আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। Lyrics by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Music by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Monday, November 28, 2011

অপেক্ষা

একসময় বৃষ্টির স্পর্শে আবেগতাড়িত হত মন।
এখন প্রায়ই শিশিরের কোমল স্পর্শে
স্পন্দিত হয় হৃদয়।
তারপর ও শূন্যতা-
কি যেন নেই, কার যেন স্পর্শের অভাব।
কবেকার মনোহর মনে আজ হেমন্তের কুয়াশার চাদর।

সেই কবে শিশির স্নাত কারো পায়ের স্পর্শ
বেধ করেছিল আমার কর্ণকুহর।
মনের স্পন্দনে-
পালিত ভালবাসা জেগে উঠেছিল
দীর্ঘ বিরতির পর।

সে সব শুধু আমার ছিল আয়োজন
ছিল মনের আত্মসমর্পণ।

মর্মর শব্দে হেমন্তের ঝরা পাতার সাথে
প্রতিদিন আমার শরীর হেঁটে যায়
গাছের মরণ পাতার সাথে হয় বন্ধুত্ব।
তবুও কেহ ফিরে নাহি চায়,
দীর্ঘশ্বাস ফেলে এখনও চমকে তাকাই কারও অপেক্ষায়।

রাতের স্বর

আমি দেখেছি সোনালি রাতের বাতাস
গাছের পাতায় দোল খেয়ে
এক নিরব শব্দের প্রেম বুকে ধারণ করে,
দক্ষিণ সাগরে খেলা করা এই বাতাস
রাতের স্বর হয়ে হয়তো আমার জীবনে
যোগ বিয়োগের কথা স্মরণ করায়-তাই তো
ঐ মৃত জলে বেঁচে থাকা স্বর কাঁন্নায়
স্মৃতির বোঝা নিয়ে আমার গোলা ভরে তোলে;
পিপাসার মুখে-আমি সারারাত জেগে থাকি,
ঝরে পড়া পাতা নির্জন কানে মৃতের আওয়াজ দেয়
বুঝতে পারি বিদায় নিয়েছে কিছু প্রাণ,
পৃথিবীর পথে নয়
নতুন পথের যাত্রায় মানুষের সুখ মলিন করে
হয়তো ক্ষণিকের পাখিরা তোমার ছায়ায়
আশ্রয় নিয়েছে ঐ ধূসর শান্তির মতো,
রাত জেগে আছে তোমার মনের চোখে;
ঐ চোখের যৌবন ফিরে পাবে দেহ
এরাত কেটে যাবে বেদনার হিমে
আমি বসে রব মুহূর্তের কালে।

Friday, November 25, 2011

স্বপ্ন জোনাকি

তুমিই বানিয়েছো আজ এমন রাজা..
এ রাজ্যে নাই কোনো প্রজা..

অন্দকারে পেয়েছি এক ধ্রুবতারা...
তার জন্য হতে পারি আমি সর্বহারা...

ইচ্ছে হয় ঐ চাঁদকে তোমার জন্য আনি...
কারন এ রাজ্জ্যে তুমিই তো একমাত্র রানী

জোনাকি হয়ে এসেছো তুমি মোর জীবনে...
আলো কি ছড়াতে পারবে মোর মরনে...?

জিবনে পেয়েছি অনেক, পাইনি একটি কথা...
বলোনি শুধুই তুমি আমার, এই একটি ব্যাথা...

এই ব্যাথা মুছে গেলে এ জিবনে আর চাই কি...
আমার সব কিছুই জুড়ে আছে.....

.................এক অনন্যা জোনাকি...

__________ভুতের আছড়

প্রিয়তম...

শোনো,
মাঝে মাঝে এলোমেলো হতে
এত ভাল লাগে কেন?
গুছানো সব অগোছালো করে
স্বেচ্ছাচারীর মত নেড়েচেড়ে
নিশ্চিন্ত গৃহকোণ ছেড়ে
যাযাবর হতে কেন এত ইচ্ছে?
ধোঁয়াশা পথের এই আকর্ষণ
এত দুর্নিবার কেন?

আমার দিনগুলো

এতদিন যাওয়ার পরে বলি আছে বহুদিন
দিন যত হচ্ছে গত, আশা তত ক্ষীণ
বিফল হয় আশা, খেলি শুধু পাশা
কেটে যায় বেলা করে রং তামাশা
কখনো টি.ভি. দেখতে বসা কখনো অঙ্ক কষা
করি আজো হেলা ভাগ্য যেন সর্বনাশা
আমি যা ভাবি তা মিথ্যা হয় বারবার!
আমি যারে ভালোবাসি, দুর্ভাগ্য সঙ্গী তার
আমি যেমন কই বাস্তবে তেমন নই?
ছদ্মবেশে ভাল মানুষ সেজে রই!
নাহি কমে ভয় নাহি কমে লজ্জা
নাহি কমে অন্যায় নাহি কমে সাজসজ্জা?
কখনো কামে কখনো ক্রোধে
কখনো ঘৃণায় কখনো প্রতিশোধে
কেটে যায় আমার দিন!
দিন যত হচ্ছে গত, আশা তত বিমলিন।

__________মুজিব উল্লাহ

রং বদলের

দুর্বৃত্ত প্রেম ভাসিয়ে নিয়ে যায়
সুতানলি সাপের মতন গলায় ঝুলে থাকে।
প্রাপ্তিতে ঋণ বাড়ে, বন্ধনে অটুট
স্বার্থের বীজ বোপিত হয় কামনার রংয়ে।

দ্রুত কেটে যায় স্বপ্নালু প্রহর
ঘোর ভাঙায় প্রতিবেশী
কাঁটাতারের বেড়া তুলে
সীমানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।

পড়শিকে ডেকে বলে,
"দেখো ঐটা আমার, এটাও!"
কেউ ঈর্ষায় পোড়ে, কেউ নিশ্চুপ!
অবলা নয় সে
এবার ঠিক কাজটিই করুক।

দানাপানি নেই সাপুড়ের ঝাঁপি
বিষদাঁত ভেঙ্গেছে কবেই
তবুও ঐন্দ্রজালিক ফণা তোলে
ফোঁস ফাঁস।
লালা গড়িয়ে পড়ে। প্রতিশোধের দাঁত
কামড়ে খায় গোটা অস্তিত্ব।

নির্জলা সত্য জ্বলছে সতর্ক প্রহরায়
কারো কোন ক্ষতি না করেও
আজ সে কাঠগড়ায়।
ছিনিমিনি খেলার পুতুল কেবলই
হাত বদলায়।


_____________সাইফ ভূইয়া

আমি কারো প্রিয় হতে পারিনি........

হেমন্তের পড়ন্ত বিকেলে দিগন্তজুড়ে
যে শীতল হলদে হাওয়ারা ভেসে বেড়ায়
সেতো আমারই আকাঙ্খিত আরাধনা

রাতভর জোছনার আলো বিলিয়ে দেয়ার পর
রাত্রিশেষের অর্ধমৃত চাঁদটাকেও
সীমাহীন আবেগে আমি আপন করে নেই

হিমাদ্র শীতের কুয়াশাঝরা ভোরে
ঘাসের গালিচায় নগ্ন পায়ে রোজ হেঁটে বেড়াই
সেতো শীতকে ভালোবাসি বলেই

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড উত্তাপে ক্রোধান্বিত সূর্যটা যখন
অগ্নিভষ্ম করতে চায় শান্ত পৃথিবীটাকে
ঠিক তখনই করি আমি সূর্যের সাথে আলিঙ্গণ

উত্তাল সাগরের ভয়ানক গর্জনে
সকলেই যখন ছোটে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে
আমিই তখন করি শুধু সমুদ্রস্নান

জীবনের এতটা বসন্ত পেরিয়ে এলাম
কত দুঃস্বপ্ন আর দুর্জনকেও প্রিয় করে নিলাম
অথচ আজো আমি পারিনি কারো প্রিয় হতে !


________সাইফ সাইমুম

লরেলকুঞ্জে ভ্রমন!

লরেলকুঞ্জে ভ্রমন!



এখনো যে অনেক বাকী দূর সম্মুখে যাবার!

হেমন্তের শেষ নি:শ্বাস ফেলার আগের চ্ছটায়
নিষ্ঠাবান হয়েছিলাম। ঘোর বনপথে তখনো
তাঁবু গাড়েনি ছায়ারা।পাথরেরা জেগে ওঠায়
পিছু হটা, যেখানে ফুরোয়না সময় কখনো।

আমার প্রথম অভিযান! জেগে ওঠার, একা
একা। চারপাশটা বড্ড কেমন যেন, ছমছম,
গা ছমছম, এক ম্লান হিমেল আলোয় ঢাকা
জলপ্রপাতেরা আপনমনেই ঘুরিয়ে চলে চাকা।

আমার সংক্ষিপ্ত ভ্রমন,এক লরেলকুঞ্জের পাশে
চাঁদের আলোটিও এক বহুবর্নের ঘ্রানে হেলায়
অবহেলায় হাসে। আসে হাতটি বাড়িয়ে উষ্ণ
ছোঁয়ায়, আচমকা মাদকতাময় পূর্ন রাহুগ্রাসে।

এ হল শেষ প্রহরের প্রহেলিকা, দীর্ঘ বৃত্তান্তে
বর্ননাময়, তবে আমার সব কৌশলই জানা,
কিভাবে ক্লান্তি হ্রাস হয় এক মদির চুমোয়?
বসন্তের এ আবাহনে শীতটি যেমন ঘুমোয়।

ভয়গুলো সব হামাগুড়ি দিয়ে আসে। চেপে
ধরে ক্ষনিককাল, যেন ব্যাঞ্জনা স্তবগীতের,
স্বাগত ঋতুতে ঋতুবতী হওয়া, ক্ষনকালেই
জেগে ওঠা।কান্নাটি বেদনার্ততায়, হেমন্তের।

হে ঋতুগন! স্বপ্নের জিয়নকাঠি,যত্ত অগনন
সময় হয়েছে নূতন যাত্রার, আত্মার মনন।
অম্বর, কস্তুরী,ধূপ পরিকীর্ণ গম্ভীর লোবান
গুঞ্জনের অবমুক্ততায় হোক ইন্দ্রিয়ের গান।

হেমন্ত, তোমার সময় হল শুধুই চলে যাবার
ঘূর্নায়মান শীত, বসন্তে দেখা হবেই আবার।

আমার পদপাতের চৌকো মিনার জাগছে এখন
ভিন্নময় ঋতুতে। হজম করেছি, তপস্বীর মতো
এর নিগূঢ়তম রহস্য যতো।



__________আশরাফুল কবির

কামুক রায়.........



মেলার ফাঁদে জমলো বেশ
কামুকশালার নারী,
বেলার স্বাদে থামলো রেশ
শামুকমালার হাড়ি।

যুক্ত মালার স্বাদের আশা
রৌদ্রের ছোটাছুটি
মুক্ত ভেলায় ছাদের ভাষা
বীর্যের ফোঁটাফুঁটি।

রাত কোথায়, হলে দিন
বীর্যেরও চালান
ভাত যোগায়, চলে বীণ
অর্থেরও মলান।

রাশি রাশি অর্থে তাই
সুখভোগী স্বামী
হাসি হাসি স্বার্থে তাই
মুখযোগী আমি।

স্বভাব রোজে তস্য আমি
হাস্যকর রবি
অভাব ভোজে বশ্যকামী
ত্যাজ্যকর ছবি।

যার কারনে ভিন সাগরে
মস্তরূপী নগ্নী
তার স্মরণে ঋণ নাগরে
হস্তসপি অগ্নি।

Monday, November 21, 2011

স্বপ্ন র্শবরী

কাল রাতে ঘুমো-ঘোরে এল এক প্রণয়পাত্র
দু’টি প্রাণের ভালবাসায় কেটে গেল রাত্র
অমাবস্যার রাতে যেন উঠেছিল পূর্নিমার চাঁদ
উল্লোসিত প্রাণের স্পন্দনে নিঝুম প্রকৃতি করেছিল নিনাদ ।

ভাষা ছিল না দু’টি মুখে, তবু যেন কত কথার কাব্যমালা
হৃদয়ে হৃদয়ে হলো কত কথা, চোখে রেখে চোখ
কামনার তটিনীতে তরী হয়ে ভাসছিল চোখের তারা
উষ্ঞ-বাহুবন্ধনে জড়িয়ে অধরপল্লবে দোল দিল অপার্থিব সুখ ।

প্রণয়ানুরাগে হারিয়ে গেল দু’টি হৃদয় স্বপ্নের ভূবনে
র্স্বগ যেন নেমে এল ধরায়, হারিয়ে গেলাম নন্দনকাননে
হৃদয়ে প্রেমের পূরবী, ভালবাসার উপহারে মেঘ-কালো কবরী
খলনায়কের বেশে উঠল ভোরের রবি, দূর করে দিল স্বপ্ন-শবর্রী ।

বুনো অর্কিড হয়ে

মেঘের সাথে মিশে দেখো
পৃথিবী বড় মরুময়
তোমার অপেক্ষায় প্রহর গুনে
তুমি বৃষ্টি হয়ে ঝরবে...

চাঁদের সাথে মিশে দেখো
রাত অন্ধকার; অপেক্ষায় তোমার
তুমি জোৎস্না হয়ে ধরা দেবে...

সুরের সাথে মিশে দেখো
গ্রাম্য এক জলসা
অবাক করা নিস্তব্ধতা
তোমার অপেক্ষায়
তুমি সুর হয়ে দূর থেকে ভেসে আসবে...

সবুজের সাথে মিশে অনুভব করো
গাছ- গাছালী; মাঠ প্রান্তর
নিঃস্ব হয়ে অপেক্ষায় তোমার।
তুমি সবুজ হয়ে আলতোভাবে ছুঁয়ে যাবে...

আধো আলো আধো ছায়া হয়ে
ভোরের আকাশের লাল প্রান্ত ছুঁয়ে
হৃদয় গহীনে ফুটবে বুনো অর্কিড হয়ে...

________রিয়া হাবিব

আমাকে দূর্বল করে দিওনা

চ্ছে হয় তো প্রান খুলে হাসবে সারাক্ষন
যে হাসির পিছনে থাকবেনা কোন লুকানো কান্না..
ইচ্ছে হয় তো ঘুমাবে দুচোখ ভরে
যে ঘুমে দুঃস্বপ্নরা ভর করবেনা কখনো...
ইচ্ছে হয় তো বৃষ্টিতে ভিজবে সারাবেলা
যে বৃষ্টি হবে অনাবিল সুখের বৃষ্টি...
ইচ্ছে হয় তো গান করবে সুরের মহাসমারোহে
যে সুর তোমাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাবে স্বর্গের কাছাকছি;
এমনি হাজারো ইচ্ছা আমি পাইয়ে দিবো তোমাদের
--কথা দিলাম;
তোমরাও কি তোমাদের প্রিয় এই মানুষটির ছোট্ট একটি ইচ্ছা পূরণ করবে?

ন্যায়ের যুদ্ধে ধ্বংসবধ নেশায় আমি যখন হয়ে উঠবো
খুনি,নির্দয়,নিষ্টুর,পাষন্ড,বর্বর,নৃশংস,উম্মাদ
তখন তোমরা কেউ পিছন থেকে "আমার প্রিয়" নামটি ডেকে আমাকে দূর্বল করে দিওনা;

পারবে?.....

তস্য ভেজা চাঁদ

কতটুকু দেবার চেষ্টায় ছিলাম, তারপর…
কোথা থেকে এসে দাঁড়ালাম,
তবে ছিল কি বেশ চিড়বিড়?

তোমার নুড়নুড়িতে ছিল কাঁপুনি কথা,
কিন্তু বেশ একটা কীট ছিলাম।
ধরে এনে কিছু একটা বহনে বাধ্য
হে মানবী, শোভামান করা তোমার দ্বারাই পায়
না, ভাবছো হয়তো, একলায় আবর্ত হয়েছি!
না, সেটাও তুমি ভাবার মধ্যে পাও নি।

তবে চক্রাকৃতি সতেজতার কিন্তু ধার হয়নি,
তাই একবার ঠিকও করলাম, সেধেই
জ্যোৎস্নাময়ী বলে ডাকার পূর্ণ স্বাদ।

আবার ভাবছো কেন? বিষয় চিড়ে!
তুমি দাগটেনে দিলেই তো বেশ হয়,
চিরায়ত যেন রেখা ছড়ায় বিন্দুর ওপার।
উপাসনা যেন বাধ্য না হয় তার,
দুয়ার দুয়ার আর কন্যা দুয়ার
সংক্ষিপ্তই থাক তবে তস্য ভেজার চাঁদ।


________ লিখন হাওলাদার

আঁখিজলে

আমি হয়ে গেছি আজ রোমান্টিক কবি
দেয়ালে টাঙানো তোমার ছবি
দেখে আমি কেঁদে মরি আঁখিজলে
চলে গেছ তুমি আমায় অথৈ সাগরে ফেলে
তোমার ছবি দেখে ডুকরে ডুকরে কাঁদি
বিরহে ঢাকা মোর ব্যথার সমাধি।

ঋতুর আবর্তনে আসবে ফিরে
সেই দুঃস্বপ্নের রাত্রি
আলো জ্বলবে না আর এই ঘরে
আমি যে অজ্ঞাত পথের যাত্রী!
থাকব না আর আমি
ভুলে কী যাবে তুমি?
মায়াবী রাতের বাহুর বাঁধন!
ভালোবাসার সেই সব আলাপন?
তোমার বুকের আকাশচুম্বী মিনারে
রয়েছে আমার চুমুর পরশ
রয়েছ কী তুমি এখনো আগের মত
প্রাণোচ্ছল, লাস্যময়ী, প্রাণবন্ত-সরস?

আসবে আবার ফেব্রুয়ারি
ভালোবাসার মাসটি
শূণ্য থাকবে তোমার পাশে
আমার থাকার স্থানটি
মনে পড়বে স্মৃতি ভ্যালেন্টাইনে
বাজবে ব্যথা তোমার মনে
কাটতো দিন হাসিগানে
হঠাৎ হঠাৎ অভিমানে
সঙ্গমসুখের উন্মাদনায়
ডাকতে আমায় এই বিছানায়।

আসবে আবার জ্যোছনা রাতি, হাস্নাহেনার গন্ধে
তোমার গানের সুরে কেউ নাচবে না ছন্দে ছন্দে
বিলের ধারে তোমার সাথে
হেঁটেছি বহুরাতি
জ্যোছনা রাতে ঘরের দ্বারে
কে জ্বালাবে বাতি?

এই নদীতে তুমি আমি
কেটেছি কত সাঁতার
হৈ, হুল্লোড়, হুড়াহুড়ি
আসত যখন জোয়ার।
আগামীতে এই নদীতে
আছড়ে পড়বে ঢেউ
তোমার সাথে এক তরীতে
পার হবে কী কেউ?

২৫।০২।০৬, ডাক্তার পাড়া, ফেনী।

নিস্পৃহ খুব

হৃদয় বিবশ, এখন-
সাপ আর বিচ্ছুর বিষে
মুখে ফেনা ওঠে না।

চাই অন্য কিছু।
মানুষের দাঁতের বিষের দাবী
উপেক্ষা করা যাবে না।

লাল মড়ক।
শব বয়ে বয়ে যেন ক্লান্ত বাহকেরা
নিবিষ্ট নিদ্রায় ঢলে পড়ে কবরে।

নিশ্চিত শয়তান! ভ্রষ্ট হয়ো না
নষ্ট হতে হবে আমাকে পুরোপুরি
অথবা, কী পাবে সান্তনা মরনে।

নরক! আগুনের সেকেলে কারখানা,
সে কী মানুষের মত সর্বভূক?
স্বজাতীর মজ্জায় তার ক্ষুধা মেটে না।

সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ, অমৃতের পুত্র
তাই ভয় অহেতুক, তুচ্ছ বাতুলতা
বিবশ হৃদয়ে সম্পন্ন হোক- আত্বহত্যা।
_________শা মা ইসলাম

তোকে অনেক ভালবাসি রে...

তোকে অনেক বেশি ভালবাসি রে
তুই বুঝিস আর নাই বুঝিস
তোকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ও দেখেছি
হৃদয়ে আপন করেও নিয়েছি
কে জানত যে, এই ভালবাসাটাই
কাল হবে আমাদের জীবনে
একটা সময় ছিল তখন,
তোকে নিয়ে ভাবতে ভাবতেই
কখন যে কোথায় চলে যেতাম
বুঝতাম না নিজেও
তখন কি কোন মোহে ছিলাম
নাকি ভালবাসার মর্মার্থ বুঝিনি??
আজো এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজি
খুঁজে ফিরি সর্বক্ষণ
তুই কি আমার ভালবাসা বুঝবি না
দূরে গিয়েও কি তোর অবকাশ মেলেনা
আমাকে একটু বোঝ, বুঝার চেষ্টা কর
আমি তোকে বুঝি রে
কিন্তু তুই যেটা বুঝিস,
সেটা তো আমার ভালবাসা নয়
তোকে আমি যে এতোটা বছর ধরে
শেখালাম ভালবাসা।
কিছুই কি শিখিস নি??
আজো প্রতিটা মুহূর্ত কাটে
শুধু তোকে ভেবে ভেবে
রাগ করি, ঘৃণা করি, অভিমান করি
কিন্তু ভালবাসি যে শুধু তোকেই
আর কাউকে মন দেব.....
সেটা ভাবতেও পারিনা
তুই কি বুঝবিনা রে
কোনদিন কি বুঝবিনা আমার ভালবাসা।
আমি জানি তুই ও ভালবাসিস আমায়
কিন্তু কি লাভ এই ভালবাসায়
যদি তুই সুখী না হতে পারিস
মানুষ তো সুখ পেতেই ভালবাসে।
তোকে খুব মনে পড়ছে রে
প্রতিটা প্রেমের গান, মনে করিয়ে দেয় তোকে
আমি জানি তুই ও আমার কথাই ভাবছিস
তবে কেন এমন করিস
কেন এমন ভাবিস
সুস্থ ভালবাসায় ফিরে আয়
অনুভব করতে শিখে নে
অনেক অনেক অনেক ভালবাসা
এখনও জমা আছে তোরই জন্যে ।।

____________আল ইমরান।

Saturday, November 19, 2011

অপবিত্র মনের শূন্যতা

অপবিত্র মনের শূন্যতা যদি ভরাদুপুরে
আস্ফালন করে কাঁদে,
জীবনের বন্দনা এই গাছের মতো দাঁড়িয়ে থেকে
হয়তো কোনো একদিন বিলিনের পথে শোভা পাবে;
কাঁচের দেয়ালে আলো ভেদ করে
যে তাপের উষ্ণতা, পৃথিবীর মাঝে করুণ হয়ে-
জানিয়ে দেবে ধ্বংসের বার্তা;
ইরাক লিবিয়া মিশর সিরিয়া
জোয়ারে মেতেছ-যে সব জনতা, জেনে রেখ
তোমাদের পরাজয়-তোমাদের সাথে-করুণ হয়ে
বারুদে বন্দুকে কালো ছায়ার ঢেউ হয়ে
রাতের ঘুমে মন বিষিয়ে তুলে
নতুন কাণ্ডারীর খোঁজে
গোপন অভিযানে চলবে;
হয়তো সেদিনে তোমাদের দেশে
সীমানা থাকবেনা-থাকবেনা ভালবাসা,
তোমাদের সম্পদ তাদের থলায় থাকবে
পৃথিবীর রাষ্ট্রে তারাই তোমাদের বিধাতা,
তোমরা ওদের ভৃত্য-চাও শুধু করুণা-করুণা,
অপবিত্র মনে তারা নীতির বাণী শোনাবে
আর উল্লাসে উল্লাসে মৃত্যুর ফাঁদে লাশ হবে-
এই আরব বেদুঈন-তোমরা যাযাবর হয়েই রইলে
তোমাদের ইতিহাস তোমরাই সৃষ্টি করলে।

______ওমর ফারুক

Thursday, November 17, 2011

ভালবাসা মানে..

ভালবাসা মানে ছাই;
দাউদাউ থেকে ধিকিধিকি জ্বলে,
ধোঁয়া-কুন্ডলী নাই।

ভালবাসা মানে পাথর;
জগদ্দলের গড়িয়ে যাওয়ায়
শ্যাওলা হচ্ছে কাতর।

ভালবাসা মানে ধুলো;
লিলুয়া বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে সে
পায়ের আঙ্গুল ছুঁলো।

ভালবাসা মানে কারাগার;
স্বেচ্ছাশ্রমের শ্বেদবিন্দুতে
গোলকধাঁধার পাগাড়।

ভালবাসা মানে বলি;
যুপকাষ্ঠে গর্দান পেতে হাতে
তুলে দেয়া ভোঁজালি।

ভালবাসা মানে কত কি...
কারও মতে তাই পরম মোক্ষ্য,
কেউ ভালবেসে পাতকী।

শুধু একবার

তোমার কি একবারও বলতে ইচ্ছে করে না আমাকে,
একবারও পলক ফেরাতে ইচ্ছে করে না আমার প্রতি-
কৃতজ্ঞতার দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছি
অথচ একবারও উচ্চারণ করলে না
প্রিয় দিগন্তের কথা, স্নিগ্ধতার উচ্ছ্বাসে
এইমাত্র প্রার্থনা থেকে অফুরন্ত অবসর আমার!

তোমার চোখে অনুতপ্ত ঈভের কারুকাজ
কোমলতার ভেতর থেকে তুমি হয়ে ওঠছো সচেতন

এক্ষুণি জানিয়ে দাও প্রতিশ্রুতির শেষ উচ্চারণ
আঁচলে তোমার হাত গোটানো দেখলে অবাক হয়ে যাই
কেমন মুগ্ধতার আশ্বাসে অভিভূত হয়ে
প্রেমের নির্ভরতার জন্যে তাকিয়ে থাকি
শুধু একবার অবিশ্রান্ত ঢেউয়ের মতো
তুমি জানিয়ে দাও ঈভের শপথে।

কেবলই উদ্যমের পাশে আমার স্বপ্নের গাঙচিল
তোমার হাতে আমার হাত- বিশ্বাসের প্রতীক।


বসন্ত....!

প্রকৃতির সাজবে আজ নিজেরই মতো
উপকরণ-গাছ, ফুল,লতা,পাতা আছে যতো।
সঙ্গী পাখ-পাখালি, ভোমড়া আর প্রজাপতি
বাদ যাবে না কেউ এমনকি লাজুক লজ্জাবতী।

শাখে শাখে কচি পাতা, সেই সাথে ফুল।
মৃদু-মিষ্টি সুবাস ছড়ায় আমের মুকুল।
ফুলের রাণী গোলাপ, ফুটে সারাটি বছর।
সেও নেই পিছিয়ে, দেখাতে নিজের বহর।

ফুটে কত মহুয়া, মিলেশিয়া, পলাশ শিমুল,
কনজিয়া , ব্রাউনিয়া, কাঞ্চন আরো যে বকুল।
এতসবের মিলবে দেখা শীতেরই অন্তে
আমাদের সকলের প্রিয় ঋতু এই বসন্তে!!

ঝিরঝিরে দোলা দেয়, দখিনের হাওয়া
কষবে হিসাব কে আজ? সবই পাওয়া।
উচ্ছ্বল কিশোরীও আজ ভাবে আনমনে
নিখাদ খাঁটি স্বপ্ন বুনে ছোট্ট তার মনে।

সাদা কাপড়ের মানুষ

সবাই চেয়ে আছে
সাদা কাপড়ে মোড়ানো আগাগোড়া, একটা বস্তু
নিথর নি:স্তদ্ধ হয়্ওে রেহাই নেই তার
ধরেছে পচন তাকে সবদিক ঘিরে।
দৃষ্টির তীক্ষ্নতায় ক্ষত- বিক্ষত, তবু পড়ে রয়
এক কিংবদন্তী, সফেদ কাপড়ের মাঝে অসহায়
আর্তনাদ শুনে পারেনা ফিরতে এপাশ থেকে ওপাশ
ঠিক পড়ে রয় আগা গোড়া মোড়ানো কাপড়ে।
মহাব্যাস্ততা নিয়ে সবাই চেয়ে রয়
আপনের পনে, পচনশীল দেহ
যা ঢেকে দিয়েছে কয়েক টুকরা কাপড়
সাজানো ছিল কোন এক দর্জির তাকে
সবাই ব্যাস্ত হয় দু'হাতে মাটি তুলে চাপা দিতে
এক জীবন্ত ইতিহাস
কি দুঃসাহষ! ঢেকে দেয় এক আস্ত মানুষ ঢিল ছুড়ে..........

ধূসর জীবন

আলোকিত জীবনের হাতছানি ম্রিয়মাণ
শত আলোকবর্ষ দুরে,
বেঁচে আছি সত্যটুকু নিয়ে জেগে উঠি
শ্বাস নেই ভোরের বাতাসে।
মোহাচ্ছন্ন কল্পকথা থেমে গেছে
বাস্তবতায়, তবুও থামেনি জীবন
মৃত্যু হয় স্বপ্নের প্রতিদিন,
শীতল হই নীল ঝড় বাতাসে।

রাতের মতো একা আজ আমি
ধূর্ত মানুষ হতে পারলাম না,
অপেক্ষার প্রভাত ডাকে না এখন
আলোর স্নানে, শিশিরের স্নিগ্ধতায়।
স্মৃতি জমা জীবনের ভার বয়ে যাবো
অমৃত্যু অনুক্ষণ স্মরিবো তোমায়,
ভুলে নয়; স্ব-জ্ঞানে দুরে আছি
শুধু জেনে রাখো ভালবাসি ভালবাসি…



______সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম

Wednesday, November 16, 2011

অর্থহীন

আবার শুন্যতার মাঝে পথ চলা,
আবার কথার কথা বলা।
আবার ঢিমে তালের ভাঙ্গা জীবন,
আবার একঝাক কালপুরুষের স্বেছায় মৃত্যুবরণ।
আবার ভুরু কুচকে কপালে ভাজ,
আবার চম্পাকলির সস্তা প্রসাধনে লেপ্টানো সাজ।
আবার অলিতেগলিতে খিস্তিখেউর,
আবার অন্ধ মায়ের শুরু মৌন প্রতিক্ষার।
আবার নেশাতুর হয়ে বাড়ি ফেরা,
আবার বেড়ার ঘরে চাঁদ গলে পড়া।
আবার আস্ফালন অহংকারী প্রেমিকার চাওয়া পাওয়ায়,
আবার প্রেমের ব্যেবচ্ছেদ ছলনা আর অপারগতায়।
আবার ভালবাসার আরেকটি জন্ম অসম্পূর্ণ সহবাসে,
আবার সূচনা আরো কিছু জীবনের, প্রকৃতির পরিহাসে।

ইচ্ছেটা.....

বিমুগ্ধ বিমর্ষ আকাশে
ভেজা চাঁদ যেন পূর্ণিমার দাবি রাখে
তারাগুলো যেথায় একজোট বাঁধে
বাঁধে মোহিত সুর বীণায়।
সেথায়, ভাবনার ছেঁড়া সুতো
নীলচে নির্বাসনের কাছে জমা রেখে
বনবিলাশী একাকী একজন
কুয়াশাভেজা হাসনাহেনা জড়ায় অনুভবে
ব্যাস্ত শহরের ব্যাস্ততা মাখা অস্থিরতা ছেড়ে
দূরের কোন পাড়াগাঁয়ের হাতছানি
টিনের চালে পাতায় জমা
কুয়াশার টুপ টাপ ঝরে পড়া
সেই টাপুর টুপুরের মোহে মোহাচ্ছন্ন
রাতটা যেন মাথার উপর
বিছানো শীতলপাটি
তার উপর নকশী কাঁথা ছড়িয়ে
শুয়ে পড়া অবিমিস্রিত অবসন্ন দেহে।
শীতের প্রথম ভোরে--
হিমশীতল টাটকা খেজুর রসে মেতে,
দুপুরে সালদ নদীর পাড়ে
উঁচু টিবির উপর আমগাছটার হাতছানি
সন্ধ্যায় পাখির মত কুড়িয়ে আনা খড়কুটো
জ্বালিয়ে আগুন, উষ্ণতার অনুভবে
দূর দিগন্তে জেগে উঠা সেই ভেজা চাঁদ
আলোতে উদ্ভাসিত আকাশ, মাটি, মন
হঠাৎ দেখা তারাখসা
ভেতর থেকে জাগ্রত ইচ্ছেটা
এভাবেই থেকে যেতে চাওয়া আমরণ।।


________আল ইমরান
(প্রথম আলো ব্লগ)

জানি একদিন!!!!

জানি একদিন চলে যাবো
চলে যাবো জানি অনেক দূরে!
যেভাবে নক্ষত্রগুলো যাচ্ছে দূরে....
পৃথিবীর থেকে দূর বহু দূরে।
সেভাবে একদিন আমিও চলে যাবো!
চলে যাবো জানা সব সীমানা ছেড়ে।
চলে যাবো অজানার পথ ধরে!
চিরতরে জানি মিলিয়ে যাবো।
মিলিয়ে যাবো শূন্যর সাথে!

মনে রাখবে কি তখন আমায়?
কখনো পড়বে কি মনে!
কখনো ঝরাবে কি দু'ফোট অশ্রু আমায় ভেবে?
কাঁদবে কখনো ব্যাকুল হয়ে!
হয়ত বা কাঁদবে।
হয়ত বা অশ্রুতে নয়ন ভাসবে...
তারপর জানি একদিন...
একদিন সব ভুলে যাবে।
সব সৃতি মুছে যাবে!
হয়ত বা আসবে নতুনের আহ্বান!
পুরনো জায়গা ছেড়ে দেবে।
এভাবে জানি মুছে যাবো
মুছে যাবো জানি চিরতরে!

মৃত্যু ভাবনা

এখন গভীর রাত দিনের ভাবনা ঘুমিয়ে পড়েছে
ঘুম পোকার মনে টিক টিক শব্দে নেশার ছবি ভাসে
পৃথিবীর স্বপ্ন অবচেতনে ফুপিয়ে কাঁদে
হয়তো আমার মন এখান থেকে অনেক অনেক দূরে
যেখানে মানুষ বুনো হয়ে পাখির সাথে খেলে
হয়তো আমার মন সাদা বকে-বিস্তৃর্ণ পথে
দুই ডানা মেলে উড়ে উড়ে সরোজ হয়েছে;
আমার ভীষণ ইচ্ছাগুলো আজ মৌচাকে জমে
হিম হিম রাতের কাছে পরাজয় মেনেছে-
আমি রাতের মৃত পোকা হয়ে
মাটিতে মিশে চাঁপাফুলের গাছ হয়ে
দিনের আলোতে শোভা পেতে চাই-
রাতের বাতাসে চারদিকে যখন
মরা শব্দের জেগে ওঠা আওয়াজ ভাসে,
আভাসে ইঙ্গিতে বুঝি হায়!
পৃথিবীর সবগতি থেমে যায়-বলে যায়
আমার যাবার দেরি নাই!
বিদ্যুতের মতো ছোটাছুটি করে
পৃথিবীর আলোতে যতক্ষণ বাঁচি
এটাই তো অনেক-অনেক বেশি
হয়তো ক্লান্তির পরে বিধাতার নামে
নতুন শব্দ জপ করি-
মানুষের মতো মানুষ হতে চাই
রেখে যেতে চাই ভাবনার পৃথিবী,
চলে যেতে চাই পৃথিবীর পরে-
এজীবনের প্রেম প্রার্থনার গান হয়ে
নিরাশ পৃথিবীর বুকে মৃত্যুর কবর খোড়ে
হয়তো ধূপকাঠির গন্ধ ভেসে ভেসে
মৃত্যুর এখবর জানান দেবে চারদিকে;
জনতার ভিড়ে সেদিন কিছু প্রিয়মুখ
হয়তো শেষ দেখা দেখতে পাবেনা,
নরম ব্যাকুল কাঁন্না আমার ঘুমে কষ্ট দেবে
এহৃদয়ে তারা সারাক্ষণ জেগে রবে;
সেদিন আমার আঙিনায় আসবে অতিথি
তোমরাও হয়তো চিনবেনা-
প্রভাতের ধূসর অন্ধকারে কিছু হাত
হয়তো কিছুহাত দোয়ার প্রার্থনা সাজাবে।

মনের জানালা

মনের জানালায় দাঁড়িয়ে প্রিয়
কেন বাজাও বাঁশি অবেলায়
উচাটন হয় মন, থাকিতে চায় ঘরের কোণ
বাঁশির তানে ছুটে যায় নীপবন ।

আধো রাতে ঘুম ভেঙ্গে যখন
দক্ষিণা জানালা খুলে চাঁদের কিরণ
দেখি তারা ভরা রাতে
গোপন চিঠি পাঠাও তুমি সমীরণের সাথে ।
পড়ে আমি পাগল পারা
ভাবাবেগে ভাষা আমার ছন্দহারা ।

হাস্নাহেনা, কামিনী আর চাঁপার গন্ধ
নিশাচর পাখির কূজন,
শেয়ালের হুক্কাহুয়া শব্দে নড়ে উঠে রাতে নি:স্তব্দ
তার মাঝে ভেসে আসে সেই মাতাল সুরের তান
এ কী অলীক কল্পনা, না বাস্তবতা
জানি না, বুঝিনা, বুঝিতে চাই না
শুধু জানি এ এক যাদু-মন্ত্র, আর্শ্চয এক মাদকতা
সেই সুরের তানে আমি হারাই চেতনা ।

বুকের মধ্যভাগ থেকে উচ্ছ্বসিত প্রেম ধারা
যেন হিমাদ্রীর বুকচিরে উৎপন্ন এক ঝরণা
এঁকে বেঁকে চলে অরণ্য, আপন মনে পাগল পারা
ছন্দে আনন্দে হিন্দোল দোলায় তোমার সুরের র্মূছনা
আপন বেগে ধেয়ে চলে বহতা নদী সবুজ সমতল
রাশি রাশি প্রেম যেতেছে ভেসে, উল্লোসিত হিল্লোল
ছুটে চলে সমুদ্র পানে মিলন মোহনায়
চেতনা ফিরে দেখি এখনও আছ দাঁড়িয়ে মনের জানালায় ।

Friday, November 11, 2011

স্বর্গের প্রণাম


স্বর্গ বড় একা!

অনেক আধার দিয়েও
প্রলোভনে পরাজিত;
চেষ্টায়, চাতুর্য্যে,
প্রমাণে পরাভূত--

পারিজাত পুষ্পসম্ভার
নিবেদনে আনত
ধরনীর পদতলে
স্বর্গ প্রণত...

বিশ্বসখার আলিঙ্গনাহ্বানে
সুভগ স্বর্গ ফাঁকা।

যাচ্ছ সরে। ইচ্ছে করে।

ইচ্ছেমতই ভাঙ্গছ শাসন
তাচ্ছিল্য টুকু
রহস্য চাদরে থিতু এখন
ইহ-জাগতিক সুখে তন্দ্রাবিষ্ট।

একটা পদ্ম-দীঘি
ডুবন্ত মুখ কাঁপা কাঁপা
তির তির জলকেলি
স্বপ্নে রাগ ভৈরবী।

যোগ বিয়োগের বিভাজনে
অচিন আগন্তুক,
প্রতিফলনে আঁকো পরশ্রীকাতর ক্রোধ
মনের মিনার আজো তীরে এসে ডুবে।

উঁচু মাপের ব্যঙ্গ চিত্র এঁকে
ভঙ্গিতে দশ ভুজা
জারিজুরি আঁকিবুঁকি
চারদিকে দেখো, ইচ্ছেমত ভাঙছ যেন কিছু।

প্রবোধ

ভালবাসা আজ শীতল ঘড়ে কপাট এঁটেছে
কবিতার জন্য উষ্ণতা নেই,
নিয়ম মেনে নেই, নিয়মের কাছে হার মানি
নিয়মের চাবুকে রক্তাক্ত হই;
আর তুমি কেবলই দোষী করো আমায়!

বালু চরে হাটা যায়, আর চোরাবালিতে?
তুমি তো জানো সবি তবুও!
শব্দগুলো সহজ করো আমি রক্তাক্ত হই,
নতজানু জীবনকে ক্ষমা করো-
তুমি বাঁচো আলোতে আমোদে।

তোমার আর আমার মাঝে কেবল শব্দের খেলা
এখন অবেলা বন্ধ খেলা, শুধু স্মৃতি জাল বোনা
কাঁদি না এখন আমি, হাসি যেনো কি?
অপেক্ষা এবং প্রতীক্ষা শব্দ দুটি এখন অবকাশ-হীন
স্বপ্ন আমার নীল আজ ঘুড়ি নাটাই বিহীন।

আকাশ ভরা চাঁদের আলো

আকাশ ভরা চাঁদের আলো
কংশ নদীর বুকে।
চাঁদটা তার মায়াবী রঙ
ঢালছে যেন সুখে।

বাতাস এসে নদীর পানি
করছে স্রোতস্বিনী।
শুনছি কোন অজানার
চুড়ির রিনিঝিনি।

পাখীরা সব ফিরছে ঘরে
নানান আয়োজনে।
গাছের পাতার ফাঁকে এসে
মিলছে আলিঙ্গনে।

এমন দিনে মনটা থাকে
রঙ্গিন দিনের সাঁজে।
গদ্যে-পদ্যে কাটছে ক্ষণ
উদাস নদীর মাঝে।

সব ক্ষতি মেনে নিলাম

তোমার চলার দুর্বার গতি
আমাকে তাড়া করে
ফিরে যেতে দুঃস্বপ্নের ক্ষণে
যখন তুমি নিশ্চিন্ত মনে
দিয়ে দিলে সম্মতির রাজদূত
আর বাড়িয়ে দিলে হাতের আঙ্গুল
পরিয়ে দিল সোনার ফুল
তখন তুমি বেশ সাড়ম্বরে
হাস্যেজ্জ্বল ছিলে অবনত মস্তকে।

আমি জানতাম না আমার ভালোবাসা
একদিন নিয়ে আসবে আমার জন্য হতাশা
ভালোবাসার সন্ধ্যাপ্রদীপ হয়ে যাবে অনুজ্জ্বল
এমন করে আমার ঘরে!
আমার দুচোখের জল টলমল
ভাবনাহীন সাত সমুদ্রের তরে।

কনকপ্রবাহে বৈশাখের ঝড়ে
ভেঙ্গে গেল মন এতদিন পরে
তবুও মেনে নিই এ আমারই পাপ
আদিমতায় পেয়েছিলাম ক্লান্তির ছাপ
অসতর্কতায় হয়েছিলো আমারই ভুল
চিন্তার সাগরে পড়ে পাই নি কোন কূল
সব ক্ষতি মেনে নিলাম বিনা প্রতিবাদে
তবুও কলঙ্কের বোঝা রইল কাঁধে
ধীরে ধীরে হয়তো তারই ফলে
হারিয়ে যাবো একদিন নীল নদের জলে।

১৪।০২।০৬, ডাক্তারপাড়া, ফেনী।

রুদ্ধ চাপল্য

বৃষ্টিস্নানের অনুরক্ত প্রেয়সী স্বীয়া কুহেলিকায়
চমকিত নয়ন পেতে ঈষৎ শৈত্যের বাহিকায়
অঝোরে ঝরায় জল,
যেন ইচ্ছে অপূরণের রিক্ত তাড়নে বিরক্ত মন
স্বচ্ছ অপলা বিমল।

ক্রন্দন তৃষ্টা মিটিয়ে ফুসফুসের রুদ্ধ বায়ুর নিঃসরণ,
অতৃপ্ত তৃপ্তিতে নেমেছে গোধূলী-
হৃদয়ে সিঁধেছে ব্যাথ্যার কুন্ডলী,
ললাটে জমেছে বিন্দু ঘামের ঐরস,
পাঁজরের পর্শুকায় গেঁথেছে বিষমাখা রক্ত,
হিউমেরাস-ফিমার ভেঙেচুরে একাকার,
শিরদাড়া বেয়ে নেমেছে মৃত্যুর শিহরণ,
কলিকাদেবীর অদৃষ্টে তব নিকৃষ্ট বিজ্জুলী!
ক্ষণিকের ধরণীতটে রাজ্যের নৈরাজ্য!!

অবিন্যস্ত এলোকেশে তনয়ার শীতল দেহ,
মেঝের সফেদ কার্পেটজুড়ে লালচে আভা,
শিরা-উপশিরায় তীক্ষ্ণ ক্ষুরের যন্ত্রণা,
রক্তলসিকা বায়ুস্পর্শের বাঁধ মানছে না;
ঠোঁটের কোণে অদ্ভূত অমলিন হাসি,
চোখের মাঝে এখন যেন চির-অনন্ত প্রশান্তি!!

আজ প্রিয়াকে অনেক সুন্দর লাগছে..
কতদিন তাকে হাসতে দেখি না?
বহুদিন পর সে হাসছে,
রক্তবিহীন মুখে মৃত্যুর অনাবিল হাসি!!

তোমার আগমন

ভরা বাগান ছিল সেদিন ফুলফুল
ছিল ধরিত্রী শিহরনে চূর
আঙ্গিনায় সাজানো মমতা যেন সঞ্জীবন ভরপুর।

পাখিরা গাইছিল সুরে
ছিল নদী বহতা মনোরম
মেতেছিল তটে, টুংটাং শিলানুড়ী সুর-সরগম।

প্রভাতের রাঙ্গা আলো জ্বলছিল সুন্দর!
সুমিষ্ট স্পন্দনে সোনালী প্রভায়;
আর কে যেন বলছিল ভাষায়---
“আজ আসবে কেউ তোমাদের মাঝে
থাকবে সেও বন্ধু হয়ে আজীবন তোমাদের সাজে”।

কে যেন গুনছিল প্রহর ধরিত্রীর সাথে--
এই সুন্দর ধরণীতে তোমার আগমন
হয়ে ছন্দমাতম।

স্বপ্ন বিনাশী!

স্বপ্নটা ছিল চাঁদের আলো মাখা।
নরম, কোমল, তুলতুলে অনুভব।
যার পরশে স্মিত হাসি সর্বদা ঠোঁটের কোণে।

সাধ্য কি ছিল কারো বা কোনো বিষাদের?
করবে মলিন অথবা বিষণ্ন অবসাদের?

..................
ঝড় কী তবু আসতেই হয়?
হোক, তবে কোনো পুর্বাভাস ছাড়া কেন!!
এটাই কী তবে ভবিতব্য?
না, মেনে নিতে কষ্ট হবে না।

ছুঁড়ে ফেলার কষ্ট,
না পাওয়ার কষ্ট,
নিজেকে লুকানোর কষ্ট,
কষ্টের কুন্ডলি যেন দলা পাকিয়ে রয়েছে,
কেউ কি জানে? তুমিও জান না।
তবে তো ভয় নেই-
আমিই জয়ী, বরাবরের মতো! বিজয়ী বীর!!

ইচ্ছেগুলোকে ছুটি দিয়ে দিয়েছি।
মুক্তির আনন্দে মেলেছে ডানা ওরা আকাশ পানে।
কোনো অনুক্ষনে কি ফিরবে তারা আবার হৃদয়কোণে?
আমিই যে চাই না!

নিজেকে বড্ড ভালবাসি আমি।
তাই তো আমার আমিত্বকে জয়ী করলাম।
দিলাম তোমাকে বিসর্জন!

তুমিহীন

তোমায় না পাওয়ার কষ্ট
এখনো আমায় কাঁদায়
আমার দু:খে আকাশের চাঁদ
কষ্টগুলোতে ভাগ বসায়।
দূর্বাঘাসে শীতের কুয়াশা
...আমার অশ্রু হয়ে ঝরে
আমার ব্যাথায় এখনো
নিশাচর চিৎকার করে।
আমি কাঁদি ভীষন ,
রাত জেগে একা একা ,
অথচ তুমি জান না
এ বুকে কতটা কষ্ট রাখা ।
আমার সারাদিন মেঘলা হয়ে যায়
আমার আকাশে জোছনা আসেনা..

তুমি আসবে….

তুমি আসবে ভেবেই বসে আছি
সেই সন্ধ্যেবেলা থেকে,
যখন ঝাড়পোকার আওয়াজ
আর...
জোনাকিতে ভোরে ছিল চারিদিক।
চাঁদ হাসি মুখে উঠেছিল ঘুম থেকে
চারিদিকে নির্জনতা,
গাছের নিচে বসা আমি একা।
মনে প্রশ্ন জাগেনি তা নয়—
তবে মন বলেছিল তুমি আসবে।
কিন্তু চাঁদ ঘুমিয়ে পড়ল, ঝাড়পোকার আওয়াজ
আর—
জোনাকিও কোথাও লুকিয়ে গেল;
কিন্তু—
তোমার খোঁজ মিলল না!
তাহলে কি তুমি আসবে না?
মন বলছে তুমি আসবে।

Wednesday, November 9, 2011

জীবন চলে এভাবেই

চারিদিকে তাকালে যেন মনে হয়
সবাই উপহাস করছে,
মিথ্যায় মিথ্যায় গড়ে উঠছে
বিশাল মিথ্যার রাজ্য।
একটি ভুলকে শুধরাতে গিয়ে
হয়ে যায় অনেক ভুল।
নেই কোন ক্ষমতা
যে ক্ষমতার বলে থাকবে সব সুখের মূলমন্ত্র।
যে চোখের আড়ালে বিশ্বাস ভাঙ্গা হয়
সে চোখের ভিতরে থাকে কতনা অশ্রু।
একটি মন ক্ষয় হতে হতে কখনও নিঃশেষ হয়
কখনওবা ঘৃণার একটি প্রলেপ সৃষ্টি হয়।
জন্ম কি সত্যি আজন্ম পাপ?
নাকি পাপকে আড়ালের জন্য এ বাক্য।
জীবন হয়ে পরে অন্যের খেলনা,
তাইতো আজ কেউ সুখী নয়।

শুধুই তোমার জন্যে

তুমি যদি ভালবাসতে না পারো
তবে ভুলে যাও এই আমায়;
আমাকে ভুলে যেতে বলো না কখনো।

তবুও ভালবাসি তোমায়
বারে বারে ফিরে ফিরে ভালবাসি তোমাকে।

তুমি যদি কাছে আসতে না পারো
তবে দূরে থেকো সেই ভালো;
আমাকে দূরে থাকতে বলো না কখনো।

তবুও কাছে আসি আমি
তোমার অজান্তেই কাছে আসি।

তুমি যদি মনে রাখতে না পারো
তবে মনে রেখো না আমায়;
আমাকে ভুলে যেতে বলো না কখনো।

তবুও মনে রাখি তোমায়
হৃদয়ের মণিকোঠায় রেখে দিই তোমারই নাম!


____ওমর জাবিন

Saturday, November 5, 2011

তুমি আসবে জেনে


প্রতিদিন সাজিয়ে রাখি ফুল
এমনিভাবে,
কত বাহারি ফুলের সমারোহ
কতই না সুঘ্রাণ তার!

তুমি আসবে জেনে
আমার স্বপ্নের পালক রেখে দিই শিয়রে,
ফুলে ফুলে ছেঁয়ে যায় আমার ভুবন…

আমি নির্বাণ হবো বিশ্বাসে
তোমাকে বিশ্বাস দিবো অন্তরে।
তুমি চাইলেই ভালবাসায় বিলীন হবো
দিবো তোমায় প্রণয়ের অভিলাশ!

তুমি আসবে জেনে
আমি অনুরণিত হই সুখের দহনে
তোমাকে পাওয়ার ছলে ভুলে যাই দু:খ।

কতই না ভেবেছি তোমায়
আপনার করে জেনেছে হৃদয়
তুমি চাইলেই ভালবাসায় বিশ্বাস হবো
দিবো তোমায় মধুর জ্বালা!

প্রতিদিন সাজিয়ে রাখি আমার ভুবন
এমনিভাবে,
কত সুন্দর বিহ্বল চকিতে
কতই না মধুর তার আলাপন!

কাঁদবো না অহেতুক আলোর সন্ধানে

কাঁধে দিনভর বসে নির্বিকার
একঝাক কাল কাক
মাথা ঠুকরিয়ে মগজ খেয়ে চলেছে আমার...

কাকের ঠোঁটে লেগে থাকা শাদা মগজ
কী দারুণ রক্তোজ্জ্বল!
ঠিক ইরাকের থেবড়ানো রাজপথের মত
আর তার অদ্ভুত গন্ধে ইচ্ছে করে
নিজের মাথা নিজেই চিবিয়ে খাই অবিরত
যেমন মুসলিমবিশ্বের তাজামগজ ভোনা করে খায় ইসরাইল নিত্য।

আঁধার হলেই কতকগুলো নেংটে ইঁদুর
আমার হৃদপিণ্ডন্টাকে পরিত্যক্ত শুকনো রুটি ভেব কেটে যায় অবিরত
তাদের দাঁত আর নখগুলো তখন থাকে খুবই ব্যস্ত
ঠিক মি: বুশ আর টনি ব্লেয়ারের লকলকে রক্তাক্ত জিহ্বার মত।

আজ রাতে আর উঠবে না চাঁদ
গতকাল কৃষ্ণপক্ষের একফালি চিকণ চাঁদ ভয়ে লুকিয়েছে মুখ
অমানিশার অন্ধকার কালো পতাকা উড়াবে পৃথিবীর বুকে
তারপর আঁধারের বিজয় উৎসব চলবে সারারাত
যেমন ধর্ষিতার কান্নায় পুলকিত হয় জাতিসংঘের অন্ধ চোখ।

অনুষ্ঠান শেষে অন্ধকারগুলো একসময় হিংস্র ডাকাতের মত
হুড়মুড় করে ঢুকে যাবে সবক’টা অলস করোটির দরজা ভেঙ্গে
আলোমাখা সবুজ সাহসী মগজ
তারপর তার আয়ুষ্কালব্যাপী
গুয়ান্তানামো বের নগ্ন গুহায় অন্ধকারের হাতে হবে সোপর্দ
যেখানে অবিলম্বে তার শেষ আলোটুকু শুষে নিয়ে
উল্লসিত হবে মার্কিনী ধর্ষকামী নারী।

এরপর অন্ধকারের জয়জয়কার অন্ধকারময় শুভ দিন
অন্ধকারের জন্য প্রশস্থ হবে পূর্ব-পশ্চিম, ‍উত্তর-দক্ষিণ
বন্ত্রমুক্ত মানব সভ্যতায় আর কোন চোখ ক্লান্ত হবে না
আঁধারের উষ্ণ আলিঙ্গনে
তাই আমি আর কাঁদবো না অহেতুক আলোর সন্ধানে।

প্রেম নাকি বড্ড ছোঁয়াচে তার জন্যই বালোবাসার পাঠ নিতে যেতে হলো ফুল আর মৌমাছির কাছে। মৌমাছি বলল, সে জানে না ফুলের পরবর্তী কাহিনী জীবনের ঝরা শিউলি-বকুলে

থাকো ঘুমে
কপাট খুলে আসো উঠানে
দেখো ঘাস ভিজেছে কুয়াশায়

সিক্ত-শুদ্ধ করবো পাপাত্মা মনন
ঝড়িয়ে দিবো বিষাদের পাতা
আজ আবার স্বপ্ন দেখাবো আসো,
............সীমান্তে রামধনু হবো, তুমি আসো।

আজকের দিনটা আসবে না পাপ নিয়ে
নিরীহ মাকড় কুয়াশা ফুড়ে ভোর আসবে
বাবুই-লজ্জাবতীর ঘোমটা উঠবে
জিম্মায় না থাকুক মক্তবের আলিফ যবর আ
তবু আসবে শুভ্র বরফ প্রভাত
গরল হেরিবে মননের কোরবান,
.............মসলিন কারুশিল্পে জড়াবো, চলে আসো।

কচু-পাতার শিশির আর’তো নয় বন্দী
রক্ত পলাশের অনির্বাণ ফতুয়া উড়িয়ে
দেহ বিক্রেতার অস্থি সঙ্গম হবে না

কলাভূক বধূর দেহাংশ আজ মাকাল চিল
কাদা-জলে হবে না হাঙ্গরের লুটপাট
মহা-চিত্রকর ডাকে পিপীলিকার লং-মার্চ
আবশ্যিক হত্যায় আঁকো কাশবনের আগুন,
............ইজেলের রং দিবো, চলে আসো।

দেবদূতের আচ্ছাদিত সৌদামিনী জাগবে
আস্তাকুঁড় হবে অস্ত্র প্রতিমার কোষাগার
যুগ আসবে, যুগ চলেও যাবে

ঈশ্বরের আদালত পাপ খারিজ করবে
পয়গম্বর আসবে না বলে
গন্দম আদমের জন্মতো বন্ধ হবে না
...............প্রজন্মের তরে ভ্রূণ দিবো, চলে আসো।

তোমার চড়ুই ঘরে ফড়িং উড়ে বেড়াবে
রৌদ্র-নীল মাছরাঙা মন হবে কাঠ বেড়ালি
বাবুই তৃণ মিত্রতা ঘুচবে না

তবু আজ শুদ্ধ দিনে আসো
বনমোরগের লাল-ঝুটি লোহিত কণিকা ডাকে
জমাট রক্তের খয়েরি ফুলের নিমন্ত্রণে
ধানী বউয়ের মন-পুজোর প্রসাদে
জোছনা লোভী কবিদের পথ মাড়িয়ে
মাতাল মহুয়া মন করবো নিষ্পাপ
মগডালে বানাবো বকের নতুন বাসা।

প্রেম বলে কিছু নাই

প্রেম নাকি বড্ড ছোঁয়াচে
তার জন্যই বালোবাসার পাঠ নিতে
যেতে হলো ফুল আর মৌমাছির কাছে।

মৌমাছি বলল, সে জানে না
ফুলের পরবর্তী কাহিনী জীবনের
ঝরা শিউলি-বকুলের কান্নায়
শোনে নি কখনো বিরহের গান।
শিমুল কাঁদে, পলাশ কাঁদে
তবু ভ্রমরের পাখায় থাকে গুঞ্জন-
...............মধুর ঘ্রাণ।

প্রেম প্রেম বলে সাগরে উঠেছে ঢেউ
তবু কেউ বলে নি প্রেম নিছক মায়া
চাঁদ নয় সাগরের কেউ।

লক্ষ বছরের ইতিহাসে কোথাও দেখি নি মানুষের প্রেম
জাগ্রত রয়েছে জগতের বুকে বিরহের নীল হেম।

মৌ্মাছি তার প্রেমিক নয়
জেনেও কি ফুল বাড়ায় তার বিকশিত বুক ?
আর তারই ছন্দে মাতাল পৃথিবী
খুঁজে ফেরে স্বর্গীয় সুখ ।

তাই আর শিখব না প্রেম
ফুলের কাছে বিরহ বেদনায়
মৌ্মাছি-ভ্রমর সকলেই জানে প্রেম বলে কিছু নাই।


অভিমান

একদিন ফুরোবে জীবনের অসীম এই ব্যস্ততা
অশ্রুর ফোঁটাগুলো রক্ত হয়ে ঝরবে সেদিন;
তোমার চোখ থেকে আমার তপ্ত দেহে
আমি ভেসে যাবো রক্তজলের বৃষ্টিতে ।

একদিন হারাবে আঁধারের নীলিমায়
অজানার পথ ধরে চলে যাবে দূরে কোথাও
অরণ্যের দীর্ঘশ্বাস কান পেতে শুনলেও
বুঝবেনা পুড়ে যাওয়া বৃক্ষের মর্মজ্বালা ।

একদিন হাঁটবে পথের সেই নির্জন প্রান্তরে
যেখানে মিশে আছে মুছে যাওয়া দিনগুলো
একাকিত্বের কষ্টানুভবে আর্তনাদ করলেও
সঙ্গী হবেনা একটি পুরনো স্মৃতিও ।

একদিন খুঁজবে হারানো সে ঠিকানা
হৃদয়ের আরশীতে দেখবে সেই প্রতিচ্ছবি
তৃষ্ণার্ত চোখে শত হাহাকার উঠলেও
ভাঙবেনা অভিমানের এই কঠিন দেয়াল ।

পাথরের পরকীয়া পাপ


বুকের জ্বলন নেভে না ক’ফোট নয়না-সারে
স্মৃতির দুয়ারে মাথা-কুটে ভাঙ্গে সব আগর
অ-সন্মানের ধৃষ্টতার দেয়াল ভাঙ্গে না,

স্বর্গের কপাট খুলেছি, দেবী
স্বেচ্ছাচারী বেভুল বসন্তের ছায়ে
গায়ে জড়িয়েছি আজ রঙিন কাফন,

দেহের উষ্ণতা যদি মনের বাহুডোর ডাকে
বুক ভরা অবোধ্য আবেগ যদি উদ্বাহ নৃত্য করে
তবে আর কাব্য লিখে শব্দের অপচয় করবো না

তার চাইতে লাইসেন্স বিহীন দোনলা বন্দুক হবো
আগুন ঝরাবো লিবিয়া, ইরাক কিংবা আফগানিস্তানে
তখন সে শব্দ-গুলো দিয়ে মানবতার গুলি বানিয়ে নিবো,

যে শব্দে বলতাম ভালোবাসি
হর্ষ-বিষাদকে আজ দিয়ে দিলাম ছুটি
কারণ, তুমি আর আমায় ভালো বাসো না।

দুরন্তপনার শিখরে আজ আমি পথভ্রষ্ট লম্পট
আমি দ্যা ভিঞ্চির অসমাপ্ত লেখচিত্র
মেরিলিন মনরোর কামনার হাসি
হোমারের অসমাপ্ত পর্ণো-কাব্য
রুশদির ঈশ্বর ব্যাঙ্গর দোলনা,

আমার কুশপুত্তলিকায় আগুন দিতে আসো
স্বৈরাচারী শাসক উল্লাসে স্মিত হাসুক
নজরুলের বিদ্রোহী উপহাস করুক
রুদ্রের দ্রোহ মুক্ত ফুটপাথে হাটুক
রশিদ ভাইতো আর স্থির চিত্র তুলবে না
ভয় নেই
চলে আসো
একদলা থুতু দিতে
আমি ঘেন্না নিয়ে সুখী হবো।

আমি জেনেছি
উনুনে ক্ষুধার জঠর অঙ্গার হয়
কঙ্কালসার বাদামী-ত্বক ছড়ায় ছিবড়ের শুষ্কতা
বঞ্চিতের বিপ্লব হোক কাব্য শ্লোগানের হাতিয়ার
শোষকের চোখে ছুড়ে দিবো দ্বিধাহীন বিষমাখা শব্দ-তীর

কেনো জানো? আমি
ক্লিওপেট্রার হাবশি ক্রীতদাস হবোনা
ডায়ানার মতো পাপারাৎজির দানো হবো না
ফিদা হুসেনের নারীশিল্প দেখে বাহ সুন্দর বলবো না
বনস্পতি ঘ্রাণে সুস্নিগ্ধ আগুনে দেহের ভাঁজ খুঁজবো না
ভর দুপুরের তুমুল যৌবনে সঙ্গমের হাহাকার করবো না
পুংশক-ধর্মে প্লেটোনিক প্রেমের উন্মেষ তুমি’তো আর বোঝো না।

তবু সব ভুলে
আজ যদি স্পস্ট বলি
গেরস্থালীর খুনসুটি থাকুক তোলা
চলো রাধাচূড়া ফাল্গুনের সাথে দেহাতী পথে
নি:সঙ্গ ঘুঘু’রা কান্না করুক ডাহুক কণ্ঠের গানে
প্রেমাষ্পদ রুপোলী চাঁদ নিদারুণ অভিমানী হয়ে যাক
ময়ঙ্ক-বানে মুক্তোদানা জোঁনাকগুলো আজ অন্ধ হয়ে যাক

তুমি কি আসবে?
জানি তুমি আর সাহসী হবে না
তাই, আমার স্বরূপটা’ই বলবত থাক
আমি’তো সৎকার’হীন উঠে আসা চণ্ডাল
অঙ্গে থাকুক মাৎসর্য দাহনের নিপতিত দর্পক
এ সব আজ তোমার কাছে রহস্যের পরকীয়া পাপ
তবে থাক তা যতনে, পাথর হয়ে বহ্নিমান গাত্র দাগ।।

চিত্রিত মগ্নতায় কবি

আমার আনত মুখে
কখনও কখনও চিত্রিত হয়
আমার মগ্নতা, ভগ্ন হৃদয়
বুঝে নিও
ওটা কোন ভুল দৃশ্য নয়
দেবতার অভিমানে ঝরে পড়া
কোন ঝরণাধারা নয়
একাকী বয়ে যাওয়া
ব্যথিত কোন নদী নয়
ওটা আমি
ব্যথিত বদনে চিত্রিত
আমার পরাজয় ।

Thursday, November 3, 2011

কোথাও কিছু থাকবে না

কোথাও কিছু থাকবে না-আজ আমার চারপাশে
যা কিছু ঘিরে আছে সুখ হয়ে
আজ যারা আমায় পরম নির্ভয়ে ভালোবাসার
দেয় আস্বাশ-সে সব কিছুই একদিন অস্তিত্বহীন
হবে-রয়ে যাবে না থাকা কার দীর্ঘশ্বাস
কোনদিন আর আজীবন সঙ্গ দেবে না কাওকে
যা কিছু আছে আজ আমার জ্যামিতিক আকার হয়ে
দৈর্ঘ্য প্রস্থ বেধ যতসব একদিন শুধুই জীর্ণ
সোনালী পাংশুটে পাতার মত স্মৃতি হবে
নিতান্তই যা অবাঞ্ছিত-ধুসর,উপমাহীন
কোথাও কিছু থাকবে না-আজ আমার
বিমূর্ত ভালবাসা যা আমার দৃষ্টি রঙিন রাখে
প্রতি পল-তার একদিন মৃত্যু হবে অকস্মাৎ
হয়ত আমার চোখের সামনে-হয়ত নয়
তবুও কোথাও কিছু থাকবে না কোনদিন।
কার আয়ু বর বেশি সবখানে চিরদিন থাকবার?
সবাইকে একদিন সাদা কালো স্মৃতি হয়ে মুছে যেতে
হবে-কারুর স্পর্ধা নেই
অমর হবার কার নেই অধিকার।

ঘুম!!!!


বহু দিনের নির্ঘুম দু'চোখ!
আজ প্রচণ্ড ঘুমে আচ্ছন্ন।
রাজ্যের সব ঘুম আজ
ভর করেছে দু'চোখের পাতায়।
ঢুলু ঢুলু এক ঝিমানো পৃথিবী!!!
যেন এক মায়াবি নেশা!

দেহতেও আজ এক অদ্ভুত অবসন্নতা!
কলমি লতার মত সে নেতিয়ে পড়েছে।
সমস্ত দেহ মন জুড়ে চলেছে
ঘুমিয়ে পড়ার আয়োজন!
আজ যে করেই হোক
ঘুমুতেই হবে।
বহুকাল থেকেছি তো থেকে নির্ঘুম!
আর কত!!!

প্রচণ্ড ক্লান্তিতে দেহ যখন প্রতিবাদ করেছে
তখনও নির্ঘুম থেকেছি!
শত শত ঘুমহীন রাত পার করেছি!
ঢুলু ঢুলু চোখে চেয়ে থেকেছি।
তবুও ঘুমিয়ে যাই নি।
যদি ঘুমিয়ে গেলে
আর জেগে না উঠি?
কি হবে তখন!
তাই শুধু চেয়ে থেকেছি।
তবে আজ আমি ঘুমবোই।
যে করেই হোক ঘুমাব!
যেমন করে ঘুমিয়ে গেছো তুমি!
চিরতরে!

একটি চুম্বনই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতা


নিশাচর, চাতক, নীলকণ্ঠ যাই বলো
আমার অপেক্ষা কিন্তু তোমার জন্য
সব স্পর্শ কি শরীরের হতে হয়?
অথবা শব্দের পর শব্দ সাজালেই কবিতা?

আমি তো ছুঁয়েছি তোমায়-শুধু চোখ বন্ধ করো
প্রাণ খুলে নি:শ্বাস নেও
লৌকিকতাকে পেছনে ফেলে ইন্দ্রিয়কে জাগিয়ে তোল
পাওয়া না পাওয়ায় দোদুল্যমান কষ্টানুভূতির
নীল মাদকতায় ছুঁইছি তোমায় অনুক্ষণ।

স্পর্শ বিহীন অনুভূতির ছোঁয়া বেদনার অনুকূল
প্রভাতে বাহু বন্ধনহীন শূন্যতা-একা আমি
জীবন তবুও থেমে নেই..
শুধু একটি চুম্বনের অপেক্ষা
একটি চুম্বনই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতা
জানি না কতো প্রতীক্ষার রক্তাশ্রু ঝড়িয়ে
ধরা দেবে সেই কবিতা তোমার ঠোঁটের স্পর্শে...

বিস্ময়!

নশ্বর একজোড়া হাত
কি করে আত্মা জুড়ে
ছড়ায় উষ্ণতা?

ভালবাসার অতলে
হারিয়ে গেলে কেন
জীবনের পূর্ণতা?

প্রণয়ের নিকষকালো রাত্রি
কেমন করে জ্বালে
নক্ষত্রের উজ্জ্বলতা?

একটি প্রেম ক্ষতগুলো
ঢেকে দিয়ে কিভাবে
পূর্ণ করে শুন্যতা?

কত প্রশ্নের উত্তর মেলে না...
তবু জীবন থেমে থাকে না।

স্বপ্ন শুরু ...

স্বপ্নগুলো আঁকিবুকি করে..
বিস্মৃতিগুলো আড়ালে পরে,
অন্তপানের চাণিক্যে চারু-পারু;
এ যে নব স্বপ্নের শুরু।

নয়নপাতায় নির্ঘুম রাতের
যন্ত্রণার কালিমা মুছে ফেলি,
নব-নিশি কি ডাকছে না আজ?
চল না ফি দৃষ্টি মেলি।
আশার বৃষ্টিতে আশার সৃষ্টি
যে ঐ দৃষ্টিতে দৃষ্টি বহুদূর,
মনে-প্রাণে আজ একটাই শপথ,
যেতে হবে ঐ সুদূর।

নবো-উল্লাসে জাগরণ,
আজ যে বিশ্বাস হারানো বারণ।
করে চলি তাই এই নফসের
সাথে নফসের যুদ্ধ অকারণ।
আমি পারবো, পারবো আমি;
কোনটাই বা পারিনি কবে?
এর জন্য কি আর
বলো এই জীবন দিতে হবে?

উৎসাহ আর উদ্দীপনা,
আকাঙ্খা জড়ানো জীবনের তাড়না;
সব ই মিলে আজ আমি আগামীর স্বপ্নে বিভোর,
আত্মবিশ্বাসে মোর জাগরিয়া ধ্বনিতে-
সবটুকু শোকরিয়া প্রভুর।

একটা কিশোর!
আজ এই নিস্তব্ধ রাতে তব নির্ঘুম,
নয়নে অশ্রুর কলতান;
বিধাতা তুমি কি পারনা দিতে
তারে পুস্ফটিত বিতান??
ক্ষণিকের মাঝে চিন্তার
পরত ভাঁজে আকাঙ্খার কারুকাজ,
মুষ্ঠিতেই যেন বিজলী খেলে,
কেন হবোনা আমি শাহ রাজ?

তাই, আজ যে নতুন এক স্বপ্নের শুরু!
উত্থান-পতনের মাঝেই লড়ে যাবার
প্রত্যয় জানানো,
স্বপ্ন ধংসের মরণ খেলা খেলতেই হবে,
আত্মাকে মানানো।
শিহরণে তাই ক্ষণে ক্ষণে জাগে,
নব আশার আবরণ,
স্পৃহায় জানাই, স্রষ্টা মোর সহায়-
করিবো মোর স্বপ্নপূরণ।


(জীবন থেকে নেওয়া)