আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। Lyrics by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Music by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Thursday, March 1, 2012

তোমায় দিলাম সবুজ শৈশব .

আজ তোমায় শ্যামলিমা যৌবন দেবো ;
লাল ধূলিকণা ছুঁয়ে ছুঁয়ে
ঝিরিঝিরি বাতাস লয়ে
সবুজেরা যেখানে মিতালী গড়েছে ।

চিরচেনা বন্ধু আমার; বিমূর্ত আকাশ
উদ্ধত পাহাড়ের মায়া;
কুহুকুহু ডাক তুলে
অচেনা পাখির উড়ে উড়ে যাওয়া ;
কর্ণফুলীর শান্ত ধারার থেমে যাওয়া ;
যেখানে শৈশব হেসেছে চিকচিক রোদে ।

সিনেমা হলের পেছনে সেই ঝোঁপ
লাল নীল হলুদের গুটিগুটি ছোপ
নিয়ন আলোয় কার্গোর বিমোহিত সাঁঝ
চাঁদের ছায়ায় মেঘেদের নিশ্চুপ রাত
আমি নিশ্চিত বলতে পারি
সেখানে দাঁড়ালে নিজেকে নিষ্পাপ মনে হয়।

বিচিত্র মুখ- ভাষা-পোশাকের মানুষ
ভালবাসা মৈত্রীতে উড়ায় ফানুস;
বারোমাসি নিবিড় বাঙালি ;
ইছামং;পুতুলখেলায় বর ছিলো যে আমার;
ওদের আমি কথা দিয়ে এসেছি
তোমায় সাথে নিয়ে যাবো বলে।


_________পাহাড়ী

আহিত অনুভূতি

নিশীথ নিভৃতে একহারা দীপালি মায়ায়
অনিন্দ্য অতিথি হলে তুমি; শৈল্পিক ছায়ায়;

শিউলির সফেদ শুভ্রতায় বলিহারি জলজ আকর
বিতোভেনে স্বপ্নের চাষ ;জলরং অনুক্ষন
আরশির সাজ মোহ মায়া; তিথির পুষ্প বাসর
সিক্ত আবেগে দিলাম তোমায় অনুক্ত অনুরন।

অনিন্দ্যঃ স্বপ্নচারিনী;এমন নিউরনের খেয়ালিপনায় রাজবন্দী করোনা
একটু না হয় ক্রন্দসী হও ; সুখতপ্ত নোনা জলে
চুঁইয়ে চুঁইয়ে ছুয়ে যাক মিষ্টি কপোল;

নীললোহিত শিরায় কেন্দ্রমুখী আরোহী করোনা
একটু না হয় দৃশ্যে দাঁড়াই ; বাস্তবতার রোলে
পাঁচালী রাগে হয়ে যাক প্রণয়ী কুশল ।


________পাহাড়ী

ফিরে যেতে চাই অতীতে

আমি অপেক্ষায় আছি,
তোমার হাত টি ধরব বলে।
তোমার হাত ধরে আমি আবার,
হেঁটে যেতে চাই বহুদুর।

আমি অপেক্ষায় আছি,
তোমার চোখে চোখ রাখব বলে।
তোমার চোখে চোখ রেখে আমি আবার,
হারিয়ে যেতে চাই অজানাতে।

আমি জানি, আমার সেই অপেক্ষা,
কখনও শেষ হবে না।
আমার ইচ্ছা গুলো আর
কখনও সত্যি হবে না ।

যদি আমি পারতাম
ফিরে যেতে অতীতে;
শপথ করছি ঈশ্বরের নামে,
আমি তোমাকে আর কষ্ট দিব না ।

অপর্ণা আমি ণ - হন্যে খুঁজে ফিরি

এতদিন ধরে তোমাকেই আমি খুঁজেছি
গোধূলি আঁধারে, রোদন ভরা বসন্তে ,
মন্ত্রমুগ্ধের বটমূলে শব্দের জলে কুহকী মায়ায়
নির্জন তারার কানে কানেও কত দিন
বলে এসেছি " ভালবাসি তোমায় "|

তোমার জন্য তৃষ্ণা আমার ফুরায় না
জুড়োয় না কামনার তাপ ও
বিছুটি জ্বালায় জলজ ছায়ায় ভাসি

তুমি-তো জানো সবই
ঘৃণা ভরে ,উপেক্ষায় যে নক্ষত্রদের আমি দলিত করেছি
আজ তারাই আমার প্রাণের কাছে চলে আসে সাঁঝবাতি জ্বেলে
আমার সাথে সাথে তারাও আজ তোমায় খুঁজে ফেরে

তাইতো পুরনো ক্ষতের গন্ধ মুছে ফেলে
সর্বনাশা সন্ধ্যায় শঙ্খচূড় সাপের ভয়কে
উপেক্ষা করে ছুটে আসি তোমার কাছে

আমার হৃদয় এক ঘাই হরিণী হয়ে
পৃথিবীর সব হিংসা ভুলে
কৌমুদী জ্যোৎস্নায় পিপাসার আঘ্রাণে
তোমার বুকে স্বপ্ন জাগাই

নীল মাছির ভন ভন শব্দ মিলায় বহুদূরে
সন্দেহের আবছায়ার মৃত্যু ঘণ্টা শুনি খুব কাছেই
চোখ মেলে চেয়ে দেখি
ভোরের হলুদ শিলালিপিতে তোমার তৃষিত অক্ষি গোলক |

অপর্ণা আমি ণ - হন্যে খুঁজে ফিরি
তোমার ভালবাসা পঞ্চম কাব্যের পাতায় পাতায়
ধুলো ঝেড়ে , মৌন নীলের ইশারায় নহবতের সুরে
অনিমেষ অনুরণিত হোক তোমার আমার
না ফুরানো দীর্ঘ রাতের কথা |


__________ মোঃ মুজিব উল্লাহ

চল যায় জ্যোৎস্না স্নানে

নিথর নিরব মধ্যরাতের চাঁদ জ্যোৎস্নায় সিক্ত
চল যায় জ্যোৎস্না স্নানে অবিরত হয়ে আপ্লুত,
নিস্তব্ধ সময় বহমান, পাশাপাশি দুজনে
সুধাপানে চেয়ে থাকি প্রিয়ন্তীর মুখপানে,
তিল তিল করে বহমান প্রহর যেন নিঃসঙ্গ খোলা জানালায় বসে থাকে
চোখে চোখ রেখে কত শত স্বপ্ন আঁকে।

মধ্যরাতে জ্যোৎস্না হলে আমার স্বপ্ন দেখা বারণ
বারণ কুনসুটি, হাতে রেখে হাত কারণ বা অকারণ
তুই তো বলিস না, চল যায় জ্যোৎস্না স্নানে
থাকে না ওষ্ঠে সুরের আভা কারণ বা অকারণে।

ঘুম ঘুম তোর চোখে থাকে না তো কোন আহব্বান
ঘুম ঘুম তোর দুচোখে হয় না তো কোন মায়াবী সাতকাহন
আমি বসে থাকি সাথে নিয়ে স্বপ্ন ও জ্যোৎস্না
তুই তো বলিস, কি এই হেয়ালিপনা! ঘুমাতে যাবি না?
অতৃপ্ত মন নিয়ে হয়না আমার বলা
হয়না কথা ও কবিতার শিহরণে পথ চলা
জ্যোৎস্না আসবে আবার, থাকবে না আধার
তাই আমি বসে থাকি নিয়ে ভালোবাসা তোর আমার।।



______ সফেদ কুহেলি

আমারও প্রেম ছিল

আমারও প্রেম ছিল
একঝাক স্বপ্নের পুঁটুলি নিয়ে নিশিদিন ভেঙ্গেছি পাহাড়
ভেঙেছি সমুদ্রজল কেটেছি অবাধ সাঁতার
মাথায় সূর্যের টুপর, পদতলে তপ্ত বালুকা; হেঁটেছি জনপদ
উন্মাতাল বৈরী হাওয়া করেছে ধাওয়া অবিরল
শকুনির ‘ছো’ শিঙ্গার ‘ফু’ কেঁপেছে হৃদয়
আশার দোলায় দুলেছি কত, শপেছি জীবন
শুধু দূর হতে দেখেছি অই সোনামুখ, কালচোখ প্রেরণার বেদি।

দিগন্তে আকাশ ছোঁয়ার বাসনায় হাতে ধরেছি হাত
হেঁটেছি সর্ষক্ষেতের আল-পথ বেয়ে বহুদূর
মাঠের পর মাঠ, সবুজ ঘাস, খুঁটে বাঁধা বাছুর ডিঙিয়েছি
ডাংগুলিতে থামিনি, উড়ে যায় এক ঝাক শাদা বক, যুগল কপোত
আমার আকাশ ছোঁয়া হল না আজও ।

পুকুরে যাওয়া ঠেকাতে ঘুঙ্গুর-বাঁধা পা দৌড়ালো ম্যারাথন
হাওয়া গাড়িতে পাড়ি দেই আকাশ; ছোঁয়া হলো মেঘ
স্বপ্নের নীলাকাশ দূরে চলে যায় বার বার !

হুগলী-তলে খেলেছি বর-বধূ পাটসোলার ঘর
কোরমা-পোলাউ, পান-চিনি খেয়েছি মিছেমিছি
মিছেমিছি আর কানামাছিতে উড়ে আজ জীবনের খেলাঘর।

আমারও প্রেম ছিল একদিন
আজ তুমি সুমেরুতে আমি মেরুদণ্ডহীন
মাঝখানে সুবিশাল অনন্ত আকাশ।

দুর্বাসামন-প্রিয়তম

প্রেয়সীর বিদায়ের সাথে নবদ্বারের হাহাকার
গগনস্পর্শী বিরহকে হার মানায়;
"প্রিয়া, তুমি কাল এসো আরেকবার"।

ষোড়শী উপলভ্য গোলাপীহীরা অনামিকায় নাড়ে;
আর--
মুহুর্তে আলোকবর্ষ পার করে করে--
পরিনীতা বহুড়ি হবার স্বপ্নে হয়ে যায় নিরুপমা;
হিমালয়ের চুড়ায় দৈবী-বাসরে
এলিয়ে দিয়ে দিয়ে তৃষ্ণার্থ শরীর,--
প্রিয়া চলে যায়।

শিরায় রক্তের ঘষাঘষিয় বিজলী চমকায় যেন;
দূর্বাসা মন কৃষ্ণচুড়ার ডালে ডালে খেলে চিকুত কুত।

"আমার বাসার কাজ করে দিবি চল,
ভিক্ষা আর চাইতে হবেনা তোরে।"
নিদাগ-প্রিয়ার চিত্তজয়ী প্রেমিকের মনে ভেসে উঠে গণিকালয়!

সময় সাক্ষী হতে থাকে সময়ের;
বালিকাদাসীর উলঙ্গ শরীর দেখে,
লজ্জায় মুখ লুকানোর বিকল্প আশ্রয় খোঁজে সারারাত--
ঘরের কোনে কোনে বেড়ে উঠা মাকড়সার দল!
বিছানার ছোপ ছোপ এ কিসের রক্ত,
বিগলিত মশার না মূমূর্ষ বালিকার!

বেলাল্লার তাতে কি,
মাছি তো উড়ছেই,--
ডালে ডালে বউকথাকও ও তো ডেকে চলেছে নিরন্তর!



_______বিকাল

আবার সেই অগোছালো কথামালা

আমি থাকি সেই পুরাতন বট গাছের মতো কেউ আসে ছায়া নেয় কেউ বা ডাল ভেঙ্গে নিয়ে যায়, আমি ঠায় চেয়ে থাকি অজানা কোন পথিকের জন্যবদলের খেলায় সবাই বদলায় আমি ও সং সাজি বার বারহোক সে নীল কিবা লাল অথবা কালো আমি যে এক রঙে থাকতে চাই

তেষ্টা আমার হৃদয় জুড়ে বৃষ্টি কোথায় বলো?
কান্না জল তিক্ত ভীষণ চাই আমি শ্রাবণ!
হয়তো ভাবো বেশ আছি আমি হাসছি ভীষণ জোরে,
কান্না কে আমি বদলে নিয়েছি হাসির ভিন্ন রূপে!
ছেড়া জুতা দেখো উশখুশ মুখ দেখা যায় তাই দেখো
হৃদয় আমার ধনবান কতো দেখেছো হৃদয় দিয়ে?
একা আছি আমি ভীষণ একা আমার জগতে আমি
সকল ব্যথা জানে আমার শুধু অন্তর্যামী!
তারি তরে ডাকি ডেকে ডেকে বলি বোধহীন করো আমায়
যতটুকু পেয়েছি তাতেই যেন তৃপ্ত হয় হৃদয়।।


_______মাজারুল ইসলাম(রুবেল)

আদৃত কথামালা

পগারের জলীয় আদরে মীনাক্ষীর আকুলতা কিংবা
ঘাস ফড়িং এর দ্বিধাহীন রংধনু ডানায়
চপলা বালিকার নিবদ্ধ নেশাতুর দৃষ্টি
বিমোহিত করে আমায় ....
কচি সবুজ কচুপাতার অবুঝ শরীরে
অকুতোভয় অহংকারী শিশিরের উল্লাস;
গৃহ দ্বারে মোড়া পেতে মৃত্যুমুখী জরাগ্রস্থ চোখে
প্রলম্বিত উত্তাপের আকাঙ্খা অথবা
ক্ষণজীবী পতঙ্গের মৃত্যু - বিস্মৃত উদ্দীপক শব্দ
আপ্লুত করে আমায় নিশিদিন

রাশি রাশি সঞ্চিত মৃন্ময়ী সুখের সূক্ষ্ম অনুভবে
বিদীর্ণ করবো ঋণাত্মক প্রাচীর
তোমার হৃদয়ের পুঞ্জীভূত প্রেমে
রচবো আদুরে সকাল....
প্রিয়তম, তুমি শুধু পাশে থেকো আমার
টিন চালা মৃত্তিকা গৃহ কোণে ঘিয়ের প্রদীপ চেলে
রাঙ্গাবো বাসর,এক জীবনে আর কি লাগে বল?
অনাড়ম্বর জীবনে সপ্ত বর্ণ ছড়াবে বকুল বিকেল
কথা দিলাম....
আবেগি নিমগ্ন রাত্রি তে নিস্তব্ধতার চাদরে জড়িয়ে
উষ্ণতা দেব অন্তহীন
স্বপ্ন -প্রসূত মায়াবী জোছনায়
তোমার বুকে চিবুক ছুঁইয়ে বলবো আদৃত কথামালা
''ভালোবাসি , ভালোবাসি , ভালোবাসি ''



_________অনিলা জামান

আমি অনিলা বলছি ...

রৌদ্র আর বিষণ্ণ মেঘ কি তবে এক সুতোয় গাঁথা ?
যদি না ই হয়...
মধ্যাহ্নের কিশোরী কাব্য কেন নিমগ্ন রাত্রি তে
এমন অচেনা ঠেকে ?

কবিতার মৃত্তিকায় আকণ্ঠ ডুবে থেকে
হাসি ছন্দে, সুলতা সুখের চাদরে
নিজেকে আবৃত রাখা কি তবে অভিনয়?
আরোপিত নির্বাসনের আঁধারে সাঁতরে বেড়াই
তবু আলোর তৃষ্ণায় উঁকি দেই
তোমাদের হাসি কথা-মেলায়....
বাড়িয়ে দেয়া হাতে আস্থা পায়না কেন মুমূর্ষু মন?

সভ্য নাগরিকের নামে,বেশে যে দানব
শতছিন্ন করেছে সঞ্চিত জীবন গাঁথা
তোমরা প্রত্যেকেই তাঁর সমরুপ নও জানি
তবু বারেবারে আনন্দ আয়োজনে শঙ্কিত হয়ে
অভেদ্য শামুক দেয়ালের গর্ভে লুকাই হৃদয় ?

ওহে সতীর্থ সকল!
আমায় স্থান দাও তোমাদের মাঝে
তোমাদের ছন্দে গানে সুরে আমৃত্যু
যাপন করতে দাও জীবন
বুভুক্ষু ফুসফুস ভরে নিস্কলঙ্ক বাতাস দাও
এক টুকরো অকপট বাতায়ন ছাড়া আর কিছু চাইনা
গচ্ছিত আলোয় আলোকিত হতে দাও আমায়
আমি তোমাদের ই একজন
হাত বাড়িয়ে দাও....

কপালপোড়ীর চিত্ততৃপ্তি

কপালীর ধানক্ষেতে আগাছা নিড়াতে গিয়ে
গ্রীষ্মের খরতাপে--
ত্বকের যত্ন বরাবরই ম্লান অর্থের মুল্যমান স্ফিতির নিকট;
ক্ষুধার সাথে যুদ্ধ করে করে---
শ্বেতস্রাবও শুকিয়ে গেছে;
উদরের চেয়ে লিঙ্গের ক্ষুধার আধিক্য যার স্বামীর,
বিছানার প্রশান্তি কি ভাবা যায়,
সেই কপালপোড়ীর!

ক্ষুধার অর্চনার উপাচারের ঘাটতি যেখানে,
কোন প্রভু
(যাকে সর্বস্ব সঁপে দেয়া যায়)
ছিনিয়ে না নেয়ার আগে,
অশান্তির দাবানল নিভাবে কি দিয়ে, কপালপোড়ী!

তবুও আছে চিত্ততৃপ্তির অলংকার,--
ভিক্ষুকে ভিক্ষুকে ভিক্ষার যাচাযাচি।


_____বিকাল

পর্যটক কথকতা

undefined



অলীকদৃশ্য অগণন


যা সমাপ্ত হয়েছে তা আজ বহুদূর
আরো দূরে চলে যাচ্ছে প্রতিদিন,
হাঁটা পথ ফেলে যাচ্ছে গরান, শিমুল সারি, সারি
উচাটনে এড়িয়ে যাচ্ছে পিছুটানে ভারী হওয়া
ফুলে ফেঁপে ওঠা অভ্যর্থনার ঋন।

এতো অভ্যর্থনা!
নিস্প্রয়োজন,
বায়োস্কোপের রঙেই অনেক নেশা জাগে এখন
তাড়িত হই ব্যাসবিহীন বর্ধিত পরিধিতে
হাঁক ছেড়ে ডাক দেয় স্তুপাকারে জমা হওয়া
অলীকদৃশ্যগুলো অগণন।

অলীকদৃশ্যই বটে-
বিচ্ছিন্ন ক্ষনে বিচ্ছিন্ন ভ্রমনের কাহন
রূপকীয় কাহিনীর বর্ধিত কলেবর হয়ে ওঠে
জৌলুসহীন, কিম্ভুতকিমাকার
দিনকে দিন যে হারিয়েছে আকার।

ইদানীং ভুলগুলো ফিসফিসিয়ে কথা বলে আমার সাথে
ইথার ভাসিয়ে আনে তার সারমর্ম
খন্ড খন্ড চিত্রে ভাসে সূচনা ও বিবরণ
উপসংহারে বিখণ্ডিত হয় ঘোর লাগা
এলেবেলে, যুক্তিবিহীন, অকারন।

ভাবছি, এখানেই থামাব অরোরা রথ
সৃষ্টি করবো নূতন এক ভৌগলিক অবস্থান
পায়ে পায়ে জড়ো হবে পতঙ্গেরা সব
প্রত্যাখ্যাত প্রহরে, বহমান দিনে
হবেনা আর কোন মৌন প্রস্থান।

ভাবনার গিরিপথে আসর জমাবে ঋতুদের উন্মাদনা
গলে যেতে থাকবে জমে থাকা হিমবাহের ক্ষোভ
হিমায়িত দ্বীপে শুরু হবে সৃজনের উল্লাস
ফোঁটা ফোঁটায় হবে শুরু তরঙ্গের জোঁয়ার
অত:পর, ভেসে যাবে বর্ধিত দুয়ার।

একসময় অসমাপ্ত পথের কথা ভুলে যাই
অথবা ভুলে যেতে বাধ্য হই
জর্জরিত প্রশ্নবাণে চুপচাপ বসে রই।

আমার যে এখন কাঁপে দেহ

আমার আদিম প্রাণের লুকোনো প্রাসাদের
অঙ্গের সুষমা ভেদ করে,
প্রণয়ের মানবী এক
উঁকি দিয়েছিল,
বিমূর্ত বোধের দেহ ছেদ করে
বলেছিল, বাসবে ভাল
বাসে নি সে ।
প্রণয়ের উত্তাপে তপ্ত হয়ে
যুবতী এক বলেছিল
ভেজাবে দেহ,
অস্থির করপুটে প্রণয়ের জল নিয়ে বসেছিলাম
ভেজেনি সে ।
হেলে পড়া জীবনের বাঁকে
সতীত্বের শাঁখা হাতে
রমণী এক ইশারায় ডেকেছিল
আমার যে তখন কাঁপে দেহ
প্রণয় প্রাণের তাপে দেহ
একাকার হয়ে পুড়েছিল ।