আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। Lyrics by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Music by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Thursday, February 9, 2012

নির্ঘুম রাত্রির কথন

প্রতিশ্রুতি বাণে বাসন্তী আযানের ধ্বনিতে
আঁচড় দিয়ে রক্তাক্ত করবোনা এই আহ্নিক
প্রতীক্ষার প্রহরের উষ্ণতা ;শূন্য পাথরে
চাপা পড়া এক যমুনা যন্ত্রণা ছাপিয়ে সহস্র
বসন্তে আকাঙ্ক্ষিত কৃষ্ণচূড়ার ডালি সাজাবো
সন্যাসী জটের রুদ্রাক্ষর মালায় ;কিংবা কিছু
আধ্যাত্মিক স্বপ্নের অপ্রাপ্তির মরীচিকায় ;এমন
অসত্যের সরোজিনী কুহকে আর নয়
কচি কিশলয়ের অভ্যর্থনা উৎসব ।

অজ্ঞাত কোন শৈত্য তাণ্ডবে হয়তো
বিস্মৃত হবো এবারের পূর্ণিমার মাঘী প্রেম;
বাস্তবতায় কবর দেওয়া আসক্তির নবনী
মালায় স্বয়ম্বরা হবেনা বাহু বিক্ষেপ ;
শুধু নির্দ্বিধায় বলতে পারি, এবার ফাগুনের
পলাশ আগুনে কাঁচাপেড়ে শাড়িতে রক্ত
পাপড়ি গুনে দগ্ধ করবো একুশের যৌবন ;
অনিন্দ্য ...এবার সব বাসন্তী রঙ , লাবণ্য
স্পর্শ; নিষ্পাপ নৈবদ্য সুরের অঞ্জলি তোমায় ।


__________পাহাড়ী

আমার তুমি

এক গ্লাস অন্ধকারে
ভালবাসার নীল রং ঢেলে দেখ
আমি সেখানে কিছু দেখতে পাইনা অন্ধকার ছাড়া
পাতার পর পাতা উল্টিয়ে পাই
পুরনো জং পরা আসবাব , নক্তচর ঘুনের উল্লাস
আর ব্যার্থ খোড়াখুড়ির অপপ্রয়াসে কালসীটে পরা দেহের আর্তনাদ |

অপাংক্তেয় কোন কোন রাতে যে কি হয়
চোখের মুজরা,গিলটি বালার ঝংকার
রাতের মৌনতাকে খান খান করে শোনায় সুমধুর শীত্কার
উন্মনা অধরপল্লব ইন্দ্রজালের মালায় আটকে থাকে অহর্নিশ
আর ইন্দুমুখী আমি গন্ধলিতে ডুবতে থাকি বিবাগী জোত্স্নায় |

থমকে থাকা সময় যেন নড়েই না
ক্রেন দিয়ে টেনে হিচড়ে ও তাকে যেন উপড়ানো যায়না
পোষা বেড়ালের মত গন্ধ শুঁকে শুঁকে কি করে
যেন ঠিক হাজির হয়ে যায় বেড রুমের ওম নিতে
নাইটিংগেলের সুরে গালের টোল যেন
আরও বেশি করে মেতে উঠে শৈশবের পাগলামিতে..........

_______মেঘলা_দুপুর

তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে শিখেছি

তোমাকে হারাবার ভয় আমাকে তাড়া করে না
তোমার অভিমানী সুর আমাকে আর কাঁদায় না
তোমাকে না দেখার হাহাকার আর চোখের ক্লান্তি বাড়ায় না
কথোপকথনের তোমার চুপ করে থাকাও আর ভাবিয়ে তোলে না
তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে শিখেছি....

স্বপ্নেরা আর আড়মোড়া দিয়ে উঠে না
জাগায় না মনে নতুন সুর
ব্যথিত হৃদয়ে দোলা দেয় না তোমার প্রিয় মুখ
অপেক্ষায় থাকিনা মুঠোফোনের বেজে উঠায়
থাকিনা কোন যন্ত্রের ডাকবাক্সের পত্রের প্রত্যাশায়
তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে শিখেছি....

সময়ের আবর্তে নিজেকে জড়িয়ে সকল ব্যস্ততায়
হাসিমুখে করে যাই গল্প করে যাই সুখের অভিনয়
মিথ্যের মুখোশে মাতিয়ে রাখি জগত রঙ্গমঞ্চ
জানি এভাবেই কেটে যাবে দিন, নিঃসঙ্গতায় কাটবে রাত
ভালোবেসে একদিন নিথর হবো তাও তোমায় দেব না অপবাদ
তবুও বলবো তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে শিখেছি....

_____________সপনের ফেরিওয়ালা

আবেগ নয় !

নাগালের বাইরে না তোমার খুব কাছা কাছি ছিলাম
নিজকে প্রস্তুত রেখে ছিলাম তোমার মত করে
কপালের নীল পরনে শাদারেশমী মুখে সদা হাসি
তোমার জন্য আমার এআয়জন ছিল; ছিল তীব্র আশা
হেয়ালীর চলে চলে ঢেউয়ের তালে তালে
তোমার সঙ্গী হয়ে চলে যেতাম
ভাঙ্গা নৌকার পাটাতনে বসে সে পায়রা নদীর বাঁকে বাঁকে
কত স্বর্নালী বসন্ত ফাগুন তোমায় দিলাম
বিনিময়ে কি পেলাম!ভুল করে ও হয়নি বলা ভালোবাসি
বুজতে পারার আশায ছিলাম
তুমি নাটাই ছাডা ঘুড়ির মত রঙিন আকাশে অবাধ বিচরন করেছিলে
আমি প্রতিক্ষায় ছিলাম নীড়ে ফেরা হবে তোমার
হয়নি ।আর কোন কালে হবেনা; এ আমার হৃদয়ের সবুজ আবেগ নয়
কিছু ধব ধবে নীল সত্যর সাজানো কষ্ট নদী।

প্রিয়তমা .........

প্রিয়তমা, মনে রেখো না তুমি
অতীতের সেই সব সোনালী স্মৃতি
হৃদয়ের আঙিনায় ভালবাসার শেষ সীমানায়
খিল দিতে পার উৎসবহীন রাতে
এই জৌষ্ঠের দুপুরে আমার শান্ত বুকে
কালবৈশাখীর তাণ্ডবলীলা চালিয়ে
মুক্তির আনন্দে হাসতে পার তুমি
তবু ভুল করে যদি মনে পড়ে আমায়
উদাস চাহনীতে বৃষ্টিস্নাত রাতে
ব্যালকনিতে দাড়িয়ে বৃষ্টির মিউজিক প্লেয়ারে
অনুভূতির ক্যাসেট বাজিয়ে শুনে নিও
``তুমি যে চিরকাল রবে মোর প্রাণের চেয়ে প্রিয়।``

তোমায় ভাবি।

undefined
সবার ভাবনায় নয়,
শুধু যখন তোমায় ভাবি মায়াবিনী
মনের গহীনে সাড়া পড়ে যায়।
ভাবি তোমার মুখ,
আর অবিরাম বেজে যায় তোমার কণ্ঠস্বর
আমার মনের-ই গহীনে।
তুমিহীন তোমায় ভালবাসি,
তুমিহীন তোমায় মিশে যাই।
জানি,জানি এ ঠিক প্রেম নয়
আমার কল্পনা,
হে- মায়াবিনী।।

__________সাজ্জাদ হসাইন ধুসর

মেঘবালক , তুমি শুনছো তো !

জানো ?তোমাকে খুব ভালবাসতে ইচ্ছে করে
অনিন্দ্য প্রহরে বেলি ফুলের মালা গলায়
ছুটে যেতে ইচ্ছে করে তোমার কাছে!

নূপুরের খসে যাওয়া ঝুনঝুনি টা তোমার বুকে রেখে আসবো
ঝংকৃত হবে অহর্নিশি অমিয় অনুরাগে।

আমার হাত দুটো বন্দী হওয়ার বায়না ধরেছে ভীষণ
তোমার শক্ত মুঠোয়
যে নতুন স্বপ্ন রচিত হয় পরলৌকিক রঙে
সে অসংজ্ঞায়িত জগতে কোন কাগজ থাকবেনা
কথা দিচ্ছি!
থাকবেনা অতীতের ঘুনে ধরা মন, মৃত্যু আয়োজন!

মেঘবালক!
চলনা দুজনে নির্বাসিত হই নীলকণ্ঠ ভুবনে
প্রজাপতির উড়ন্ত নকশায় শুদ্ধতা পাক
গভীর রাতের শঙ্কিত শিহরণ ;
কারামুক্ত হোক চার অক্ষরের আদরে গড়া শব্দ !
তোমার বাহুতে অপরাহ্ণে সমর্পিত হতে হতে
বলব ''মেঘবালক, ভালবাসি তোমায়''
লাজুক শব্দেরা আমার কণ্ঠ না রাঙ্গালে
বুঝে নিও না বলা কথা..
তারপর...
পাপ পুণ্য 'র ব্যবচ্ছেদে প্রজন্মান্তরে
সঞ্চারিত হবে যুগল প্রেমের প্রাচুর্য....
মেঘবালক, তুমি শুনছো তো !

____________অনিলা জামান

Saturday, February 4, 2012

তুমি জানবে না কোন দিন

undefined
বিদায়ের রাতে আকাশ অনেক কালো ছিল
গুমোঠ কালো মেঘে ছিল ঢাকা!
দমকা হাওয়া বার বার এসে ভিড়িয়ে দিচ্ছিল
দক্ষিণের জানালাটা।
বৃষ্টির ঝাঁপটা এসে ধুয়ে দিচ্ছিল অশ্রুজল।
তাই আমার কান্না তুমি দেখনি।
দেখেছ শুধু অভিমান।

আমি শুনেছি তুমিও নাকি অনেক কেঁদেছ।
বার বার আমার নাম ধরে ডেকেছ।
তবু আমি ফিরে আসি নি।
আমি যে ফিরে আসতে পারি নি।
বলতে পারি নি তোমায় ভালোবাসি!
কোন এক অজানা আত্মাভিমান
আমায় আকড়ে রেখেছিল।
তাই অতৃপ্ত বেদনা নিয়ে অজানার পথে পাড়ি দিয়েছি।

না বলা অনেক কথা ছিল।
জানি আর কোন দিন বলা হবে না।
কোন দিন ভেজা হবে না ভালোবাসার ওই ঝর্ণা ধারায়।
অমন আবেগাপ্লুত সন্ধ্যা আর আসবে না।
আসবে না নয়নাভিরাম মিষ্টি বিকেল।
শুধু দু'চোখে জল আসবে জানি।
ঝরে পড়বে সবার অগোচরে।
তুমি জানবে না কোন দিন......


________
মৃন্ময়ী