?
কখনও ছুয়েছ অদৃশ্য কুহেলিকা নরম দুহাতে ?
গোপনে গোপনে কত পাপ করেছে সঞ্চয়,
এই মহান পৃথিবী; চেয়েছো জানিতে ?
চাওনি ;.... তুমি;.... কখনও;....
আমায় জেনে নিয়ে, সমস্ত জানার আকাঙক্ষা
ফেলেছ হারায়ে তুমি....।
আমারে নিয়েছ চিনে , এই ভেবে-
সমগ্র বিশ্ব চেনা ....
হয়েছে তোমার ;
এ এক সহজ বিস্ময়!
তবু যখন আবার ভোর হয়
ভাবো তুমি; “রাত্রি হলেই ভালো”
রাতের তিমিরে যখন প্রেম জ্বালে তার নিজস্ব আলো
সে আলোয়
পৃথিবীর কেউ কারো মুখ চিনে নিতে পারে না।
সে তবু চিনে লয়,
তার অভীষ্ট হৃদয়।
অসীম নিস্তব্ধতার মাঝে
জেগে ওঠে
প্রেমের অলৌকিক ভাষা।
সে ভাষায় ঘুমে বিভোর পৃথিবীর কয়না কথা কেউ
কেবল নিঃসঙ্গ নীল নদীর পবিত্র ঢেউ
একা পথ চলে।
আর;
তার তীরে বসে আমাদের অশরীরী আত্না
তারা গোনে ধ্রুব আকাশের ।
...............শুনি
অস্পস্ট তারারা অচেনা ভাষায় কথা কয়
কেউ আর শোনে না তা
আমরা শুনি –
মৃত পাতাগুলি শান্তিতে মাটির বুকে ঝরে পরে
অত:পর
শব্দহীন জগতে
রহস্যময় শব্দ সৃষ্টি করে
আমাদের শরীর ক্লান্ত হলে,
অপরের চোখে যুগল ছবি আঁকি
যতক্ষন .. না .. ভোর আসে
পূর্বাকাশ লাল হতে শুরু করলে
যত দূরে সরে যাও তুমি
ততই নিকটে আসো প্রকৃতির খেয়ালে ।
একটি তারা হতে অপর একটি তারা
কত আর যেতে পারে দূরে?
একটি জীবন মৃত হয়
জন্ম লয় নতুন এক হৃদয়
যদিও শরীর ঝরে যায় শীতে
তবু স্বপনেরা কি মৃত হয় ?
কিংবা প্রণয় ???

ভালবাসা এবং


ফালগুনী রাতে;
দেখেছি তারে অন্ধকারের সাথে।
যখন যুগল পেঁচা সবুজ চোখ মেলে
আধাঁরে বিস্ময় খোঁজে সৃষ্টির আড়ালে।
দেখি নীলাভ দুটি চোখ তার,স্বচ্ছ জলের ন্যায় শরীর
চুপে হাওয়া এসে বলে গেল ,- “এই মানবী নয় এ
পৃথিবীর।”
অত:পর
স্বচ্ছ তার জলের মত শরীরের রহস্য জানতেই
পৃথিবীতে এসেছিল প্রথম ভোর ......
কত আগে তারে ভালবেসেছিলাম
আজ আর তা মনে নেই।
গোপনে গোপনে কত অনুভূতি
জন্মেছিল তোমার জন্য! মনে নেই।
কবে খেলার ছলে আধাঁরের বুক চিরে
এক টুকরো আলো বের করে এনেছিলাম !
ঘুম গিয়েছিল ভেঙে
হেমন্ত নক্ষত্রের রাতে
অনেক পুরনো সে রাত।
সে রাতে পূর্নিমা ছিল কিনা . . . . . . . . . মনে নেই।
তবু সেইসব দিনরাত্রির ঘ্রান লেগে আছে বুকে
যেইসব দিন তার মুখ দেখা হত .............
ঝরে গেছে সময় ঘাস মাটির উপর
সুর্যাস্তের শেষ রং মুছে দিয়ে শেষ পাখি ফিরে গেছে নীড়ে।
হয়ত সে ও আমাকে ভালোবেসেছিল;
আজ ও বাসে !
তবু কেউ আমায় মনে রাখেনি।
শেষ বিকেলের নরম রোদের মত
তার দেহের ঘ্রাণও মুছে গেছে এ প্রাণ থেকে ।।

Wednesday, October 26, 2011

-বিষাদ তোমাকে ছুটি-

এইখানে চুমু দাও-
কাঁপা ঠোটের উষ্ণতায় শুষে নাও
আমার জীবনের সবটুকু ব্যর্থতা
যে তোমাকে রাত্রি-দিন দুঃখ দেয়।

এই হাতে হাত রাখ;
এই হাতে আর কোন পাপ নেই।
আমার যে চোখ তোমায় দেখে
সে চোখে নেই স্বর্গের পিপাসা;
নেই অহঙ্কারি বিলাসিতা।
যদিও খানিকটা অহঙ্কার সে করতেই পারে
সম্পূর্ণ একটি রাত সে তোমার প্রেম ছুঁয়ে ছিল!

তুমি বল " আমি কবি "
" তুমি আমার শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ "।

তোমার পৃথিবীর রাত্রিরা একদিন
আমারে দিয়েছে যে শান্তি
সহস্র দিন ক্লান্তি শেষে অজস্র প্রাণ
শুনিয়েছে নাক্ষত্রিক গান,
আমি তবু অহঙ্কারি নই।

দুঃখ ছিল; ঈশ্বর জানে-
আমার চোখে,মুখে এবং বুকে।
..........অতঃপর
সেদিন-
বসন্তের দিন;
ভোর ছিল প্রিয় মুহূর্তের মত নরম
সূর্যোদয় দেখব ভেবে ঘুম গেল ভেঙে
এবং অবশেষে
প্রথম সূর্য দেখার নিস্পাপ ইচ্ছে
তোমার ঘুমন্ত শরীর নিল কিনে।

মুখ রাখি তোমার হিম বুকে
বলি; " বিষাদ তোমাকে দিলাম ছুটি "

নারী

সেদিন শীতের হিম রাত্রি
আমাদের ঠোঁটে অতীত এবং বিংশ শতাব্দীর
সমস্ত প্রেম নিয়ে জেগেছিল।
বহুরাত ঘুমের পর যেমন জেগে ওঠে শিশু
পৃথিবীর আলোয় রাখে তার অনভিজ্ঞ পবিত্র চোখ
তেমনি আমার অনুচ্চারিত শরীরের ভাষা
শিখিয়েছিল কি করে ভালবাসতে হয়!
তবু আকাশে মেঘ দেখে
নিজেকে তুমি অসহায় ভাবো;
নদীতে স্রোত থেমে গেলে
ভাবো; তোমার সুখ ও ব্যথা
তোমারি একান্ত অর্জন।
নারী-
ঈশ্বর তোমাকে দিয়েছে ঐশ্বর্য
পুরুষ "অহঙ্কার "।।

Monday, October 24, 2011

তবু বন্দনা বন্ধ হবেনা,

ছন্দ নাই; তবু বন্দনা বন্ধ হবেনা,
চাতক পাখির মত চেয়ে থাকা-
অচীন আজব আগামীর পথে,
যেখানে শুভ্র দিন অনুভব অবিচল-
তার সাধনার অন্ত হবেনা ||

আজ অনেক দিনের চেষ্টা এ-
তোমাকে বর্ননা বর্নিল বানে,
রাঙ্গীয়ে রাঙ্গা সুখ স্বপনে,
বোঝাতে বানী বর্ন স্নানে-
সাজাতে চাই যেন বুঝুক সবাই;
তুমি অপরূপ শতরূপ অনন্যা ||

কত দিন সহ্স্র সাল আবহমান-
ধুম ধাম নাম ধাম অনুমান,
কার এত ভাগ্য হল; সেইতো পেল সুনাম |
অবাক অচীন আগামী দিন,
কেউ বাকী থাকবেনারে সেইদিন-
কি হবেরে? কি অঝরে!ওরে বলনা ||


দন্ধ নাই; তবু চন্দ্রিমা চন্দ্র দেখেনা,
শতক আখির যত চেয়ে থাকা-
কঠিন তলব চালানীর পথে,
সেখানে তীব্র দিন পাবে সব অবিকল,
তার সে দিন কেউ থামাতে পারবেনা||

কবিতা নয় তবু

একটা কবিতা লেখার সাধ হয় তবু
বৃষ্টি হয়না ‍দেখে পারিনা,রিম বিম বৃষ্টি।
ইদানিং আকাশ ভরা মেঘ গুলো, কি কালো
শুধু চমকায়- গুড়ুম গুড়ুম ‍শব্দে ভাবি এই বুঝি
বৃষ্টি ঝরবে রিম ঝিম
প্রান ফিরে পবে শুষ্ক মাটি
মাটি আর মানুষের সতেজতা যেন
গিটার আর শিল্পীর সুর
মেঘ গুলো শুধু চককায়, আমি ‍বলি,-
স্বাথর্পর মেঘ কোথাকার!
তুমি তো নেতা নও, আশ্বাস ,প্রত্যাশার স্বপ্ন দেখিয়ে
আর গুড়ুম করোনা
তুমি তো মানুষ নও।
আমার হেমন্ত শেষ হল শীতবেলার শুরু
নির্জনতার এক ভরদুপুর পাশে দেবদারু।

হারিয়েছি তোমায় আর দেবদারুটা পত্র
ভুল নয়তো আমার তোমার যত্র তত্র।

হারিয়েছিলাম তোমায় নাকি তুমিই হারালে
নির্জন পথে একলা রাতে তুমিই বাড়ালে।

বিকেল বুজে আসে ঐ দিগন্ত রেখার মাঝ
বিম্ব প্রতিবিম্বে হাসে যেন বাসর রঙ্গা সাজ।

যাত্রা পথটি ছিল মসৃন হাজার খুঁনসুটি
প্রহেলিকার বাগিচায় আমি চলি গুটিগুটি।

সময় কাহন উপলব্ধির আমি খোলসযুক্ত
তুমি দেবী আফ্রোদিতি হয়তো খোলসমুক্ত।

উড়ে চল কোকিলরূপী শীত ফুরোনোর শেষে
পেছন পড়ে এক সিসিফাস হিমশীতলের দেশে।

দেবদারুটা নির্জনতায় নাকি আমিই দেবদারু
বৃত্তাবর্তে সেই ইতিহাস দেবদাস আর পারু।

স্বপ্ন


এক জীবনে আমাদের পাওয়া হয়না কিছুই
তবু যে পায় , সেই জানে
না পাওয়ার ব্যথা !
সমস্ত হারিয়ে সেই প্রশ্ন করে;
এই জীবন কেন পাখি কিংবা নদীর নয় ?
এর উত্তর বহুকাল আমি পাইনি
এ আমার আজন্ম আক্ষেপ ।
মানুষ তবু স্বপ্ন নিয়ে বাঁচে
একটি , দুটি আথবা তিনটি স্বপ্ন
এ বুকেও ছিল নদী ঢেউয়ে ছড়ানো
আত্নবিশ্বাসী রোদের মত
যখন মানুষ ছিলাম
যখন জীবন ছিল আমার হাতের মুঠোয়
আসহায় বন্দি;
আমাকে আমার ভিতর হতে
বাহিরে প্রকাশিত করা হল;
সে এক কবি পরিচয় হীন ।
পৃথিবী ঘর ছেড়ে আমারে সে এনেছিল
পৃথিবীর পথে ।
নক্ষত্রের রাতে চুপে বলেছিল
"মানুষ মরে গেলে আত্না অদৃশ্য হয়;
আর প্রেমিক মরলে ‘অন্ধকার’।"
অন্ধকার মৃত্যুঞ্জয়ী।

ছিন্ন চিন্তাবলি

আমার ছিন্ন চিন্তাবলি পাঠিয়ে দিলাম
আলফা লেভেলে তোমার কাছে
জ্বলন্ত সিগারেট হাতে ধরে
ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ঘর থেকে মেইল করেছি
নিগুড় নীরবতার ঠিকানায় গেলে
খুঁজে পাবে আমার এই মেইল
ইনবক্সে না পেলে স্পার্ম ফোল্ডারে।

গভীর থেকে আরও গভীরে
ডুব দিতে চাই তোমায় নিয়ে
আমি তুমি সমৃদ্ধ কবিতা
চাচ্ছিলাম না লিখতে
লেখনী বার বার ছুটে যায়
ছুটে যায় তোমার পানে
কোন এক অদৃশ্য নাটাইয়ের টানে।

ইচ্ছেঘুড়িটা গোত্তা খেতে চায় ক্ষণে ক্ষণে
কিন্তু সুতোয় ঢিল পরে তখনই
মন পৃথিবীর স্বাভাবিকতায়
ইচ্ছেঘুড়িটার অবকাশ মেলে না।
মাথার ভেতর কোয়ান্টাম ফিজিক্স
আর বুকের ভিতর রসায়ন নিয়ে
এর চেয়ে ভালো আর কি বা বলা যায়।

ওকে নিয়ে

মাঝরাতের উষ্ণতায় ঘুম ভেঙ্গে
আবেগ ভরা বুক নিয়ে
আমি আর ভাববো না
ওকে নিয়ে -
বসন্তের কচি সবুজ পাতায়
প্রেম কাব্য লিখবো না আর।
লিবিয়ার যুদ্ধ পথে রাইফেল হাতে
শত্রুর পিছে ছুটবো না বলছি।
কোন আকার-ইঙ্গিতে এমনকি
মুখ খুলেও কথা বলবো না।
যতোটা শব্দ বাঁচিয়ে রেখেছি নিরবে,
তাতে শুধু-ই ভালোবাসা লেখা আছে।
তাকে ভালোবাসি বলবো না,
কারণ সে ভালোবাসতে জানে না।

আমার চলে যাওয়া

সমস্ত চিন্তার মৃত্যু কত ভয়ঙ্কর!
হয়তো আধো আলোর ছায়াতে ভেবেছি,
দেহের রক্তমাখা চোখের রূপ হয় জোয়ার
তাই প্রেমের নেশা কাটে বলেই ভেবেছি,
তোমার নগরে যাব বার বার-
যাব ভালবাসার ফুল নিয়ে-রঙিন হয়ে,
তোমার নগরে দুই পাহাড়ের মাঝে
ভালবাসার ম্রিয়মান নদী আছে;
আমি জলের উষ্ণ বিলাসে ডুবারি হব
তুমি সারাক্ষণ আমার নীলজলে ধৌত হও
আর শব্দের ঠোঁটে বেঁচে থাক প্রাণপণ
আমি কলির মতো সুরঙ্গে-বার বার চলি
ধ্বনিতে ধ্বনিতে অন্ধকার ঘন হয় বলে,
কালের অর্পিত ভালোবাসায় বেঁচে রই;
তাই একদিন সুখীসম্পদের ফুল ফুটবে
হয়তো জন্মের আলোকে জ্বলবে এক স্বনাম;
তুমি সুখের উল্লাস সমারোহে হয়তো রবে
তখন আমি চলে যাব বন্ধন ছিড়ে,
এটাই হয়তো বিধাতার চরম রীতি।

বলেছিল কেউ


বলেছিল কেউ-
কোন এক পূর্নীমার রাতে সমুদের ঢেউ
কিংবা তার চলার শব্দ
যখন স্তব্ধ
হয়ে পরে রয়;
যখন নক্ষত্রেরা কথা কয়
কেবলই নক্ষত্রের সাথে;
কোন এক সেই রাতে-
নিজ চোখে আমায় সে জ্যোৎস্না দেখাবে
চাঁদের আলো ঝরে পড়ার শব্দ শোনাবে।
....কেটে গেল অজস্র সময়
পৃথিবীর পথে বহূ পথিকের হয়েছে ক্ষয়।
সমুদ্রে সমুদ্রে পুরোন ঢেউয়ের মৃত্যুতে নতুন ঢেউয়ের সৃষ্টি
আকাশে তারারা গেল খসে, ফুরায়েছে রোহিনী বৃষ্টি;
বহূ আলোকিত দিনের পর, বহূ অনাকাঙিক্ষত রাত্রি এলো
বহূ ভোরের আড়ালে বহূ আঁধারের মৃত্যু হলো
তবু সেই পূর্ণীমা আজও আসেনি কথা রাখার
আমাকে ভালোবাসিবার ॥

জীবন্মৃত.....


জীবন এবং মৃত্যুর মাঝখানে দাড়িয়ে
তোমাকে আবিস্কার করলাম
পৃথিবীর অন্য সূর্যহীন এক ভোরে।
আজ দ্বিতীয় মৃত্যুতে;
আমার আর ভয় নেই ।
অপ্রাসঙ্গিগ ভাবে অলৌকিক প্রজাপতি এক
"একটি ডানা সবুজ,অপরটি গাঢ় নীল;
..........উড়ে যাচ্ছে"
মনে পড়ে গেল।........
কেন মনে পড়ে ? কেন সন্ধ্যা নদীর ক্ষুদ্র একটি ঢেউয়ের
শব্দও আমি ভুলে যেতে পারিনা ?
অথচ তোমাকে !
হ্যা, তোমার চিরচেনা অস্তিত্ব
আবিস্কার করলাম প্রায় এক আলোকবর্ষ পর !
দূর্গা সাগরে একটি দ্বীপ ছিল,মনে আছে !
আমদের সেই দ্বীপ ভ্রমণের কথা ছিল।

সেদিন তোমায়-
ভালবাসার ইচ্ছে জেগেছিল।
অথচ ভালবাসা জাগেনি।

মনে পড়ে; একদিন অল্প জলে ডুবে খুব কেঁদেছিলাম
প্রাচীন শৈশবে। ধরেছিলাম ঘাসফড়িঙের বিদ্রোহী শরীর
ঘরের জানালায়।
অতঃপর-
প্রথম চুমুর লজ্জার অদ্ভুত অনুভূতির মতন
নদী ও বৃষ্টিকে নিজের ঐশ্বর্য ভেবে
নিজের মুখ ভুলে গেছি আমি কতবার !
কতবার আমি ঘুরি ওড়ানোর ব্যর্থ অহঙ্কার
ভুলে যেতে গুনেছি বিকেলের আকাশে
ঘরে না ফেরা পাখির ডানা !
পথ আছে, ঘর আছে ;
তবু ফিরে যাওয়ার ক্ষমতাহীন সময়
যে পায়নি,সে জানেনা দুঃখের রঙ সুখের চেয়ে গাঢ়।

সেদিন হেমন্তে-
একদিন মেঘ চাঁদ নিল খেয়ে
একদিন রাত অস্বাভাবিক দীর্ঘ হয়েছিল
একদিন হ্যালির ধূমকেতু দেখে বললাম;
আর ৭৬ বছর যদি বাঁচি!
তারপর আর পাপ করবনা।
আমার প্রিয় একটি নদী ছিল
নারীর শরীরের মত নরম ও পবিত্র
সে নারী হোক প্রিয় প্রেমিকা অথবা পতিতা।
ছিল স্বপ্নে পাওয়া একটি পাহাড়,
পাহাড়টির রঙ ছিল গভীর সবুজ
আর বসন্ত ছিল ঐচ্ছিক প্রেমিকা।

একদিন আমি ঈশ্বর ভালবেসেছিলাম;
আর একদিন মানুষকে ভালবাসার আকাঙ্খায়
প্রকৃত ঈশ্বরের রূপ খুঁজেছি
কখনও যিশু, কখনও প্রকৃতি
এবং নিজের মাঝে!!

ভয়


আমি তারে চেয়েছি শুধু-মাত্র স্বপ্ন দেখার তরে, ঘুমন্ত এ হৃদয়ের প্রতিফলিত এক স্বত্তায়,
অদ্বিতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠতায়...বাস্তবে নয়,
আমি চেয়েছি তারে ছেলেমানুষি কল্পনার মোড়কে
অথবা,প্রেমরসে সিক্ত প্রিয় কোন ভিত্তিহীন চলচ্চিত্রের ন্যায়,
রাত-জাগা দুঃস্বপ্নের মন্ত্রণায়, আর যেমন ইচ্ছে ভেবে নেয়া
তাঁর দেহ-মাধুর্য কামনায়-সুললিত রমনীয় জোৎস্নায়, বাস্তবে নয়...

যদি ভুল করে কখনও বলে ফেলি,-ভালবাসি!
বলে যদি হারাই তারে তরল সারল্যে
অথবা,নির্বোধ কোন নিবেদনে
-ভালবাসবার
-পাশে থাকবার
-বেঁচে মরবার
আর বারেবারে বলবার-তোমায় খুব ভালবাসি...তাই ভয় হয়,
-হারাবার ভয়
-বেদনার ভয়
-বাস্তবতার ভয়

Wednesday, October 19, 2011

নীল কাব্য

সেদিনও এই তারা ভরা নক্ষত্রের তলে বসে
দেখিবে তুমি পরিছে ঝরে চাঁদের আলো;
এই ক্ষণিক পৃথিবীর বুকে ।
সেদিনও জাগিবে কালপুরুষ
আশ্চর্য রহস্যে কাঁদিবে আকাশ
মেঘের আড়ালে মহাসুখে ।।

সেদিনও সিন্ধুর নীল উর্মির শব্দ শুনে
ভাবিবে তুমি এলো বুঝি-
পথহারা বহুচেনা প্রিয় কেউ।
সেই পথ হারা পথিকের কান্না ভেসে যাবে
পথের বাতাসে। বলেছিল যে হারাবেনা কোনদিন
দেখিবে বেলাশেষে হারায়ে গেছে সেও।।

সেদিনও উড়িবে সবুজ গাংচিল
গোধুলীর পথে পথে
ক্লান্তিহীন নিরবে ।
জগতের কক্ষপথে সূর্য চিনে নেবে তার পথ
সেদিনও। সেদিনও দুচোখ ভরা আলো নিয়ে
কেউ কারো পথ চেয়ে রবে ।।

ধানি লংকা দিয়ে পান্তা খাচ্ছে খুড়িমা

কিছুই তো বদলায়নি
বেড়ায় জড়ানো ঝিঙে লতায় মলিন ফুল
সন্ধ্যায় আবার নতুন ফুল ফোটে
বেড়ার ও পাশে টগবগে ভুট্টা
সদ্য ফুল আসা বেগুন, মাচায় শশা
গ্রামে গরু ছাগল বাঁধার ছোট বড় খুঁটি
উঠোনের কোনায় জলের কলসি, কোদালি,
চালার নীচে চাটাই ধুমছে বুড়ি মা
খেতে নিড়া দিয়ে ফিরে সজনে শাক হাতে
ধানি লংকা দিয়ে পান্তা খায় খুড়িমা।

কিছুই তো বদলায়নি
বড় ভয় হয় ক্ষণে-অক্ষণে
অলক্ষণে পুলিশের জুতোর শব্দ
মেরে হাড়গোড় ভেঙে দেয়
ছাড়া পায় না শিশু বা পোয়াতি
গাঁ-ঘরকে উজাড় করে দেয়
পুলিশেরচে অনেক বেশি হার্মাদ
এক ভয়ের বিরুদ্ধে আর এক ভয়
সকালে রক্ত, প্রত্যহান্তে মৃত্যুভয়
একটাই আদেশ, 'চুপ, কোনও কথা নয়'।

কিছুই তো বদলায়নি
গুলি, বন্দুক, সেনার কুচকাওয়াজ
আড়ালে বীভৎস হুঙ্কার
অকালে অত্যাচারজনিত প্রসবে
মারা যায় মা ও শিশু আতুর ঘরে
এক পশলা বৃষ্টিতে পাতায় পাতায়
সদ্য-স্নাত ঠিকরে পড়া ঔজ্জ্বল্য
ঘুমপাড়ানির গান ভাসে নির্জনতায়
কিছুই তো বদলায়নি।

আমায় থাকতে দিও

তুমি বাসিয়া ভাল, দিয়েছ পরাণ, জাগে জাগে নব প্রাণ,
ধুলিকণা থেকে মুক্ত সেঁচিয়া তোমায় করিব মাল্যদান।
আমার এ সুখের মাঝে একি সুর বাজে, একি শুনি অবিরাম,
চাহনি তোমার দুরে কোনখানে, কেন হল বিধি বাম!

এমন বজ্রবান,
ছিড়ে যে পরাণ!
ধুমাভ ঠোঁটে কাঁপিয়া কাঁপিয়া তবু তোমারি নাম;
আমি কেমনে বাঁচিব,
কি করে রাখিব,
তোমারি দেয়া আমারি জগতে নবীন ধরাধাম??
আমায় থাকিতে দিও, ভালবাসা দিও, নাও গো নাও প্রনাম।।

চাইনা পরিচয়,
হওগো সদয়,
যতপার কর ছায়াসম হয়ে নিদারুন আপমান।
আমি পাতার পোশাকে,
ঢাকিব নিজেকে,
স্বাসটা নেয়ার স্বাধীনতা দিও, থাকুক এ জ্বালা জ্বলমান।।
আমায় থাকিতে দিও, ভালবাসা দিও, নাও গো নাও প্রনাম।।

মেঘ এ্যাকুরিয়াম

আকাশে আজ নেই মেঘের ছিটাফোঁটা
নীল আকাশ আর নীল দেখাচ্ছে
সূর্যের তাপে পুড়ে যাচ্ছে সব কিছু
সূর্যটাও আজকে একরোখা
কেন মেঘের সাথে এত আড়ি?
মেঘের দেখা না পেয়ে গিয়েছিলাম
মেঘের বাড়ি,ওমা গিয়ে শুনি কি
সূর্যের সাথে কাল রাতে নাকি
হয়েছে ঝগড়া মেঘ কন্যার
এটা কি কোন কথা হল?
সূর্য রাতে ঘুমিয়ে ছিল,সে আবার কখন ঝগড়া করল?
প্রশ্ন শুনে কন্যা বলে গিয়েছিলাম কাল তার বাড়িতে
অনেক দিন দেখি না রংধনুকে
ভেবেছিলাম আজ আকাশ জুড়ে ভাসাব রংভেলা কে
সে কি তেজ!রেগে গিয়ে আমাকেই দিল পুড়িয়ে
তাই আজ মেঘবাসি কে
রেখেছি এ্যাকূরিয়ামে
সূর্যটা চাইলে ক্ষমা
মেঘ ছড়াতে নেইতো মানা।

এবার ফিরাও দৃষ্টি

মুছে ফেল যত তোমার ভাবালুতা-
ভুলে যাও মুগ্ধতা,
ঝেড়ে ফেল স্নিগ্ধতা,স্বপ্নচারিতা-কল্পনার নাম।
ফিরে এসো বাস্তবে!দেখ এই ধরাধাম-
বেঁচে থাকবার জন্য-
টিকে থাকবার জন্য,
কী নিরন্তর দুঃসহ সংগ্রাম।

দূর প্রবাসী কবিতা, তুমি দেখ-
অক্ষিগোলক প্রসারিত করে দেখ,
দারিদ্র্যের রুদ্ধ বাতায়ন
আজ তব তরে হয়েছে উন্মোচন-
বহু যুগের পর!
তোমার স্বপ্নভঙ্গ যে তার বড় দরকার।
দেখ ওই পাষাণ কারার দ্বার-
খুলেছে আজ আবার!

এসো কবিতা,দেখে যাও এইবেলা-
দারিদ্র্য ভরা মোর গৃহ ,
আছে নিরন্তর ক্ষুধার দাহ।
দেখে যাও-এসে শুধু এক্লা!
এসো এই ঘরে-বিদ্রুপের হাসি হেসে-
ওই ভ্র দুটি কুঁচকে,
দামি রুমাল চাপিয়ে নাকে-
বিরক্তি নিয়ে আজ এসে,
দেখে যাও,শুধু বোলনা-এ কিসের মড়ক?
এ কোন নরক!

হয়ত যাবে নাকে পচা গন্ধ-
জীবন্ত গলিত লাশের দূর্গন্ধ!
তবু এ নারকীয় নয়
বেদনার নয়-
নয় চিরবিদগ্ধ!!
দেখ এখানে এসে-এও এক জগৎ ,
কত সুবৃহৎ!
কত কঠিন,কত নিষ্ঠুর,কত পাষান-
ইহার অন্তরস্থান!!
দেখেছ কবিতা- এরেই জগত কয়।
সাক্ষাৎ নরক এ নয়!
এর অনলবান প্রদীপ্ত জ্বলজ্বলময়-
সব পোড়ায় তবু যমদাগ্নি নয়!!

এসো কবিতা,এই বেলায়-
জানাবে স্বাগত তোমায়,
দারিদ্র্যের সৈনিকেরা-
যারা চির দিশেহারা।
ওরা পরাবে তোমায় মালা-
ক্ষুৎপিপাসা অনাহারে মৃত,
নরশিশুর কংকাল,খুলি নির্মিত-
বেদনার মালা। ভুলবে প্রাণের জ্বালা!

তোমার আগমন হবে ক্ষুধিতের চিৎকারময়-
হয়ত জাগবে বিস্ময়!
জেনে রেখ এ দারিদ্রের শাপমোচন,
বিষাক্ত প্রাণ-
চির বহমান,দারিদ্র ধারণের দংশন।
দেখ ওই বাজে প্রলয়ের গর্জন-
বঞ্চিতের ব্যথার অস্ফুট বেদন,
ধ্বংস,মৃত্যুর আগমনী গান-
এখানে হয়েছে উপমেয় উপমান!!
এরাই কবিতার ছন্দ হবে,
গানের সুর হবে-
আর তীব্র ক্ষোভে অনলবানে বর্ষিত হবে।

ওহে কবিতা! তোমার যত মুগ্ধতা,
চিরদিনের কামনীয় স্বপ্নময়তা-
কল্পজগতকে আজ দাও ছুটি!
এদিকে ফিরাও তোমার দৃষ্টি।
তুলে ধর এবার, নীপীড়িত কাঙালের-
জীবন সংগ্রামের,
ব্যথাভরা এইসব চিত্রকল্প!
আঁকো ওই বৃহৎ ক্যানভাসে একটু অল্পসল্প!

এবার ফিরাও দৃষ্টি

মুছে ফেল যত তোমার ভাবালুতা-
ভুলে যাও মুগ্ধতা,
ঝেড়ে ফেল স্নিগ্ধতা,স্বপ্নচারিতা-কল্পনার নাম।
ফিরে এসো বাস্তবে!দেখ এই ধরাধাম-
বেঁচে থাকবার জন্য-
টিকে থাকবার জন্য,
কী নিরন্তর দুঃসহ সংগ্রাম।

দূর প্রবাসী কবিতা, তুমি দেখ-
অক্ষিগোলক প্রসারিত করে দেখ,
দারিদ্র্যের রুদ্ধ বাতায়ন
আজ তব তরে হয়েছে উন্মোচন-
বহু যুগের পর!
তোমার স্বপ্নভঙ্গ যে তার বড় দরকার।
দেখ ওই পাষাণ কারার দ্বার-
খুলেছে আজ আবার!

এসো কবিতা,দেখে যাও এইবেলা-
দারিদ্র্য ভরা মোর গৃহ ,
আছে নিরন্তর ক্ষুধার দাহ।
দেখে যাও-এসে শুধু এক্লা!
এসো এই ঘরে-বিদ্রুপের হাসি হেসে-
ওই ভ্র দুটি কুঁচকে,
দামি রুমাল চাপিয়ে নাকে-
বিরক্তি নিয়ে আজ এসে,
দেখে যাও,শুধু বোলনা-এ কিসের মড়ক?
এ কোন নরক!

হয়ত যাবে নাকে পচা গন্ধ-
জীবন্ত গলিত লাশের দূর্গন্ধ!
তবু এ নারকীয় নয়
বেদনার নয়-
নয় চিরবিদগ্ধ!!
দেখ এখানে এসে-এও এক জগৎ ,
কত সুবৃহৎ!
কত কঠিন,কত নিষ্ঠুর,কত পাষান-
ইহার অন্তরস্থান!!
দেখেছ কবিতা- এরেই জগত কয়।
সাক্ষাৎ নরক এ নয়!
এর অনলবান প্রদীপ্ত জ্বলজ্বলময়-
সব পোড়ায় তবু যমদাগ্নি নয়!!

এসো কবিতা,এই বেলায়-
জানাবে স্বাগত তোমায়,
দারিদ্র্যের সৈনিকেরা-
যারা চির দিশেহারা।
ওরা পরাবে তোমায় মালা-
ক্ষুৎপিপাসা অনাহারে মৃত,
নরশিশুর কংকাল,খুলি নির্মিত-
বেদনার মালা। ভুলবে প্রাণের জ্বালা!

তোমার আগমন হবে ক্ষুধিতের চিৎকারময়-
হয়ত জাগবে বিস্ময়!
জেনে রেখ এ দারিদ্রের শাপমোচন,
বিষাক্ত প্রাণ-
চির বহমান,দারিদ্র ধারণের দংশন।
দেখ ওই বাজে প্রলয়ের গর্জন-
বঞ্চিতের ব্যথার অস্ফুট বেদন,
ধ্বংস,মৃত্যুর আগমনী গান-
এখানে হয়েছে উপমেয় উপমান!!
এরাই কবিতার ছন্দ হবে,
গানের সুর হবে-
আর তীব্র ক্ষোভে অনলবানে বর্ষিত হবে।

ওহে কবিতা! তোমার যত মুগ্ধতা,
চিরদিনের কামনীয় স্বপ্নময়তা-
কল্পজগতকে আজ দাও ছুটি!
এদিকে ফিরাও তোমার দৃষ্টি।
তুলে ধর এবার, নীপীড়িত কাঙালের-
জীবন সংগ্রামের,
ব্যথাভরা এইসব চিত্রকল্প!
আঁকো ওই বৃহৎ ক্যানভাসে একটু অল্পসল্প!

ক্লান্ত পথিক


হে ক্লান্ত পথিক—
তুমি চলেছ কোথায়??
তোমার গন্তব্য কতদূর??
নাকি অদৃষ্টের নির্মম কোন পরিহাসে
অনির্দিষ্ট গন্তব্য তোমার উদ্দেশ্য।
তোমার চলার পথের রসদ
ঠিক ঠাক কি নিয়েছ,
নাকি নিয়তি সেটাও কেড়েছে??
না জানি কত বাঁধা সয়েছ
কত কত পথ বেয়েছ
রেখে এসেছ তোমার পদাঙ্ক
ধূলিময় ওই পথের পরে।
এই পথ ধরেই হয়ত
একদিন আমরাও চলব
তোমাকে হয়তো রাখবনা মনে।
ভুলে যাব কোন একদিন
এই পথেই হেটেছে অগ্রগামী
যে ছিল নিয়তির নির্মম শিকার
আজ এ পথ হয়ত দুর্গম
তবে সুগম একদিন হবেই
সেই যাত্রায় তুমিই প্রথম
তোমাকে তো কষ্ট করতেই হবে
গড়ে যাও পথ, প্রতিষ্ঠা নিয়ে ভেবনা।
অগ্রগামী মানুষগন প্রতিষ্ঠা পাবেই
এ কথাটিই চরম সত্য।।

বেকার ভাষণ

আর কতটা প্রয়োজন আমাকে!
শ্বাস প্রশ্বাসের খেলায় দেখেছি তো,
ধ্বংসের ঠাণ্ডা খেলায় মাতিয়েছ
পিশাচ্ নরপিশাচ্ তুমি-তুমি!

হঠাৎ করুণা ঢং করে করে
যখন মিথ্যে আশার বাণী নিয়ে
অন্যকে ঠকিয়েছ- দেখেছ!
তোমার পাপে তুমি নিজেই ধ্বংস।

এখানে বিচার চেয়ে লাভ নেই গো
চলে যাও চলে যাও-বহুদূরে
এনষ্ট জন্মের পৃথিবী থেকে,
বলছি তো পারলে গলায় দড়ি দাও।

চাকরির নামে কত টাকা- কত!
কত টাকা হাকিয়েছ, বলো?
বেকার বলে আমি কি, বলো কি!
আমার দাম নেই! নিকুচি এ চাকরির।

টাকা দে, নইলে এমন মার দেব
গণপিটনির শাস্তি তুই পাবি।

নীলাভ ছোঁয়া

কোনদিন আর দুরন্ত বেগে ছুটে এসে
বলবে না তুমি মৃদু হেসে
`গম্ভীর কেন? কী ব্যাপার?
এখনতো সময় ভালোবাসার।`
কোনদিন আমি দিব না আর
তোমার রঙিন ঠোঁঠে নীলাভ ছোঁয়া।
আঁকব না আর তোমার কপালে
ভালোবাসার দুর্লভ তিলক।
স্বপ্নের দেশে দুর্নিবার গতিতে
সীমান্ত সিংহাসন পাড়ি দিব না
উড়ন্ত কনকর্ডে চড়ে।
তোমার জন্মদিনে রাত বারোটা এক মিনিটে
ল্যাণ্ডফোনের রিসিভার তুলে
বলবো না আর আমি তোমায়
`অনন্তকাল বেঁচে থাকো আমারই ভালোবাসায়`।

Sunday, October 16, 2011

বিদায় হে বসন্ত


জীবনের পথে বসে আছি আজ বহূকাল ধরে-
তুমি আসবে বলে,
হাতে ছিল নীল গোলাপ,মুখে মৃদু হাসি
জুই ফোঁটা ভোরে মাথায় নরম রোদ্র নিয়ে
তারপর দুপুরের রৌদ্রকরোজ্জ্বল নদীটির জলে
পা ভিজিয়ে অবশেষে সন্ধার শেষ আলোটুকু
চোখে নিয়ে তোমায় শুভেচ্ছা জানানোর অপেক্ষায়.....
তবু তুমি এলেনা।
গোধুলীর আঁধার ছেড়ে রিক্ত মনে নীড়ে ফিরলাম।
বসন্ত আসবেনা ভেবে স্বল্প রাতেই
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হলাম । হঠাৎ ঘুম ভেঙে
অথবা স্বপ্নে স্পষ্ট শুনলাম বসন্ত আমাকে ডাকছে; মুহূর্তে
হৃদয় অনাকাঙিক্ষত সুখের আবেগে কেঁপে উঠল ।
তবু প্রচন্ড নিষ্ঠুরভাবে তাকে ফিরিয়ে দিলাম
বললাম; “তোমায় বরণ করবার নরম রোদের
আলোটুকু নেই আর।”
নিরবে চলে গেল বসন্ত চেয়ে দেখলাম-
সুদূরের চিলের মত।
মন কেঁদে বলে উঠল;
“চলে যায় বসন্তের দিন,তবু জাগেনা আমার পৃথিবী।”

ভালোবাসা ফিরে আসে

মনের ভিতর লুকিয়ে রেখে
অমাবশ্যার রাতে নির্জন ঘরে
ভালোবাসা আবারো উপদ্রুত উপকূলে
স্বমহিমায় আছড়ে পড়ে।

পাই নি মায়ার বাঁধন কোন কালে
পরাজিত সৈনিক আমি প্রেমের জুয়া খেলে
ফলোঅন করতে বাধ্য হয়েছি বলে
ভেবো না, খেলবো না আমি নতুন সালে
খেলবো আমি,খেলতে যে চাই
হোক নিন্দা, হোক পরাজয়
সাহসী আমি দুর্দান্ত ফাইটব্যাক করবো নিরিবিলি জ্যোৎস্নায়।

কথার বাউন্সারে করেছো আঘাত
দিয়েছো তুমি মিথ্যা অপবাদ
এই ঘোর তিমিরে
তবু ভালোবাসা আসবে ফিরে
নিষ্ঠুর ইয়র্কারে!

আর কতোদিন তুমি এভাবে
একের পর এক গুগলি ছোড়বে?
পাওয়া আর না পাওয়ার হিসেব মিলাবে?
পাওয়া আর না পাওয়ার নির্মম পরিহাস
মনের মাঝে রিভার্স সুইং করে?

ধৈর্য্যের প্রতিমূর্তি হয়ে এখনো উইকেটে
রাহুল দ্রাবিড়ের মত আছি টিকে
কিন্তু দর্শকরা জানে, বুকের বুননে
জমা হয়ে থাকা মারমুখী মনোভাব
রুদ্ররূপে দেখা দিবে
হঠাৎ কোন এক স্লগ ওভারে।

আমি না জানলেও তুমি তো জানো
বিরহের প্রেম কত যণ্ত্রনাময়?
তাই বলে তোমার এমন বিজয়!
তুমি না জানলেও আমি জানি
আমার ফর্ম আসবে ফিরে
তোমার অধর ছুঁয়ে সুখের রাতে
নীল অভিমানে হার্ড হিটিংয়ে।
বেদনার পায়ে নতুন গেমপ্ল্যানে
ভালোবাসা ফিরে আসে
ভাষাহীন তোমার গাঢ়সজল চোখে।

কামিনী কাঞ্চন

নিধুয়া বনের সেই কামিনী কাঞ্চন
ষোড়শী কিশোরী এক
শরীরে ধরে যে স্পষ্টই রমনীর আভাস
একদা এক পূর্ণেন্দু রাতে
আমার আরক্ত করতলে
রেখেছিল সে অস্থির চুম্বন
করোটীর গভীরে চাষাবাদ করেও
তাকে আর স্মরণ করতে পারি না ।

টুটে যাওয়া স্বপ্নের ভেতরে কেলিতে মত্ত
সেই মরালীকে স্পষ্ট মনে আছে
যার পালকে ঝরে জল
মুক্ত দানার মত,
নিধুয়া বনের সেই নির্ঝরিনী
কুয়াশা ভেদ করে ধাবমান মেঠো পথ
সব মনে আছে,
মনে আছে পূর্ণেন্দু রাত
অশোক বনের মাতাল হাওয়া,
অশ্বারোহী সেই দেবদূত
যে স্বর্গের টিকিট বিক্রি করেছিল-
সব মনে আছে
মনে নেই শুধু সেই কামিনী কাঞ্চনকে ।
তাকে ফিরে পেতে
মহাকালের পথ ধরে ধাবমান বৃক্ষের মত
বহুরাত আমি প্রার্থনায় নতজানু থেকেছি
স্বপ্নদেবীর ঘুম ভাঙানিয়া
রাতের প্রতীক্ষায়,
স্বপ্নদেবীর ঘুম তবু ভাঙে না
স্বর্গের টিকিট তামাদি হয়ে যায়
অশোক তরুরা সব মরে যায়
আমার করোটীর গভীরে নেমে আসে
গোধূলীর বিষাদে ভরা অন্ধকার,
তবু আমি সদ্য ফোটা কুসুমের মত
ধুপের গন্ধ গায়ে মেখে
গভীর হওয়া রাতের প্রতীক্ষায়
প্রেমের আদ্র অনুভবে জেগে থাকি
যদি তুমি আস ফের
যুথবদ্ধ জোনাকির আলোয়
অন্য কোন রুপে ।।

Friday, October 14, 2011

নিষ্ঠুর মানবী

আজ না পাবার বেদনা গুলো
আমাকে যেন ক্ষয়ে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত
অশ্রু এখন আমার সাথী,
যখন এই অশ্রু যাবে শুকিয়ে
আমি তখন হয়ে, যাব সবার পর।
একদিন এমনি সময় আসবে
আমি থাকব-
কিন্তু থাকবে না আমার হাসি
থাকবেনা সরলতার দূর্বলতা
থাকবে না কারও প্রতি ভালবাসা
থাকবে না কারও প্রতি সহানুভূতি
আমি হব নিষ্টুর মানবী।

Thursday, October 13, 2011

প্রেমের স্মৃতি


শেষ কবে দেখা হয়েছিল মনে নেই
স্মৃতিগুলো নাড়া দেয় আজো
কোথায় পড়ছো এখন:বুয়েট নাকি ভার্সিটি?
তুলির সাথেও যোগাযোগ নেই বহুদিন
সময়টা চলে যায় বড় দ্রুত, কেমন আছো তুমি?

কলেজ ক্যান্টিন আজো আছে,আছে লাইব্রেরী
শুধু নেই তুমি,আমি তো তোমার আগেই বিতাড়িত
সেটা কী আবেগের বশে নাকি ভাগ্যদোষে
আজো তার এক্সরে রিপোর্ট পৌঁছায়নি আমার হাতে
মনে নেই, শেষ কবে দেখা হয়েছিল তোমার সাথে?

তোমাকে খুঁজতে আমি যাই নি কোনদিন ক্যাম্পাসে
কোথায় আছো নীলিমা? বিক্ষুব্ধ এদেশে নাকি পরবাসে?
শেষবারে তুমি চেয়েছিলে আমার ঠিকানা,আমি তো চাই নি
এরপরে জুটেছে বহু শুভাকাঙ্খী,তোমার মত কাউকে পাই নি
মুখ ফুটে তোমায় কোনদিন বলি নি,তুমি আমার প্রিয়তমা
অশান্ত মনে ঢেউ খেলে যায়; ভালো থেকো, নীলিমা।

প্রিয় অংশুকবি-জীবনের রঙে তুমি কী!
তোমাকে দেখেছি-তোমাকে বার বার দেখেছি
কৃষ্ণচূড়ার তলে মেঘলা আকাশের ছায়াতে
মনের যৌবন নিয়ে চল্লিশ পেরিয়ে, হে কবি!
তুমি জানান দিলে কবি হয়েছ, বুঝিনি!
বুঝিনি তোমাকে, বিচিত্র পথে ভেবেছি,
যৌবনের রূপ খুঁজিনি কেন আগে, কেন হে!
তুমি কী ফুরিয়ে গেছ ভেবেছ? হয়তো না-
তোমার যে দেবার আছে অনেক বাকী, জেনে নাও-
জেনে নাও হে কবি, তোমার পুষ্পিত ঠিকানা।

তুমি ভেবে ভেবে স্বপ্নের ঠিকানা বলে দাও
তাই তো তোমার ভাবনায়-যে বিশালতা খুঁজে পাই
তারই বর্ণনা করে ভালবাসায় মিশে যাই।

তোমার যৌবন রাণী বৃদ্ধা হয়েছে-বলছ কী!
মনের যৌবনে সে-আজো তোমারই প্রেয়সী
হয়তো আমি ভাবি-ভাব ভালবাসা কমেনি,
অম্লান চোখের দৃষ্টি থেমে থেমে আসবে বলে
তুমি বিচলিত, ভাবতে পারিনি-পারিনি!

অনেক ঘটনার ভাব-যখন ঘনীভূত মনে
বিশাল ভাবনার দেয়াল কঠিণ শ্রমে এঁকে ফেলে;
তখন তোমার কথা মনে মনে স্মরণ করি-
জীবনের শ্রমিকে ভাবনার এই বুঝি পৃথিবী!

সালাম তোমায় কবি-আপাদমস্তক যে কবি
যার কথা শুনেছি তুমি কি সেই-সে কবি!
কেন ঢোল বাজিয়ে বিদ্যার খসড়া জানান দাও?
ভালবাসার মনে আমি আহত হই বলে,
পেতে চাই মহাকাব্য তোমার কলম-রস থেকে
আপন স্থির মনে সেই-বহমান নদীর বক্রতায়,
সরলতা পাবে-রঙিন ফুলের গোলাপ শাঁসে,
তাই প্রত্যাশার ছায়া দরদ দিয়ে ভাবনায় রেখ
আর জীবন দর্শনে সেই দ্বন্দ্বকে ভুলে থেকো
ভালো থেকো প্রিয়, শুভকামনা সতত
ইতি তোমারই সেই- একজন

_____কে, এম, ওমর ফারুক!

ভুলে গেছি হাটতে পথ সোজা..............

কুমারিত্ব হারিয়েছে অনেক আগে
আমার মাথার মগজ;
তাই তো এখন আদর্শের কোন চৌকাঠ মারায় না।
নম্র নৈতিকতাবোধ
কবে, সময় সব গ্রো-গ্রাসে গিলে ফেলেছে;
তাই তো সম্ভ্রম আর গায়ে মাখে না।
নিষ্ঠুর বর বর যত
পথ আগলে দ্বারিয়ে থাকে;
তাই তো অবলীলায় দেখতে হয় লুন্ঠুন।

ভুলে গেছি হাটতে পথ সোজা
আঁকা বাঁকা পথে সময় ঘানি টানে;
বিপন্ন সময় আজ মুখ থুবরে পরে থাকে মেঘের আকাশ তলে।
এমন বিষন্ন সময়
মানুষ আজ হয়েছে রাক্ষস নষ্ট রক্ত চুঁসে;
তাই আজ শুকুনের ঠোঁটে রক্তমাখা হূদপিন্ড।
পুঙ্কিলতার যত অশ্রাব্য
খাচ্ছি গিলে খাদ্যনালী তাই ক্যান্সার আক্রান্ত;
মৃত্যু বলছে ডেকে পথ যে তোমার ফুরালো।

নাগরিক ভালবাসা ......


তুমি আমাকে আজো ভালবাসতে পারোনি
আজো পারোনি মৃদু তানের উচ্ছ্বল কণ্ঠে,
বায়ুর হিল্লোলে-হাশিয়া
পাখির উল্লাসে গান শোনাতে।

তোমার চোখের গ্রহে যে তারা জ্বলে
শিরায় শিরায় জানি একদিন আকাশ হবে,
ওরে ঐ সকাল-গোধুলি সন্ধ্যা
সোনার কমলে রোমাঞ্চিত মাটির ভালবাসা দিয়ে যা;
আমার প্রিয়াকে-আমি ভালবাসা দিতে চাই।

পৃথিবীর নরম নরম ভালবাসা
আজ আর দেখা যায়না
দেখা যায়না সেই জীবনানন্দের ভাবনা-
আজ আর রোমাঞ্চিত কথায় কথায়
ভালবাসা টিকেনা;
আজ আর বিশ্বাস নিয়ে সংসার চলেনা।

কর্মের ব্যস্ততায় নগরের জটিলতা
হয়তো দূরত্ব-সৃষ্টি করে করেই অভ্যস্ত
জীবনের স্বস্তি খুঁজে বেড়াই মনে,
এসি চলা নিরব ঘরে বসে
কল্পনার সব রং মিশিয়ে মিশিয়ে
যখন ভাবি তোমার কথা-
তখন তুমি সেই-তুমিতে থাকোনা।

আমি নম্র কোমল ভালবাসার মানুষ
নাহ! ভালবাসার মানুষ হতে পারিনি,
ভালবাসা দিতে গিয়ে-
চরম সত্যের মুখে আগুন দিয়েছি।

যুগের এ শহরে যন্ত্রের মতো থেকে থেকে
আপন ঠিকানার নিবন্ধন আর-
ভালবাসার শুদ্ধ সত্যকে ফেলে এসেছি।

হয়তো সন্ধ্যায় লেকের ধারে হেঁটে হেঁটে
কোমল বাতাসের নিরব স্পর্শে শান্তি পেয়েছি
আর গভীর রাতে বাসায় ফিরে,
অভিমানের আগুন জ্বালিয়ে-
ড্রিম লাইটের মৃদু আলোতে বসে
লুকোচুরির মতো করে তোমার-
হ্যাঁ একে অপরের ছায়ামূর্তি দেখেছি
সারারাত ঘুমাতে পারিনি

__________ওমর ফারুক

পারলে একটু ভালবাসিস!


তোর আকাশে আমার ঘুড়ি ওড়াবো আজ
পারলে তুই কাটিস সূতো,
তোর জমিনে লাঙ্গল দেব কেঁচোর মত
তুই হবি আমার দ্রুত,

তোর নদীতে ভোদড় হয়ে দেব আদর
পারবি না পোষ মানাতে,
তোর চরের কাশফুলেরা আমার কথায় হবে লেঠেল
বিকিয়ে দিবি দেহ আমাতে,

তোর পাহাড়ের সরু পথে করব পাচার, ভালবাসা
অসহায় কাঁপবি ক্রোধে,
তোর বনের উলঙ্গ-গা ছেয়ে দেব কালো-সবুজে
জানি ছুটে আসবি মোহে,

তোর উদাসী চোখের পাতায় হব আমি শালিকের শিস-
চাই না মেয়ে একটু কাঁদিস,
আমার সারাবেলা দেব তোকে উজাড় করে-
পারলে একটু ভালবাসিস !


_______বনসাই মেয়ে

ধূসর স্মৃতি…

রাতের নিস্তব্ধতাই এখন প্রিয় সাথী,
অন্ধকারের নির্জনতাকে তনুতে মাখি।
নির্ঘুম লোচন এর ঝাপসা শুন্য দৃষ্টি
ভীত-সন্ত্রস্থ আমি, এই বুঝি ঝরে বৃষ্টি।

বিমূর্ত এ রাতে জানালার কার্নিশ ধরি,
সময়ক্ষেপনে তোয়াক্কা আজ নাহি করি।
চকিতে সেই প্রিয় মুখগুলো চোখে ভাসে,
ভুলতে গিয়েও আবার ফিরে ফিরে আসে।

ধূসর স্মৃতিগুলোকেই বারে বারে স্মরি,
শুধুই মিছে মায়াজাল রোমন্থন করি।
শত ভাবনা মনের গহীনে দিয়ে ঠাঁই,
নিত্য-নতুন স্বপ্নের জাল বুনে যাই।

ক্ষনিকের ভাবনাকে ঠেলে দূর কর’ত
নিজেকে উজ্জীবিত করতে নিজেই রত,
অসাধ্য ঠেকে, দুর্বোধ্য সব, শুধু নিরাশা
মুক্তি কি তবে নেই ললাটে? সব দূরাশা!

আশা-নিরাশা দোলাচলে সাহসই পুঁজি
মিথ্যে বিসর্জন দিয়ে সত্য নিয়েছি খুঁজি।
কন্টকময় পথের আমি অজানা পথিক,
জানি, স্রষ্টাই দেখাবেন সর্বোত্তম দিক।

স্বপ্নের রাতে ...............

তুমি কী কখনো রোমাঞ্চিত হও?
নির্জনে প্রিয়তমের মুখোমুখি হও?
সুপ্ত বাসনা জাগে কী তোমার মনে?
আদিম বাসনায় শিহরিত প্রাণে?
দু হাতে জড়িয়ে ভালোবাসো কী তারে?
স্বপ্নের রাতে ভেসে বেড়াও কী ভালোবাসার ঝড়ে?
গভীর রাতে ইচ্ছে করে কী তোমার চাঁদের সঙ্গে হাটতে?
আকাশের তারার সাথে গভীর মিতালী গড়তে?
তোমার কী ইচ্ছা হয় স্বপ্নের দেশে ঘুরতে?
পৃথিবীতে দুজনে মিলে প্রেমের রাজ্য গড়তে?

Sunday, October 9, 2011

তোমাকে ভালোবেসে আমি


তোমাকে ভালোবেসে
আমি পৃথিবীকে ভালোবাসতে শিখেছি
তোমাকে ভালোবেসে
আমি নিজেকে গড়তে শিখেছি
তোমাকে ভালোবেসে
আমি নিজেকে চিনতে শিখেছি
তোমাকে ভালোবেসে
আমি হূদয়ের অমৃত সুধা পান করতে শিখেছি
তোমাকে ভালোবেসে
আমি কষ্ট পেতে শিখেছি
তোমাকে ভালোবেসে
আমি ভালোবাসা চিনেছি
তোমাকে ভালোবেসে
আমি বুঝেছি-প্রেমেই জীবন
তোমাকে ভালোবেসে
আমি জেনেছি-প্রেমেই মরণ
তোমাকে ভালোবেসে
আমি দেখেছি দুচোখে-পৃথিবীর সবকিছু সুন্দর
তোমাকে ভালোবেসে
আমি জেনেছি-পৃথিবীর সবচেয়ে
তুমি বেশি সুন্দর।

Friday, October 7, 2011

যুগল বসবাস


তিরতির কাঁপে
সুখের প্রজাপতি
ধরিনা
ছুইনা
উড়ে যায় যদি;

মনে পড়ে
রাজহংসী গ্রীবা
কবোষ্ণ বুক
সেথায় একদা ছিল
আমার যত সুখ;

দূরে যাও তুমি
সরে যাই আমি
নয়া জাল বুনে
মাকড়সা হাটে সেথায়
কন্দল বন্ধনে;

এক ঘরে
এক বিছানায়
যুগল বসবাস
ঘুনপোকা কুটকুট কাটে
বাড়ে সর্বনাশ ।

Wednesday, October 5, 2011

তুই আমার


তোর চোখের অবেলা রোদের মত দৃষ্টি
আমাকে কাছে ডেকে বলে
তুই আমার,
আয়নায় চকচকে তোর যে কামিনী প্রতিবিম্ব
সে আমার;

ক্রমাগত তোকে কেন্দ্র করে
বৃত্তাবদ্ধে ঘুরতে থাকে আমার দুরবর্তী
নক্ষত্রপঞ্জী ভালোবাসারা;
তোর বাঁকা চোখের কাছে
কত নদী শুনিয়ে গেছে দুঃখের গাঁথা;
তবু তোর মাঝেই ডুবেছি ভেসেছি;
খেলেছি
অতল জলের প্রেম খেলা।

শরতের যে আদল আমায় আসমান দেখায়
সে তুই;
তোর মাঝেই শারদীয় কাশফুল হয়ে
ফুটে থাকে দেবী দুর্গা;
তার সকল শুভ্রতা নিয়ে তুই আমার।

প্রলয়িনা এসো!

আড়ালে থাক যতটা সময়
মনে হয়...আমি সঙ্গাহীন কোন অস্তিত্ব,
নীরব-নীথর কোন শুন্য জগতে রুদ্ধ, একা,
সে একাকীত্ব ঘোঁচানোর ভান করে তাই-
করতে থাকি সিলেবাসের সব অংক, অসীমতক সমষ্টির ধারা,
মেলে না যদিও,
এর চেয়ে তোমার চোখের কৃষ্ণ-গহবরের
আকর্ষিক শক্তি নির্নয় সহজ (তুমি চাইলেই-
আত্মঘাতি মহাকাশচারীর ন্যায় এক ঝটকায় হারাব সে গহব্বরে),
আর সহজ...একটি একটি করে তোমার এলোচুল গোনা
(স্নায়ুকোষহীন সেসব চুল জানি ঠিকই তোমার দেহে পৌছে দেবে-
আমার কম্পিত আঙ্গুলের ভালবাসা, তুমিও কি পারবে থাকতে স্থির?)
আর সবচেয়ে সহজতম হবে- তোমার গ্রীবাদেশে জ্বলতে থাকা লাস্যময়ী তিল'টিকে
আমার সিক্ত ঠোটে 'হ্যা' বলতে শেখানো (তুমি চাইলেই- চব্বিশ ঘন্টা যাবৎ
মিথ্যে করে বলব,আমি অভুক্ত-ক্ষুদার্ত)
এসবের স্বপ্ন দেখতে তুমিই আমায় শিখিয়েছ,
হে বন্ধু! তবে কেন আজ আড়াল হও?
তবে কেন দুরে রও?
কেন!

স্বস্তা প্রলয়হীনা জীবন আর লাগে না ভাল,
আমি ডিঙ্গি নৌকার মাঝি হব,
তুমি সর্বনাশী পদ্মা হও,
ঝড় ওঠার অনেক আগেই- কথা দিলাম ঝাঁপ দেব ও'বুকে!

_____বনসাই মেয়ে

জীবন


দুঃখের অশ্রু বিন্দু বিন্দু গড়িয়ে পড়ে মাটিতে
ভেজা ধূলো উড়ে যায় বহুদূরে উদ্দাম বুনো হাওয়ায়
এদিকে,একটি বিড়াল বিশ্রাম নিচ্ছে পাশের বাড়ির ছাদে
প্রকৃতি দুঃখ পাবে ক্ষুধিত কান্নার করুণ আর্তনাদে
টেবিলের উপর পড়ে থাকা ঘড়ি একটানা বেজে যায়
শ্যাওলা জন্মেছে বাড়ির চারপাশের দেয়ালে
আমগাছে মুকুল এসেছে কিনা বলতে পারি না
এলোমেলো ভাবনাগুলো কিংকর্তব্যবিমূঢ়
উতলা বালিকার দৃষ্টির তাপদাহে পুড়ে যায় ইস্পাত মন

ধুত্তোরি,কিছুই লাগে না ভালো
কী যে কলিযুগ এলো?
ফুল ধরেছে গুটিকয়েক পাশের বাড়ির টবে
গাছের পাতা ঝরে পড়ে,ডালপালা মরে জ্বালানী কাঠ
সবকছু যেন ঝড়ে পড়ে যায়,
মেঘবালিকার স্বপ্নগুলো মরে যায়
শশ্মানের চিতায় পুড়ে জীবনের ইচ্ছাগুলো
ভেজাধূলো উড়ে যায়,
স্মৃতির এ্যালবাম জানিয়ে দেয় ভুলগুলো

সদ্যজাত খোঁচা খোঁচা দাড়ি: ভীষণ অগোছালো
শেভিং ক্রীমের স্পর্শে, রেজারের স্পর্শে পায় অনুপম সুখ
উদ্বিগ্ন মনে উতলা বালিকার চাঁদের ন্যায় মুখ
মরিচা ধরে প্রেমে,ক্ষুধিত কান্নার করুণ আর্তনাদে
থমকে গ্যাছে জীবনের গতি,পালে লাগে না হাওয়া
ধুত্তোরি,তার চেয়ে ভালো ঝাঁপ দিয়ে মরে যাওয়া

আলো নেই,শীতের বিকেলে সূর্য লুকালো
কুয়াশার আস্তরণে ঠাণ্ডা লাগে,গ্রীষ্মকালই ভালো
পেটে মাল নেই, অভাবে পাঁজরে থ্যাৎলানো দেহ
পাথর দিয়ে বেঁধে রাখি মৌলিক ইচ্ছাগুলো
থমকে যাই:খেতে পাই না কিছু, গায়ে লাগে হাওয়া
ধুত্তোরি, তার চেয়ে ভালো লজ্জার দাবদাহে মরে যাওয়া।

_______মুজিব উল্লাহ

Tuesday, October 4, 2011

সমাপ্তি


যদি অশ্রুগুলো বর্ষণের বেগে
দুচোখ থেকে ঝরে যায়
আকাশের তাতে কিইবা এসে যায় ?

যদি স্বপ্নগুলো চিরতরে হারিয়ে যায়
জীবনের সকল অধ্যায় থেকে
জীবন কী তাতে একটুও থেমে যায় ?

শরতের সফেদ মেঘগুলো কী জানে
কী ব্যথা বুকের বাঁপাশে ?
সারি সারি কাশফুলগুলোও তো জানেনা
কবিতার কষ্টার্ত কথামাল !

কবিতার হরফগুলো ক্রমশ ঝরে পড়ে
ঝরা পাতা কিংবা পালকের মত
কবিতারা প্রতিনিয়ত আর্তচিৎকারে
আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে

কবিতাগুলো যেমন বুঝেনা শরতের শুভ্রতা
তেমনি বুঝেনা হৃদয়ের আকুলতা
আমি আহত হৃদয় নিয়ে দেখতে থাকি
কবিতাগুলোর করুণ সমাপ্তি ।

_______সাইফ

আঁধারের পথ যাত্রী


আঁধারের পথ যাত্রী আমি
আঁধারে এসেছি আঁধারেই চলে যাচ্ছি
রেখে যাচ্ছি পদচিহ্ন
যদি কোন দিন কারো মনে পড়ে
এই অভাগারে
যদি ভুল করে আসে কেউ
এই পথ ধরে
তবে পথ 'পরে
দেখে নিও আমার কবিতা
না পড় তবু হাতে তুলে নিও
বলো, হে বন্ধু তুমি কোথায়?

Monday, October 3, 2011

ভাবনা


আমি যা ভাবি
তুমি তা ভাবোনি কখনো
এমনকি এখনো পর্যন্ত,
নইলে তোমার আমার ভাবনা
সেই কবেই মিলে মিশে একাকার হয়ে যেতো;
না হোক অবিরাম ধারায় আবেগিত বৃষ্টি ঝরিয়ে
দু হৃদয়ে বন্যা বইয়ে দিতো।


আমি যা ভাবি
তুমি তা ভাবোনি কখনো
এমনকি এখনো পর্যন্ত,
নইলে তোমার আমার ভাবনা
সেই কবেই মাউথ অর্গান ফুঁকে সুমধুর সুর হতো;
না হোক হেলাল হাফিজের মতো প্রিয়ার
মৌনতা সব খেতো-
অথবা আড়মোড়া ভেঙ্গে ভাবনা সব
কলি ছেড়ে গোলাপ হয়ে ফুটতো!

পাথর সময়


আর কতটা পথ পারি দিলে পৌছব গন্তব্যে?
কতটুকু সইলে তবে শেষ হবে কষ্টের জাল বোনা!
আর কত রাত পার হলে দেখব ভোরের আলো?
নাকি এখানেই শেষ হয়ে যাবে সকল পথ চলা!
এখানেই বুঝি থেমে যাবে সব, জীবন এসে থমকে আছে যেখানে;
আমি আর এগুতে পারছি না, জীবন আটকা পরেছে পাথর সময়ে।
আমার পা দুটো যেন শেকড় হয়ে আটকে যাচ্ছে মাটির সাথে;
চারিদিকে কাঁচা শৈবালের গন্ধ...
আমি কি তলিয়ে যাচ্ছি কোনো অতল সমুদ্রে?
কি যায় আসে, যদি আমি বৃক্ষ হয়ে আটকে পড়ি কোনো অরন্যে,
জানি কিছুই যায় আসবে না যদি ঝিনুক হয়ে তলিয়ে যাই ওই অনীলে;
আমার দুঃখ, ব্যাথা, কষ্ট, ভালবাসা কিছুই আর আলোড়িত করে না তোমাকে

তুমি ও জল

জলের ধারে একটু সময় থেমে
হাত রাখলে তাহার বুকের উপর,
তারপরেতে সায়র মাঝে নেমে
হারিয়েছিলে তোমার পায়ের নূপুর।

সেই নূপুরের ছন্দটুকু আজো
জলের ভেতর রিনঝিনিয়ে বাজে,
তোমার মুখের লজ্জারাঙা সাজও
আমার বুকে,
জলের বুকে মুখ ডুবিয়ে আছে।

ভালোবাসি


আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি
ভাল লাগে তোমার মিষ্টি হাসি
আমি কবি নই,আমি শব্দচাষী
আমি শুধু তোমাকেই ভালোবাসি
তোমাকে দেখলে আবেগে বুক কাঁপে
থাকতে পারি না বেশীক্ষণ উচ্চ হৃৎচাপে
আমি যখন তোমার কাছে যাই
হৃদয়ের স্বাভাবিক ভাষা হারাই
আমি তোমাকে মধ্যনামে ডাকি
তুমি আমার প্রেমের নীড়ে দুষ্ট পাখি
তোমার হল কন্যা আর আমার বৃশ্চিক রাশি
থাকবো মোরা দুজনে আমৃত্যু পাশাপাশি।

মান অভিমানের কাঠগড়ায় ভালবাসার দায়


অনেক ফুলের মেলায়
লাল গোলাপটির হয় যে খোঁজ
নিত্য বিকেল বেলায়।

বাগান জুড়ে ভ্রমন
উথলে উঠা স্মৃতির জোয়ার
কঠিন কষ্টে দমন।

কে ছিড়েছে তারে?
পাখ ছড়ানোর সন্ধিক্ষনেই
ভালবাসতাম যারে।

যত্ন, অনেক যত্নে
ভালবাসায় দাড় করিয়েছিলাম
প্রগাঢ় এক রত্নে।

কেউ দেখেনি তায়
মান অভিমানের কাঠগড়ায়
ভালবাসার দায়।

বৃত্তাকারের আধাঁর
চন্দ্রালোকে আজ হয়না বিলাস
অতৃপ্ততায় কাঁদার।

হয়তো চুপি আসে
না বলা সব পঙক্তিমালায়
আমায় ভালবেসে।

কাল-কালান্তর পাকে
ফুটবে রঙ্গিন হাজার গোলাপ
জীবনকুঞ্জের বাকে।

নূতন দিনের হাওয়া
পাখছড়ানো ঐ স্বপ্নান্দোলনে
ক্ষনিককালের বাওয়া।

চমকে উঠি হঠাৎ হঠাৎ হাসছে চুপি কেউ হয়তো
খামছে ধরি বুকের পাশটা লাল গোলাপটি নয়তো?
****

কল্পনার তৃপ্তিটুকু রোধ কোরোনা….


আমার কবিতার প্রতিটা শব্দের মাঝে
তুমি তোমাকে খোঁজো, আশ্রয় খোঁজো
তুমি কেবল একটা শব্দই খুঁজে ফেরো।
আমার দুঃখবোধটা শুধু সেখানেই
কখনো বুঝতে চাওনি-
পুরো কবিতা তোমাকে নিয়ে লেখা।
তাই প্রশ্ন জাগে মনে;
তুমি কি আমাকে ভালবেসে ছিলে
নাকি ভুলতে চেয়েছিলে তোমার অতীত?
বিশ্বাসের কোন মন্ত্র আছে?
আচ্ছা তুমি বলতে পারো একটা শব্দে-
কখনো কবিতা হয়?
অথবা এক জীবনে সকল স্বপ্ন-পূরণ?
তোমাকে ভালবেসে আমি লোভী হলাম
কামনায় নীল হলাম, স্বপ্নচারী হলাম
অথচ সমাজ আমাদের পায়ে বাধা
বাস্তবতা চোখের সমানে;
তবুও আজুহাত খুঁজি একে অপরকে দুষি করতে!
কতোটা নির্মম আমরা ভালবাসাকে অস্বীকার করতে!
আর তুমি কেবলই-
আমাকে ভুলেতে আমাকেই মনে করো।
সেই রাত থেকে কাল রাত,পৃথিবীর শেষ রাত
ভুলতে পারবে আমাকে যদি ভালবেসে থাকো
তবে কেন রক্তাক্ত হও প্রতি রাতে?
কল্পনার তৃপ্তিটুকু রোধ কোরোনা…..
ভালবাস এই সত্যটুকু অস্বীকার কোরোনা।

_______সৈয়দ মাজহারুল