আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। Lyrics by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Music by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Thursday, December 29, 2011

প্রস্তাব

undefined
সেদিন পথে মুখোমুখি চোখাচোখি
বুকের মাঝে ধুপধাপ দাপাদাপি,
হঠা৭ থমকে তাকে দিলাম চমকে
বলেই ফেললাম বড্ড সাহস নিয়ে-
"Excuse me"
কিছু কি বলবেন নাকি?
আমি অতোটা সাহসি নই যে
আপনাকে কিছু বলতে পারি।
তাতো বুঝতেই পেরেছি ক'মাসে
শুধুই যে দেখেছেন চুপিসারে!
তা জনাব,জানতে কি পারি কারন খানা
নাকি জনাবের ঐ কারন টাও অজানা।
বলবো কি আর দেখলেই অবস্থা শেষ
বুঝে নেননা হৃদয়ের টান যে অশেষ!
এতোই যদি লেগেছে টান
দূরে দূরে কেন বোকারাম;
পিছে কেন আসুন না পাশে
ভীরুতা কি পুরুষের সাজে?

ভালো আছি.....

ভালো আছি.....

undefined

প্রতিদিন তোমাকে একটু একটু করে চিনছি আমি .......
একটু একটু করে ভালবাসছি....
কোনো স্বপ্ন রচনা করার আশা আমার নেই.....
তোমার আশা,যাওয়ার কোনো সময় নাই.....তোমার ইচ্ছেমতন ই তুমি আস আর যাও ......
আমাকে দোলা দিয়ে দিয়ে যাও.......
দোল খেতে আমার কিন্তু খারাপ লাগেনা....
আমি ছুটে যাই অনেক দূরে ....দূর দূরান্তে....তোমার হাত ধরে......
নিঃশব্দ কথামালা দিয়ে তৈরী আমাদের ভালবাসার ঘর.....
যে ঘর নিজেদের হাতে আমরা সাজাই..............
যখন আমাদের বরাদ্দকৃত সময় শেষ হয়ে যায়......
আমরা ফিরে যাই আমাদের অভিনয়ের জগতে.....
রয়ে যায় রেশটুকু.......অফুরন্ত ভালোলাগার......
আমি ভালই আছি তোমার সাথে........
তুমিও ভালো থেকো.......


_____________
মেঘলা_দুপুর

তোমার জন্য কবিতা

তোমার জন্য কবিতা



তোমার জন্য কবিতা-
আমি আমাকে ভুল করে কবি ভাবি
যখন তখন লিখতে বসি
যৎসামান্য ভাব এলেই।

সে মেয়ে যে পৃথিবীর মুখ দেখেনি
আমি তার কন্ঠে ভালোবাসার কথা শুনি।
যে ফুল আজো ফোটেনি
তার মনের ভাব পড়ে ফেলি অনায়াসেই।

সে গাছ যার এখনো ভ্রুন জন্মেনি
আমি তার অজস্র ডালপালার
ঝিকিমিকি রোদের সাথে প্রেম করতে দেখি;
ছায়া দেয়ার সহানুভূতি অনুভব করি।

যে আগুন আজো বিরাট আকার ধারন করেনি-
সে আগুন পুড়িয়ে ফেলেছে
নগর, জনপদ, বনজঙ্গল
এই আমি ভাবি।

আমি প্রেমান্ধ ছিলাম না বলেই
আমার ভাব সংক্ষিপ্ত
তারপরও তোমাকে ভাবি।
সে মানুষ যাকে আমি ভালোবাসি
স্বপ্নে তার ছবি আঁকি।



_____________রিয়া হাবিব

এসোনা আর...প্রেম

প্রেম প্রেম প্রেম; ভুলেও এসোনা আর
উঁকি দিওনা নড়বড়ে দোচালা টিনের ফাঁকে
হা-ভাতের মতো এসে বসোনা বৈশাখী ঝড়ের থাবায়
পড়পড় বাঁশের খুটির গোড়ায়;
কালো মাটি কামড়ে পড়ে থেকোনা বেহায়ার মতো
পাপিষ্টের হাসি হেসোনা অমায়িকের ছদ্মবেশে
আসতে পারবোনা আর অনাবিল হেসে...

মুমূর্ষ পিতা আমার বিনা চিকিৎসায় দু'চোখ
বুজেছিল এই খুটির গোঁড়ায় ;
নরপশুর হাতে ছিন্নভিন্ন ফুটেফুটে অবুঝ
কিশোরী বোন আমার চিরআশ্রয় ভেবেছিল একে
সঙ্গে করে কেবল প্রিয় খেলার দড়ি;
অসহায় মা আজো নীরব অশ্রুতে ভিজিয়ে
আকুল সিজদায় নত হয়;
জননেতার ফসকে যাওয়া গুলিতে
পা হারানো সোমত্ত ভাই; অযথাই অশ্রাব্য
গালি ছোঁড়ে ক্রমাগত...
নিত্যদিনের সংগ্রামে ব্যর্থ সময়ের সর্বংসহা
অক্ষম আমার সমস্ত অব্যক্ত আক্রোশ
জ্বলন্ত চোখে ভস্বীভূত করে শতবার স্বভাবত...

এসোনা প্রেম ,এসোনা আর
বেবুশ্যে নর্তকীর নিক্বণ শোরে
নারীখেকো নিশাচরের অর্থের ঘোরে
ছয় ঋতুর ছয় সঙ সেজে
এসোনা আর...প্রেতাত্মার কেষ্ট হেসে
আসতে পারবোনা আমি আর অনাবিল হেসে...।।


_______________পাহাড়ী

তোর জন্য কাব্য

এবারের শীতের হিমেল হাওয়া অতিথি পাখীর সাথে-
তোকেও নিয়ে এলো আমার একঘেয়ে জীবনে।
তুই আমার জন্য সবুজ হ, আমি ঘাস ফড়িং হবো
কুয়াশা আর ধুয়াশা কোনটাই আমার ভাল লাগে না,
আমি আলো চাই, চাই স্বচ্ছতা..
যদি চাস তো শিশিরে স্নান করতে পারি।
যাপিত জীবনের কষ্ট ভুলে যা, হাসির শব্দ শুনিনি অনেক দিন
একটু হাস তো প্রাণ খুলে আমার জন্য, শুধু আমার জন্য কিন্তু!
তোর চা আর মুড়ির নিমন্ত্রণ আমি লকারে রাখলাম
দেখিস ঠিক এসে একদিন তোর দরজায় কড়া নাড়বো।
শোন তোকে আর ভাঙ্গা কাঁচের গ্লাস জোড়া লাগাতে হবে না।
কাঁচ একবার ভেঙ্গে গেলে যতো ভাল আঠা দিয়েই-
লাগানো হোক না কেন তার দাগ থেকেই যায়।
ফেলে দে ভাঙ্গা কাঁচের গ্লাস।
এবার আমার মতো একটা ইস্টিলের গ্লাস ব্যবহার কর
হয়তো দাম নিয়ে গর্ব করতে পারবি না;
তবে যত্ন করলে সারা জীবন ব্যবহার করতে পারবি,
পরে গেলেও ভাঙ্গবে না।
একটু রোমান্টিক হয়ে গেলো নাকি? হোক ॥তাতে কি?


____________সৈয়দ মাজারুল ইসলাম(রুবেল)

ভালোলাগা,ভালোবাসা

কখনও কখনও জীবনটাকে ভীষন বিষণ্ণ মনে হয়,
হারিয়ে যায় সব ভালোবাসা, ভালোলাগা।
নীল আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা।
অসহনীয় এক একাতীত্ব।

কখনও কখনও জীবন ভারী রহস্যময়,
ভাললাগার তরুলতায় ঘেরা, এক অজানা পুরী।
আঙুরলতার আনাগোনা,
ভালোবাসার ছোঁয়া।

সেই ভালোলাগা, ভালোবাসা।
মনের কুঠিরে তার আনাগোনা,
আবারও হারিয়ে যাওয়া,
ভালোলাগা, ভালোবাসা।


____________রোদেলা কাব্য

Monday, December 26, 2011

ধ্রুব বেদনা

undefined

আধঘুমে পৃথিবীর সব প্রানী তন্ময়
শিশির কুয়াশায় ,কিছু ভুল সময়
আজো তার পাশে , ঘুমন্ত ভুল সময় !
লোভহীন শ্বাপদের মত যে নিশাচর
টুকরো টুকরো করে শুভ্র জোছনার ছায়া ,
কেউ কি দেখে তার বেদনা ?
নাবিকের কম্পাসের মত ধ্রুব বেদনা ...।

কতদিন ঢেউ এসে ছুঁয়ে গেছে তার,
না ভেজা কাপড়ের যে তীব্র আকাঙ্ক্ষা ,
কি করে বোঝাই তারে ?
সবাই কি পায় ছুঁতে শীতল অনুভূতি !
এই পৃথিবীতে ?



__________মীরের লেখা

জেগে উঠো

প্রিয়তমা সুন্দরী, তোমার বিন্দু বিন্দু চোখের জল
বহমান স্রোত, মেঘনার ঢেউয়ের মত অবিরল
কোন দূর্যোগের ঘনঘটায় তোমার বিমর্ষ বদন?
কোন মোহনার বুকে ঝড়ে পড়ে তোমার করুণ রোদন?
কোন স্মৃতি? কোন বিপদে তুমি এত বিমর্ষ?
কোন দুঃখের অপঘাতে তোমার হৃদয় পুড়ে ভস্ম?
বলো কেন তুমি কাঁদো? কেন অশ্রুবর্ষণ অঝোরধারায়?
এ কোন অশনি সংকেত তোমার দু চোখের তারায়?
এ কেমন অভিমান? এ কী সূচনা কোন বহ্নিশিখার?
এ কী পূর্বাভাস কোন দাবানলের কিংবা প্রলয়শিখার?
এ কান্না কী অজস্র ক্ষুধিতের? অজস্র ব্যথিতের সুকরুণ সুর?
নাকি টর্নেডো ঝড়ের রাত্রিগত কোন ভোর?
কেন প্রিয়া? কেন তুমি হও নি এখনও ক্ষান্ত?
বন্ধ কর কান্না, হও এবার শান্ত

বলল সে আমায় `কেন আমরা আজ শ্রান্ত-ক্লান্ত?
কেন আমরা প্রতিনিয়ত হচ্ছি দিকভ্রান্ত?
কেন দিনে দিনে ইসলামের রবি বিমলিন?
কেন আমরা ফিরে পাচ্ছি না সোনালী সেদিন?
কেন আমরা আজ দিশেহারা?
কেন আমরা বিচ্ছিন্ন, ছন্নছাড়া?`

কোথায় আজ ফররুখ আহমদের সাত সাগরের মাঝি?
আমাদের বিপদ ঘনায়ে আসিছে, জাগিতে হবে আজি
সকলে মিলে সংগ্রাম কর, ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে ছুট
হে মুসলিম জাতি! জেগে উঠো, জেগে উঠো

১৬।০৪।০৫, পাবলিক লাইব্রেরী, ফেনী।

মেঘের ছায়া…

undefined

আমি হয়েছিলাম তোর
সবটুকুই তোর,
তুই হোসনি কখনোই আমার
আমাদের তাই এক আকাশে উড়া হয়নি।

পুড়িয়েছিলাম আমার মন
অনন্ত অনলে,
সেই আগুনে পুড়াসনি তুই
তোর জলে ভেজা মন
তাই জ্বলেনি দাবানল।

গহীন অধরে ডুব দিতে চেয়েছিলাম কতবার
তুই চাসনি ডুবতে
আমাদের জলে ভাসা হয়নি,
যুগল পদ্ম হয়ে উঠা হয়নি আমাদের।

আমার কিছুই তোর হয়নি কোনদিন
আমার কিছুই তুই তোর নিজের করে নিসনি
তাইতো পুর্বসম একা আমি
অনন্ত আধাঁরে
নিরুদ্দেশের পথযাত্রী।

মায়াবতী মেঘের ছায়া
সরে গেছে সেই কবে কোন দূরে
আমার আসমানে এখন
একলা চিল শুধু উড়ে।

______নীলসাধু

তুমি যেন এমন না হও!!!

undefined
তুমি যেন এমন না হও
যাকে দেখে আমি সোনালী ভোরের কমলতা
ভুলে তার দাবদাহে জ্বলি!

তুমি যেন এমন না হও
যার রূপ দেখে আমি পূর্ণিমার সৌন্দর্য ভুলে
রাতের নিরঙ্কুশ কালোকে দেখি!

তুমি যেন এমন না হও
যার জন্য বসন্তের আবেশকে মারিয়ে
শীতের তীব্রতায় কাঁপি!

তুমি যেন এমনও না হও
যাকে দেখার আশায় আমি অম্বর পানে চেয়ে
ধ্রুবজ্যোতির বিপরীতে শুধু অন্ধকার দেখি!

তুমি যেন এমন না হও
যার জন্য আমি প্রান্তর পর প্রান্তর চলে
দেখি শুধু রুক্ষতার সমাদ্রি!

তুমি যেন এমনও না হও
যার জন্য আমি আমার অসীম চাওয়ার আদলে
দেখি নিঃস্বতার ছড়াছড়ি!

তুমি যেন এমন না হও
যাকে ভেবে আমি প্রমোদিত হওয়ার বদলে
বিষাদে মুখ বাঁকিয়ে থাকি!

তুমি যেন এমনও না হও
যাকে আমি ভুলে গিয়ে নতুন স্বপ্নে
বাঁচার সাধ করি!

তুমি যেন এমন না হও
যাকে দেখে আমি ভালোবাসার কথা
ভুলে মনে অনুশোচনার ঝড় তুলি।

________দীঘি

নিষিদ্ধ কাব্য

undefined
অদ্ভূত ভালোবাসা সেই বৃষ্টির রুপোলী ফোঁটায়
কদমের ঘ্রাণ তুলেছিলো অনায়াসে
তড়িত স্ফূলিংগের আকস্মিক রঙের ঝালর,ঝিলিক
স্পর্শে পুরো প্রান্তর জ্বলেছিল অপ্রয়োজনে
কি ভীষন বিরক্তি;হঠাৎ স্পর্শ ছিন্ন স্বর্ণ হাতে
অস্বস্তির আসর;আঁধারসন্ধ্যার প্রেম সময়ে
বনজোৎস্ন্যার সুরের মূর্ছনার মাতাল ছোঁয়ার
অভিমান ভাঙা ব্যঞ্জনায়...

ধ্রুবতারা ঝরলো হঠাৎ খেয়ালের হেলায়
শরতের ধূসর মেঘ অনুভূতিহীন অগোচরে
হৈমন্তীর আঁচল উড়েনি উত্তরী হাওায়ায়
নবান্নের রঙের আয়োজনে...

পৌষের কাঁচশিশির কষ্ট সুখের আভায়
সুর তুললো গাঢ় কুয়াশার আস্তরণে
প্রচন্ড অনিচ্ছায়;সূচালো আঁচড়ে রক্ত ফোটে
লুকোনো সুপ্ত বিরহের আতিশয্যে;
এখন...কুয়াশার অভেদী আস্তরে পুরো প্রান্তর
আঁধার সন্ধ্যার অহেতুক আগমনে
একটু ওমের জন্য উত্তাপহীন আগুন জ্বালি
আলোর তৃষ্ণায় একাকী রাত্রিজাগা চাদরে॥

______পাহাড়ী

সাদা প্রজাপতি!

মেয়ে, তুমি কি জান? তোমাকে একটা কথা আমি বলতে চেয়েছিলাম। চিত্তের চিত্তাস্থলের অভ্যন্তরীণ ঠিক মধ্যবিন্দু থেকে বলতে চেয়েছিলাম। জান কি তুমি?

বিকেলের নরম শুভ্রালোয় তুমি দেখতে অপূর্ব-অপরূপা; .. না , এই কথাটা নয়।

এলোমেলো এলোকেশে নিদারুণ সৌন্দর্যে উচ্ছল উদ্বেল তুমি; ...আমি না এটাও বলতে চাইনি।

একটুখানি মজার কথা শুনে সহজেই ফিক করে হেসে ফেলতে তুমি, তখন যে কি পবিত্রই না লাগতো তোমায়.. আমি কিন্তু এটাও তোমাকে বলতে চাইনি।

যখন তুমি চোখ বন্ধ করতে চোখের পাপড়িতে যেন হঠাৎই আড়াআড়ি স্বপ্ন আর আশা খেলা করতো.. কি আশ্চর্য! এটাও আমি তোমাকে বলতে চাই নি।

তোমার নিমিত্তে সহচার্য পাবার সময়টুকু আমার কাছে যেন ছিল স্রষ্টার আশীর্বাদ এর নামান্তর .. এই অনুভূতিও তোমার কাছে আমি ব্যক্ত করতে চাইনি।

তোমার হাতের এক মুহূর্তের স্পর্শটুকু আমি অনুভব করতে পারতাম সহস্র মুহূর্ত ধরে.. এটাও কিন্তু আমি তোমাকে জানাতে চাই নি।

সাগরের নীলজলের মাঝে স্বপ্নস্নাণ করতাম আর ভাবনা করতাম হয়তোবা তোমার স্বপ্নও আমার সাথে মিলে যাবে,মিলেমিশে একাকার হবে.. স্বপ্নের কথা তোমার পানে আমি আনতে চাইনি।

তোমার তনুর উত্তাপ কাছ থেকে অনুভব করতে পেতাম, ঐ সময়টুকুতে চিন্তা খেলা করতো-আমিও যদি উষ্ণ হতে পারতাম তোমার মতো? .. আমার এই চিন্তাভাবনার খোরাকে তোমাকে চিন্তিত করতে চাই নি।

বাহ্যিক সৌন্দর্যের সাথে তোমার মনের সৌন্দর্যও অনন্য, অসাধারণ চিন্তাধারায় তুমি অতুলনীয়, অভাবনীয় মানবতায় তুমি মমতাময়ী, চিত্তে চিত্তে মানবের নিমিত্তে তোমার সকল চিন্তা আর আশার পরিণতি.. এই কথাটি আমি তোমাকে জানাতে উৎসুক হতে চাইনি।

মনে আছে, একদিন বলেছিলে তুমি.. আমাকে একটা প্রজাপতি এনে দিবে?সাদা প্রজাপতি!! আমি জানতে চেয়েছিলাম- কেন?
তুমি বলেছিলে- আমি না সাদা প্রজাপতি অনেক ভালোবাসি।
তখন শুধু একটি বারের মতো বলতে চেয়েছিলাম, আর আমি তোমাকে ভালোবাসি॥ অনেক ভালোবাসি!!



______নিঝুম অরণ্য

থরথর কাঁপুনি

দুটি ঠোট একেবারে কালো রং হয়েছে
সারা শরীর কেমন যেন অনুভূতি
ভয়, লজ্জা, সংকোচ
ক্ষুধা, পিপাসা, ব্যথা
এসব কিছু না ।

কেমন যেন কষ্ট
কোথাও কোন ক্ষত নেই
কোন জ্বর বা অসুখ নেই
কোন অভাব বা কোন বেদনা নেই
এমন কষ্ট, বুঝানো যাবেনা মুখে বলে
দেখানো যাবেনা কোথায় ব্যাথা
কিন্তু শরীরের হাড় পর্যন্ত কি যেন কষ্ট
অনেক বড় কষ্ট
ঠান্ডার কষ্ট
অনুভূতিতে যন্ত্রনা
কাঁপুনিতে থরথর সারা অঙ্গ
তাইতো কষ্ট
তাইতো শিতলতার বেদনা
বলা যায়না
দেখা যায়না
শুনা যায়না
শুধু অনুভবে এ যন্ত্রনা ।

সত্ত্বার দ্রোহিনী

কঙ্কন বিদ্রোহিনী, ওগো আত্মার দ্রোহিনী!
সহস্র আশা আর বিস্তৃত ভালোবাসা
বুকে জড়িয়ে বিশ্বাসের আদর মেখেছিলাম প্রেয়সিনী
তুমি সেই বিশ্বাসের প্রাচীর ভঙ্গকারিনী!!

ধিক্কার তোমায় ধিক্কার!
কি আছে আর অধিকার-
তোমায় ফের জড়িয়ে নেবার?

বিশ্বাস সেতো পবিত্র এক স্বত্তিয় অনুভূতি,
ভাঙবেনা ভাঙবেনা – গেয়েছিলাম তোমার স্তুতি
সত্য-মিথ্যার ভেদাভেদ ভুলে কতশত মাতামাতি
ছি! আজ সব পাল্টে গেলো রাতারাতি!!

সময়ে সময়ে অসময় মেনে না নিয়ে
দু’জনে চড়ে বেড়িয়েছি জগৎ বিঁভুয়ে,
আজ শুধু কষ্টের মিলনমেলা,
বিশ্বাস ভেঙ্গে চুরে একাকার-হায়রে ছেলে খেলা!!

মনে মনে আঁকিবুঁকি, তোমায় নিয়ে আশা
ছলকে ছলকে উঠে আজ নিঃস্ব ভালোবাসা!
পাল্টে পাল্টে নিয়েছ তুমি পুরানো বেশভূসা
আমায় নিয়ে ভাবনা কর কি তুমি, একটুখানি তৃষা?

উন্নাসিক তুমি, তুমি পরম ছলনাময়ী
শেষবধি হয়েছ তুমি মোর আত্মাক্ষয়ী
সমাপ্তি তাই সমাপ্তি টানছি, নিস্তার হল তোমার!
মুক্তি দিলাম তোমায় আজ, দিলাম কৃপা বিধাতার!

__________ নিঝুম অরণ্য

Wednesday, December 21, 2011

আঁধার রাতের দীর্ঘশ্বাস হাওয়া বয়ে বেড়ায়

এই তো সেদিন
তোমাকে দেখতে দেখতে, অবেলায় দিনটা শেষ হল
সনাতন নিয়মে দুপুর গরিয়ে সাঁঝ হল।

তোমাকে দেখবে বলে
হ্যামিলনের বাঁ‍শিওয়ালা মত পিছনে ছুটতে লাগলো
রাতের হরেক রকম পোকামাকড়;
আর ঝাঁক ঝাঁক জোনাক বাতি জ্বেলে,তোমাকে ‍ঘিরে রাখল,
নিয়ন আলোর মত করে!
সখীরা মিলে নওবত সানাই বাজায় ঝিঁঝির;
এদিকে জ্যোত্স্না তার,
যৌ‍বন উন্মাদনা বিভাস পাতার ফাঁ‍ক দিয়ে
তোমার উচ্ছ্বল চোখ মুখে ঝিলিক পরছিল; যেন উন্মুখ রাজহংসী
কপোত বিরহে উদাস।

কঙ্কাল রাত পাহারায়
ঘুম নাই আঁধার চোখে, যত সামান্য আলো তাও পারলে
চুঁইয়ে পরা শিশির ফোটার মত চুমুকে নিঃশেষ করে।
এই রাত ছিল তোমার,
বিরহের কঙ্কাল খতিয়ান! জড়পদা‍র্থের স্পর্শ চুম্বন
আঁধার রাতের দীর্ঘশ্বাস হাওয়া বয়ে বেড়ায়।

আমি তোমাকে ভালবাসতে চাই

আমি তোমাকে ভালবাসতে চাই সবুজ ঘাসের মতো
হয়তো কোমলে-কিংবা শরীর ঘষে মনের মতো
রাঙিয়ে ফুলে কিংবা দেহে উষ্ণভরা স্পর্শে,
আমি তোমাকে ভালবাসতে চাই
আমি তোমাকে ভালবাসতে চাই সকালে রোদের মতো
হয়তো ভাবনায়-সরল প্রেমের মতো,
আর রাতের ঘুমে-এই বাস্তব চাঁদের চাদোয়ায় ছেয়ে
গন্ধ বিলিয়ে তনু দেহে
পৃথিবীর খেলায় খইরঙা হয়ে;
আমি তোমাকে ভালবাসতে চাই
আমি তোমাকে ভালবাসতে চাই ছিমের ফুলের মতো
যেখানে সাদা বেগুনী নীলে,
রঙের খেলা চলে-
যেখানে স্বপ্ন ভবিষ্যতের আশায় বাঁচে,
আমি তোমাকে ভালবাসতে চাই
আমি তোমায় নিয়ে বাঁচতে চাই;
এই পৃথিবীর শূন্যভূমে
কুয়াশার ধূসর-ছাইরঙা চাদরে,
আমার সংসারে যে ভালবাসা আছে
তারই অংশে তোমায় জড়াতে চাই,
আমি তোমাকে ভালবাসতে চাই।



________ কে. এম. ওমর ফারুক

"অকৃত্রিম ভালবাসা"

আমি আমার মত আছি
তুমি খুজে নিয়ো যে.,
আজ আছি ছায়া বেশে
তোমারই পাশেতে...

রাতের আকাশ সাজাও তুমি
আমার আলো নিয়ে.,
দূর থেকে দেখি আমি, তোমায়
সব তারাদের ভিড়ে।

তারা আজ সঙ্গি তোমার
কালো আকাশের মাঝে.,
ভালবাসার আলো দিয়ে, তোমায়
সাজাই সন্ধাসাঝে...



____________নীলবালক

মনের ডালপালা

আমার প্রশান্ত আত্মা ঘুমিয়ে গেছে
সে আর জাগবে না
নি:শ্বাসের নীরব শব্দে
অভিমান ভাঙ্গবে না
তবু হৃদয় আত্মসুখের বাসনায় নির্লিপ্ত নয়
কী জানি, অভিমানে হবে কী পরাজয়
সরলতার আবরণে ঢাকা অভিমানী হৃদয়
চেতনার সাথে আন্ত:সংঘাত আর নয়
মূল্যবোধের স্বাধীনতা নেই
অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা বর্তমান
তবু খুঁজে ফিরি
সুখের নীড়ের ইন্টার্নাল ট্রায়াঙ্গেল
তার অস্তিত্ব আজ দ্বিধাহীন অভিযাত্রী
নীরবে আঘাতে-বেদনায় সরল অভিমান
হৃদয়ের বিশাল জুঁড়ে প্রজ্জ্বলিত অক্ষয় মশাল
কোন রহস্য নেই, অভিমানে নির্জন চারিধার
মধ্যাহ্ন বাতাসে কনকনে শীতের ঝড়, সবকিছু ছারখার
তবু নির্লিপ্ততা নয়, স্মৃতির চাঁদরে ঢাকা সোনালী সময়
হাতছানি দিয়ে জানিয়ে দেয়
সরলতার আবরণে অভিমানী হৃদয়।


_________মোঃ মুজিব উল্লাহ

বলতে ইচ্ছে হয়

তোমার ওই স্থির চোখের
তীহ্ম অথচ সুগভীর চাহনি
যেন নীড় হারা নয়
নীড় বাঁধেনি এমন পাখি
নীড়ের সন্ধানে শশব্যস্ত।
আমার হৃদয়কে বিদীর্ণ করে
কি যেন বলতে ইচ্ছে হয়;
খুব ছোট কথা অথচ কঠিন-
তাই বলা হয়ে ওঠেনা।


বিদীর্ণ হৃদয় শুধু ছাইয়ের মতো পুড়ে
কিন্তু তার মাঝে যে চাপা আগুন আছে
তা বুঝতে দেয় না।
ওই স্থির চোখে তাকিয়ে
আমার আর স্থির থাকা হয়ে ওঠেনা;
অজান্তে চোখের জল আসতে চায়-
তোমার অলক্ষ্যে চোখের জল আড়াল করি।




___________রিয়া হাবিব

Monday, December 19, 2011

এক ফোটা বৃষ্টি দাও আমায়

এক ফোটা বৃষ্টি দাও
তোমাকে ভালবাসা দিবো এই আমি।
যতটুকু ভালবাসা চাও তুমি
তার চেয়ে বেশি ভালবাসা দিবো।
যতটুকু সুখ চাও তুমি
তার চেয়ে সুখ দিবো ঢের বেশি।

তোমার ভেতর থেকে উচ্ছ্বসিত হয়ে
এক ফোটা বৃষ্টি দাও আমায়,
বৃষ্টির পরশ দু’চোখ বুজে গভীর চুম্বনে
সেই ফোটা তুলে নিবো আমার দু’ঠোটে।

বিশ্বাস করো, তোমাকে সুখ দিবো অনায়াসে।
আমি তো নিরন্তন তোমারই পানে চেয়ে থাকি
কেবলই চেয়ে থাকি এক ফোটা বৃষ্টির অপেক্ষায়…
মেঘের আবেগ ছুঁয়ে তুমিও চাইবে শুধু ভালবাসতে!


__________ওমর জাবিন

কচুপাতা শাড়ীর প্রণাম

বিনু'নের প্রজাপতি উড়ে বেড়ায় সর্ষের হলুদে
বাতায়নে ভাসে কিশোরী, ঝুমকো জবা-নোলক দোলে
দোলে ঐ বজরার গলুই হাল, পোয়াতী পাল
আরশির আঙিনায় বাড়ে কচি পাতা পুই শাক

গোয়াল পেরিয়ে ক্ষেতের আল, এই হাট হাট
পথিকের ডুলায় তড়পায়, বইচা সরপুঁটি ঝাঁক
নাড়া পোড়া বুনকা ধোয়া মিলায়, কুয়াশার চাদরে
হিম হাসে টুপটাপ ঝড়ে পড়া, শিশিরে

প্রভাতের জিম্মায় ওঠে উল্লাস, আলিফ যবর আ
ভালোবাসা গীতিতে, আমার সোনার বাংলা
চিরায়ত সবুজে দোলে ফসলী ঘাস, ফুলের নয়নতারা

ঊষা আসে মুগ্ধতায়, পূর্বাকাশে শত রং রাঙিয়ে
লাল সবুজের বাহারে
আজ জাত-শুদ্ধির হার না মানা হারে দিলাম
প্রভাকর, তোমায় বাংলা’র কচুপাতা শাড়ীর প্রণাম।।

________________কুহক

ভাল যদি বাসতে চাও

ভাল যদি বাসতে চাও,
কস্ট পাওয়ার ঝুকি তোমাকে নিতেই হবে ,
অভিমান –অনুযোগ করতে পারবে না তুমি ।
ভাল যদি বাসতে চাও,
প্রতিদান কভু চাইতে পারবে না তুমি,
যদিও প্র্কৃতি প্রতিদান তোমায় দিবে বহু গুন বহুগুন বেশী।
তোমার ভালবাসা পদদলিত হবে,
লাঞ্ছিত হবে তোমার অনুভুতি,
বিনিময়ে তোমাকে আরো বেশী আরো বেশী ভাল বাসতে হবে ।
তোমাকে তারা কস্ট দিবে,
তোমাকে তারা কাঁদাবেও বটে,
কাঁদতে পারবে না, জ্বলতে পারবে না, জেনে রেখ তুমি ।

হেমলক সক্রেটিস কে নীল করে দিয়েছিল,
কিন্তু তার প্রেম ছিল টগবগে লাল।
যীশুর হ্রদয় বিশ্বাস ঘাতকতায় হয়েগিয়েছিল নীল,
ভালবাসা তার ছিল যত, হয়েছিল অমলিন ।
হোসাইন নিয়েছিল তেষট্টি টি ক্ষত,
ক্ষতে তার রক্ত ছিল বটে, ছিল না অভিশাপ এত টুকু ।
কবির কবিতার এক একটি শব্দ,
শব্দ গুলি শব্দ নয় জেনে নিও, হ্রদয় থেকে ঝরে পড়া এক এক ফোটা রক্ত,
তবুও তাতে অভিমান নেই কোনও , আছে বরং আরো বেশী ভালবাসা শক্ত ।

তোমাকেও হতে হবে নীল, নিতে হবে তেষট্টি টি ক্ষত,
তবেই তুমি করবে অর্জন ভালবাসা যত,
পারবে তুমি বাসতে ভাল, যত খুশি তত ।

__________বিলিভার

ঝরা পাতার শব্দে!

হয়তো ঝরা পাতার শব্দে চমকে উঠবে!

হেলানো ছায়াটা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবে
সময়ে মিশে যাবে বুনোপথের শেষ প্রান্তে,
উঁকি দেবে আকাশে অচেনা হেমন্তের চাঁদ
আধখোলা জানালায় ভাঙ্গবে স্মৃতির বাঁধ।

জেগে থেকো অনেক অনেক রাত হালকা
শীতের ওমে। অনুভবে থেকো অনেকটুকু
সময় বিনিদ্র, ক্লান্ত হুঁতোম প্যাঁচার দমে,
আর, টিনের শেডে কুঁয়াশা যেমন জমে।

শিহরিত হয়ো একা, কলা পাতার চুমে
গভীর রাত পর পর হোকনা জাগরনে,
ঘুমে। ইথারীয় ফিস, ফিস, ফিস যাক
মিলিয়ে যাক ভূমে, এ আকুল অঘ্রানে।

ছায়া হারাবে ছায়ায়, খেয়াল খুশি মতন
ডুকরে কেঁদোনা ভেবে সব আগের কথন।
লজ্জাবতী যেমন ধীরে পেখম মেলে দাড়ায়
আগ বাড়িও ভোরে রাত পারাপার চড়ায়।

গভীর রাতের শীত চাদরে জড়িয়ে থেকো।
ভাববে তেমনটিই আছি,ছুঁয়ো দেখো যতনে,
বুকপাশটিতে হৃদকম্পনে।


_______আশরাফুল কবীর

হৃদয় দেবতা!

হৃদয় দেবতা আমার থাকো হৃদয়ে
অশ্রু হয়ে যেন ঝরো না নয়নে।
রবির আলো মত জ্বল গৌরবে
উল্কা হয়ে খসে যেও না অকালে।
ফাগুন যেভাবে জীবনে বসন্ত আনে
প্রেম দেবতা হয়ে আজন্ম বেঁচে থাক হৃদয়ে।

কোকিলের কলকাকলির মাধুরী কণ্ঠে নিয়ে
ভরায়ো জীবন যৌবন সুর সঙ্গীত কলতানে।
হৃদয় মননে কাননে ফোটা সব পদ্ম তুলে নিয়ে
মালা গেঁথো তুমি রক্ত জবার রক্তিম লাল রঙে।

গোধূলির থেকে বৈচিত্র্য কিছু আলোক ছটা নিয়ে
রঙে রঙে তুমি রাঙিয়ো জীবন তেজস্বিনীর সাত রঙে।
উদাস বেলায় কষ্টে কাতর হয়ে যখন দুচোখ জল নামে
তুমি আলত ছোঁয়ায় মুছে দিয়ো একটু সুখের সুধা দিয়ে।
আমি আজীবন তোমায় পুঁজ করে যাবো মন-দেবতা করে।



________দীঘি

ডুমুরের ফুল....

হঠাৎ করে তুমি ডুমুরের ফুল হয়ে যাও
কোথাও পড়ে না তোমার শরীরের ছাঁয়া
আমি চেয়ে থাকি পথের দিকে
তুমি আসবে বলে
কখনো কখনো বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে
সন্ধ্যা পেরিয়ে কুয়াশার রাত
রাত গাঢ় হয় চন্দ্রের অস্ততায়
নীরব হয়ে উঠে ব্যস্ততম সড়ক, হাটবাজার
ক্লান্ত-শ্রান্ত মানুষ নীড়ে ফিরে ঘুমিয়ে পড়ে
অদূরে দেখা যায় সাগরের তটভূমি
শান্ত সাগরে স্রোতের মৃদু ঢেউ খেলে যায়
নিদ্রায় আলুথালু হয়ে পড়ে বনভূমি, জ্যোৎস্নার আকাশ
শুধু ঘুমায় না আমার দু চোখ
নিঃশব্দে খুঁজে বেড়াই তোমাকে

মাঝে মাঝে তুমি কোথায় উধাও হয়ে যাও?
নীরবে সন্ধ্যা নামে শীতের বিকেলে
পাখিরা আকাশে উড়ে, চলে যায় দূরের সীমানায়
পার্কে বেড়াতে আসে কপোত-কপোতীরা
আড্ডায় মেতে উঠে বিভিন্ন বয়সের মানুষ
বাজারে কেনাবেচার ধুম চলে
নাটকপাড়ায় চলে নাটকের শ্যুটিং
আস্তে আস্তে রাত নেমে আসে
খদ্দর বাড়তে থাকে বেশ্যাপাড়ায়
আজন্ম বেশ্যার দালাল হয়ে হাঁক ছাড়ে জনৈক আলাল
বনে বাদাড়ে শোনা যায় শেয়ালের ডাক
আমি বড় একা হয়ে যাই
ফিরতে পারি না আপন আলয়
ঠাঁই দাড়িয়ে থাকি তোমার বাড়ির সীমানায়
কখন শেষ হবে তোমার অজানা নির্বাসন?
কবে ফিরে আসবে তুমি?
কবে ছাঁয়া পড়বে তোমার নগরীর বুকে?



_____
মোঃ মুজিব উল্লাহ

Monday, December 12, 2011

অশ্রু হারা অশ্রু!!

স্বপ্নগুলো নিরবে অশ্রু ঝরায়
বেদনার নীল কাব্য নিরাশার বানী শোনায়।
প্রতিটা মুহূর্ত একেকটি বছর মনে হয়!
সুখের প্রত্যাশায় দুঃখগুলো ভাষা খুঁজে পায়।
তবু রেখে যায় কিছু অন্ততহীন প্রত্যাশা!
এক দিন সুখ আসবেই।
বেদনার কালো মেঘ গুলো একদিন যাবে কেটে।
প্রানের সব স্পন্দনে সুখকর স্বপ্ন হয়ে দোলা দেবে।
দুঃস্বপ্নের ঘোর কেটে যাবে।
কেটে যাবে সুনামির ভয়াল রাত্রি।
কেটে যাবে বিভীষিকাময় ভয়ার্ত ক্ষণগুলী।

একদিন ভালোবাসা এসে জড়িয়ে নেবে।
প্রানের মায়ায় বুকেতে ঠাই দেবে।
সব হায়ানার চিৎকার পেছনে ফেলে
ভালোবাসাময় ভালোবাসায় কাছে টেনে নেবে।
বিধি বড় দেরি যেন না হয় জেনো!
অপেক্ষার প্রত্যাশায়
প্রান পাখি যেন উড়ে চলে না যায়!
ছোট এ জীবনে এতটুকু চাওয়া।

Thursday, December 8, 2011

তবু পাই যেন তার সন্ধান!!!

আমি নিজের মতই বাধতে পারি গান
সাধতে পারি সুর, কিন্তু শোনানোর মানুষ কই?
আমি নিজের হৃদয়ে নিজেকেই দেখি, নিজেকেই আঁকি
....তবু যেন কার পথটি চেয়ে রই!

আমি ঐ সুর্যের দিব্যি দিয়ে বলতে পারি
আছি অনেক ভাল, আমি পূর্ণিমার ঐ চন্দ্রিমা হতে ছিনিয়ে নেই আলো-
দু'হাত পেতে মাখি সারা গায়, আমি নগ্ন-বেশে পিছন ফিরি-
...যদি কেউ অবাক হয়ে চায়!

আমি কখনও হাসিনি বর্ষার বিলাপে
কখনও কাঁদিনি বসন্তের রোদে নেয়ে,তবু তোমরা যখন কৃষ্ণচূড়ার কষ্টে রাঙ্গো-
আমি তাকে জড়াবো বলে-হারাবো বলে-তাহার কোলে-
শীতের শিশিরের বিছানায় শুয়ে,কুয়াশায় চুর হই,

আমি নিজেকে ভালবাসি, অনেক বেশি
তাহার চেয়েও! কাহার চেয়েও? ভেবে পাই না সাড়া-
শুধু শুনি বিরহী চাতকের গান, আমি নিজের বুকের সেই আমাকে গড়তে রাজি,
তাহার মত...২০৬টি হাড়ে জুড়িয়ে-মাংস বিলিয়ে-রক্ত পিয়ে-
যদি লাগে দিয়েই দেব প্রাণ...আমি তবু পাই যেন তার সন্ধান!!!


__________
বনসাই মেয়ে

একটু জায়গা দেবে?

আমার একটা পুরনো খাতা আছে;
এখনো ওটায় কিছু লেখা হয়নি
পৃষ্ঠাগুলোয় হলদেটে ছাপ পড়ছে
কলমের কালি তবু শুকিয়ে যায়নি।
নতুন করে লিখব পুরনো সুখগাঁথা
কিন্তু আজ সব অশান্তির জবরদখলে...
তোমার চিলেকোঠায় জায়গা দেবে?
শান্তিকাহন লিখব বসে তোমার টেবিলে।

আমার ঝোলায় অনেকগুলো রং আছে;
তুলি, প্যালেট আর নতুন ক্যানভাস।
দৃষ্টির সামনে সুন্দর যাকিছু খেলে যায়
মৌনসাধনায় তা ফুটিয়ে তোলা অভ্যাস।
এখন চারিদিকে কেবল স্বেচ্ছাচারিতা,
অন্ধকার সব আলোর নিয়েছে বর্গা!
আঁধার আঁকতেও আলোর প্রয়োজন-
তোমার ঝলমলে উঠোনে দেবে জায়গা?

ডুবে আছি, ভালবাসার বেনোজলে

রাতের এই মধ্যযামে
রাতের শরীরকে বিদীর্ণ করে
বসে আছি একা
নীড়হারা পাখীর মত,
জানালার ওপারে চাঁদ ডুবে যায়
রেখে যায় বেদনার শিউলী যত
তারা মন্থিত হতে হতে ভেসে যায়
সঞ্চিত জলের স্রোতে
ছোট ছোট বোধের পানসি ডুবে যায়
বুকে নিয়ে কষ্ট থোকা থোকা,
তৃষিত এ মনের দেহে
রেখে যায় স্মৃতির শিশির
বোধের অণুতে আমি ভেঙ্গে ভেঙ্গে
জল হই, প্রণয়ের জল
তোমাকে ভিজিয়ে দিতে
হৃদয়ের উষর মরুতে ।।


___________ জে এম আজাদ

অশ্রুজলে উপুর হয়ে থাকি লজ্জায়

হে আমার সুপ্রিয় নতুন প্রজন্ম,
কী বলে করবো সম্বোধন,
চল্লিশটি বছর তো গেল এই ভাবনায়
মনে তো পড়ে না -
কখনও লিখেছি তোমাদের
তাই আজ ভারী লজ্জা, তবুও লিখলাম
কোথা থেকে ছুটে এলো বিজয়ের মাস।

স্রোতের পাহাড়ে তৃষিত বক্ষ ছুয়ে
ঝাঁপিয়ে পড়ে ঝরণার অনুতে ভিজে
কঠিন পাথর ভেঙ্গে স্বাধীন করেছি দেশ
মানচিত্রখানা দিয়েছিলাম তোমাদের হাতে।

সাভার স্মৃতিসৌধে চূর্ণ হৃদয়দের কবরে
অশ্রুজলে উপুর হয়ে থাকি লজ্জায়
স্বাধীনতাটাকে দেখার সাধ ছিল বড়
সর্বনাশা আগুনের আনন্দাশ্রু সংবরণে।

আমার ধূসর স্মৃতিগুলো জেগে ওঠেছে
যদি দেখা হতো জগৎকর্তার সাথে
জড়িয়ে ধরতাম তাঁর চরণ দু'খানা
সেবা দিয়ে বলতাম মনের দু'টি কথা।

হে আমার ধর্ম সন্তান,
আমি মুক্তিযুদ্ধ করে শহীদ হয়েছি,
মনে করো না বিশাল কিছু করে ফেলেছি
যতটুকু করেছি, চিরকাল গর্ববোধ করবে
তোমার সামনে দীর্ঘ বিপ্লবের পথ
তোমাকেও হতে হবে বিপ্লবী
সবসময় থাকবে ন্যায্য দাবীর পাশে।

এমাসে আর একবার পাশে
এসে দাঁড়াবে প্রিয়তম বর্বরেরা
খিটিরমিটির করেও জ্বালা নিয়ে থাকি
মনের আগুনে সিক্ত হয়েও কবুল করি
আমার তো আর কোনও জো নেই।

এচিঠি পেলে কি না তা জানা হল না।

Monday, December 5, 2011

তুমি আমাকে কিছু বলতে চেয়েছিলে, অন্যরকম কিছু;
আমার জানাই ছিলো, অন্যরকম কিছু অন্যরকম নয়।
তুমি আমাকে তোমার প্রিয় জায়গায় নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলে,
চিরে যাওয়া অতুল ভাবনা ঠেলে শেষবারের মতো তা গ্রহণ করেছিলাম।
হারানোর নিষ্ঠুর সুর যখন তোমার মাঝে খেলা করছিলো,
নির্মম বেদনা সয়ে অনেক কষ্টেও তখন আমি হেসেছিলাম।
ছিঁড়ে খুঁড়ে অনেক দূরে যখন তোমাকে দুমড়ে মুচড়ে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলাম,
জান কি তুমি; ছিন্ন ভিন্ন হয়ে অভিন্ন কষ্টে আমিও নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলাম।
টোলপড়া হাসিমাখা মুখটা নীল বেদনায় জমাট হয়ে গিয়েছিলো,
নিভ্রিতে শুধু বলেছিলে একটা কথা, “আমি কি এখন যাবো?”
জানতাম শেষবারের মতো বলছি, তারপরেও চেয়েছিলাম শেষ না হোক;
কী নির্লিপ্তের মতো বলেছিলাম, “যাও” ।
..........................................

সময় গড়িয়ে যায়, মেশে স্রোতের মোহনায়,
বহুকাল, বহুক্ষন কেটে যায় তার প্রতীক্ষায়!!
..........................................

তুমি আর আমার জন্য অপেক্ষায় থেকো না,
আমাকে ভালোবাসতে উন্মুখ হয়ো না,
আমাকে যদি বা কখনো দেখো, তবে ঘৃণাই না হয় দিও
আমি বুঝে নিবো, এখনো আমায় তুমিই ভালোবাসো।
প্লিজ.... আর কেঁদো না।
কান্নার নোনতা জলে অবগাহন না হয় আমিই করবো নে,
তারপরেও তুমি সুখী হও, অনেক সুখী!
তোমার সুখে যেন তোমার সখীও ঈর্ষান্বিত হয়।
এই যে সুখের পরশ পাথর তোমার শিয়রে বুলিয়ে দিলাম,
চিবুকখানি উপরে তুলে দেখ,
অনেক দূরে থাকার পরও আমি এখনও তোমার পাশে,
থাকবো সারাটা জীবন; ভাবনা করোনা তুমি।
মনে করো কষ্টমাখা দুষ্টু হাসিতে তোমাকে বিদায় দিয়েছিলাম,
বিদায় তো একটা সময় নিতেই হয়, তাই না মেয়ে?
আমি না হয় একটু আগেই নিয়েছিলাম।
আজ যে অশ্রুসজল ঝাপসা দৃষ্টিকে বড় আপন মনে হয়,
আচ্ছা, তুমি কি জানো, কান্নাজল কেন নোনা হয়?
______________নিঝুম অরণ্য

প্রিয়ভাষিণী

ভাবিনি কখনো রাতের কবিতার জন্য সকালে অনুতাপ করতে হবে। পাতা ঝরার দিন এলো বলে, মৃত স্বপ্নরা আমায় ডাকছে তাই ঝরা পাতার সাথী হবো ঠিক করেছি। ফাগুণ আমার জন্য নয়, তাই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলাম
এটি শুধু মাত্র কবিতাই ছিলো...

তোমাকে দেখব বলে আকাশ হবো
তোমাকে ছোঁবো বলে বৃষ্টি হবো,
বাতাস হবো, মাটি হবো
রাত্রি হয়ে জড়িয়ে নিবো
মুক্ত হবো কেমন করে সংকোচের বাধন ভেঙ্গে?
স্বপ্ন গুলো তোমায় দিবো,
ইচ্ছে গুলো তোমার রঙ্গে রাঙ্গিয়ে নিবো
কষ্ট তোমার আমার করে দুঃখ সকল আমিই নিবো।
আমার হবে হতে পারো
হাত দুটি মোর ধরতে পারো
একটা জীবন একটি ভেলায় দুঃখ সুখে কাটিয়ে দিবো।
নইলে; কোথাও হারিয়ে যাবো
নীল তারাদের সাথী হবো
খুঁজলে খুঁজো আকাশ মাঝে
তোমার রঙ্গে যেই তারটি সেই তারাটি আমিই হবো ।

শহরের ফানুস জীবন ছেরে, পিছ ঢালা পথের মায়া কাটিয়ে, গায়ের মেঠো পথে তোমার পা পরবে কোনদিন? আমার উঠোনে হেমন্তের পাকা ধানে তোমার রাঙ্গা পা পরবে কোনদিন? জানি পরবে না। ভুল আমারই কল্পলোক আর বাস্তবতা গুলিয়ে ফেলি বার বার। তাই তোমাকে দায়ী করে সুখ খুঁজলাম। শুধু অনুরোধ আর প্রশ্ন করোনা...




_______________সৈয়দ মাজারুল ইসলাম(রুবেল)

আমার যতো ভাবনা

প্রতিদিন কিছু কিছু পথ হেঁটে চলেছি সেই কবে থেকে
অফুরন্ত পথের দু’ধারে প্রকৃতি আর জীবনের যে
মহামিলন, তার কিছু স্বাদ আমার জানা আছে
কিছুটা অজানা, জানা হবে না কোনদিনও।

কখনও না- কোনদিনও আর সেসব জানা হবে না
কেন কিছু প্রিয়মুখ দূরে চলে যায় কিছু না বলে
কেন কেউ প্রতীক্ষার প্রহরে বাঁধা পড়ে থাকে
অথবা ঘৃণায় থুথু ছিঁটায় অলক্ষে!

কিছু ভুল বোঝাবুঝি ধূলি হয়ে রয়ে যায় পথে
কিছু কিছু পায়ের চিহ্ন স্পষ্টই থেকে যায়
কিছু ফুল সেভাবেই পড়ে থাকে
হাঁটতে হাঁটতে তেমনই ভাবি।

মাঝে-মধ্যে দিগন্তে পথের সীমা দেখতে পাই যেন!
যেন ওখানেই পৌঁছে যাবো বলে হাঁটি
না, তাও যেন সত্যি নয়; কোন সত্যি নেই
মানুষের এই একটা জন্মের জীবনে।

____________ নাসির আহমেদ কাবুল

প্রতীক্ষা

সময় পেরিয়ে যাচ্ছে,
একটি একটি করে ফুরিয়ে আসছে জীবনের দিনগুলো,
বহু প্রতীক্ষিত অমূল্য দিন।
ডাক্তারবাবু বলেছিলেন, আর খুব বেশি দেরী নেই,
বড়জোর দুই কি তিনমাস।
বড্ড কঠিন শুনিয়েছিল কথাগুলো,
কিসের কথা বলছিলেন ডাক্তারবাবু?
তবে কি আমার জীবন ফুরিয়ে এসেছে?
মরন ঘটছে আমার স্বপ্নের?
তাইবা কি করে হয়?
বহু সাধ যে অপূর্ণ রয়ে গেছে, অপূর্ণ রয়ে গেছে বহুস্বপ্ন।
আজকাল প্রতিটি মিনিটে, প্রতিটি সেকেন্ডে সবাই মনে করিয়ে দেয়,
তোমার সময় শেষ হয়ে এসেছে।
ওদের ঠাণ্ডা শীতল চোখে জেগে ওঠে অর্থহীন সহানুভূতি।
আবারও ভাবি এইতো বেশ, এইতো ভাল।
কেউ বুঝবেনা, কেউ জানবেনা,
হঠাৎই একদিন রওনা দেব নিজের পথে।
প্রতিদিন গোধূলিলগ্নে দখিনা বারান্দায় এশ দাঁড়াই আমি,
ভাবি, দিনের এই অন্তিমলগ্নের মতই একদিন হারিয়ে যাব আমি,
আর ভাবি, সময় পেরিয়ে যাচ্ছে,
একটি একটি করে ফুরিয়ে আসছে জীবনের দিনগুলো,
বহু প্রতীক্ষিত অমূল্য দিন।



__________রোদেলা কাব্য

Saturday, December 3, 2011

স্বপ্ন জোনাকি

জানিনা আজ খুঁজে কি পাবো না
অচেনা ঐ পথের প্রান্তে
স্বপ্নের হাতছানি দিয়ে কে যেন
আমায় তবু ডাকে অজান্তে...

বুঝিনা আজ ভেবেছি যা কিছু
তোমারি মগ্ন স্বপনে
নিষ্ফল আশায় নিজেকে সুধাই
যদি আসো গোপনে...

বিকেলের রোদ নিভে আসে
প্রকৃতির নিয়মে
আজো মনে হয় লুকিয়েছো তুমি
আমায় দেখে শরমে...

ঐ ডালাসের যান্ত্রিকতায় আছো কি ভালো?
বাংলার মাটি মানুষের চেয়ে,
নাকি সভ্যতায় তোমায়
করেছে গ্রাস আমায় ফেলে...

চেয়েছিলে যা পেয়েছো কি তা?
ছুটেছিলে মরীচিকার পিছে নয় কি
ফিরে এসো তুমি পথ চেয়ে আমি
তুমিই আমার জোনাকি ...


_________ভুতের আছড়

প্রণয়ের মাদল বাজে মহুয়াবনে

তোমার শিয়রে জেগে আছে চাঁদ
রাত গভীর হলে দেখে নিও
মহুয়া বনের মাতাল পবনে
ইশারায় তাকে ডেকে নিও ।

রাত গভীরের নিপতিত দেহ
মন্থিত হলে বুঝে নিও
আসবে সে বুঝি সহসা তোমাতে
প্রণয়ের জলে ঝেঁপে নিও ।

রাত গভীরের প্রণয়ের জলে
ভিজে গেলে দেহ ঢেকে নিও
প্রণয় প্রাণের সৃজিত দেহটি
উষ্ণ আবেগে মেপে নিও ।
_____________জে এম আজাদ

শেষ আশ্রয়

আমার এতটুকু ভাবতেই ভালো লাগবে
কেউ একজন আমাকে প্রতি নিয়ত ভাবছে ।
নাইবা ভাবুক
সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমাকে ভাববে ।


আমার আঙ্গুলগুলো নিরাবরণ হয়ে গেলে
তার হাতের অংগুটি এগিয়ে এসে
আমার অনামিকায় আবরণ দেবে ।
আমার চোখে যখন পানি ছাড়া কিছু থাকবে না
তখন সে সামান্য হলেও
মুখে হাসি ফোটাবে ।

আমি যখন নিঃস্ব হবো
প্রতারিত হতে হতে আত্নবিশ্বাস হারিয়ে ফেলবো
তখন সে আমায় সঙ্গ দেবে ।
চোখের পাপড়ি বন্ধ করতেই যখন
ভয়ানক দুঃস্বপ্নের ছায়া চোখে নামবে
তখন আমার চোখের কোনে
সামান্য সুস্বপ্ন এঁকে দেবে ।

আমার যখন অমানিশা রাত্রি কাটতে চাইবে না
তখন সে ভোরের সূর্য হয়ে
আমায় শুভ্র ভোর উপহার দেবে ।
যখন বুকের ভেতর কষ্টেরা জমাট বাঁধবে
ঠিক বরফের মতো
তখন সে বরফ থেকে পানি ঝরাবে ।

যখন পৃথিবীর সব অসৌন্দর্য,
অসভ্যতা ও কুরূপ দেখে দেখে
আমার দু চোখ অন্ধ হবে
তখন সে আমার চোখে আলো হবে ।
জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণাগ্রস্থ হয়ে যখন
রেললাইনে হাটবো
যাতে রেলপিষ্ট হয়ে মারা যাই
তখন সে আমায় আত্নহত্যা থেকে বাঁচাবে ।

আমার মৃত্যুর পর যদি
আমাকে কবর দেয়ার উপযুক্ত জায়গা না মেলে
তখন সে তার বক্ষ পিন্জিরায় আবদ্ধ
হৃদ জমিনে আমাকে কবর দেবে ।
সযতনে সে কবরের উপর
কয়েক মুঠো ভালোবাসা ছড়িয়ে দেবে।


______রিয়া হাবিব
যদি কভু ভোরের আকাশ শূন্য দেখো
আমায় ডেকো
আমি ভোরের তারা হয়ে জ্বলবো অনন্তকাল

যদি কখনো জীবনের বাক নেয়া মোড়ে
খরকুটার মত থমকে যাও
আমায় ডেকো ...
আমি প্লবন হয়ে তোমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবো

যদি তোমার অপুর্ন কোনো স্বপ্ন থাকে
আমায় ডেকো
তোমার আকাশে সাদা মেঘের ভেলার মত স্বপ্নে স্বপ্নে পুর্ন করে দিবো

যদি কখনো আমাকে অনুভব করতে ইচ্ছে করে
আমায় ডেকো
আমি তোমার আঙিনার হাসনাহেনার ঘ্রান হয়ে তোমায় জরিয়ে নিবো

যদি কখনো স্নোফল তোমার ভালো লাগে
আমায় ডেকো
আমি পুরো দুনিয়ায় তুষার ঝড় হয়ে ঝরে যাবো

যদি অবিরাম ঝর্নাধারা তোমার ভালো লাগে
আমায় ডেকো...
আমি নায়েগ্রার অবিরাম ঝর্না হয়ে অনাদিল ঝরবো

যদি সাগর পারে পা ভিজাতে ইচ্ছে করে
তবে পাড়েই দাড়িয়ে থেকে
আমায় ডেকো
আমি ঢেউ হয়ে এসে তোমার নুপুর ভিজিয়ে দিয়ে যাবো ।

যদি তোমায় কভু বিষণ্ণতা গ্রাস করে
আমায় ডেকো.,,
নেগেটিভ আয়ণ হয়ে এসে তোমাকে উজ্জিবিত করে যাবো

যদি তোমার খেয়ালি মনে শেষ বিকেলের রোঁদে
হাড়িয়ে যেতে ইচ্ছে করে
তবুও আমায় ডেকো ...,
শীতলক্ষ্যার পাড়ে শরতের কাশবন হয়ে তোমাকে লুকিয়ে নিবো

যদি জোনাকি হয়ে কখনো আমাকে
আলো দিতে স্বাদ জাগে
আমায় বলো ...,
আমি প্রান্তর জুড়ে রাতের হিজল বন হয়ে অপেক্ষায় রবো


__________ভুতের আছড়