আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। Lyrics by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Music by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Wednesday, August 31, 2011

এ কেমন ভালোবাসা!!


শুনেছিলাম ভালোবাসা নাকি
হৃদয়ে বসন্ত আনে
সুখের পরশ জাগায় মনে
ভালোবাসায় নাকি জাদুর কাঠি
যার পরশে কান্নার মৃত্যু ঘটে
আজ ভালোবাসার ছোয়া পেয়ে
আমার চোখের নোনা জল
সে তো থামলো না
বসন্তের ছোয়া পেয়েও আজ কেন
হৃদয়ে বর্ষার ধারা ঝরে
প্রাপ্তির স্থানে কেন অপূর্ণতার বাস
পূর্ণতার স্থানে শুধুই শূন্যতা
সুখের বদলে একরাশ কষ্ট
পেয়ে আজ মনে একটাই প্রশ্ন
এ কেমন ভালোবাসা!!

Monday, August 29, 2011

প্রেমের আহবান ............


আমি স্বপ্ন হয়ে ঘুম পাড়াব তোমায়
তুলির আঁচড়ে রাঙ্গাব তোমায়,
তুমি শুধু...ভালবেসো আমায়!

আমি সবুজ হয়ে ও'দু অবুঝ চোখে-
লেগে রব বারো মাসে,
তুমি হাসবে-ভালবাসবে,একাকী থাকবে
এ বুকের বা'পাশে!

আমি গোধূলীর ঐ রক্তিম আলতা দিয়ে-
রাঙ্গাব তোমার পদ্ম-পা,
আর রাত জাগা সব বনফুল দিয়ে-
সাজাবো, সাজাবো তোমার গা!

* * * * * *

আমি বন্ধু হয়ে পাশে থাকব তোমার
প্রেমিক হয়ে আকড়ে রাখব তোমায়
তুমি শুধু... ভালবেসো আমায়!

আমি নীলিমাকে বলব তোমায়
দিতে একজোড়া পাখা,
সে ডানায় ভর করে হবে...
আমার স্বপ্ন আগলে রাখা!

তোমার হাত ধরে আমি যাব- বহুদূর
যেখানে সুরের পাখিরা গান গায় সুমধুর,
মাটিকে ভালবেসে আকাশ দিগন্তে মেশে
যাব আমি নিয়ে,- তোমায় সে দেশে!

_________বনসাই মেয়ে

Sunday, August 28, 2011

স্বভাবজাত নির্মল সারল্যে
দিয়েছিলাম প্রশান্তির জল;
অন্নভক্ষণ আজি হয়েছে বন্ধ--
নেত্রের ভাষা আর
অনাকাঙ্খিত প্রাপ্যের গন্ধ
জানান দিয়ে দিয়ে যায়,
সে জল হয়েছে গরম, হয়েছে গরল!

প্রণয়ের আশ্রু ঝরে, ঝরুক নিরবে;
পাংশুল বীণাবাদ্য
পতিত প্রেম আর দম্ভের মনোমদ
যক্ষের ধন আমার, মেতেছে পরবে।
মরাকান্নার মরিচিকা মরালগামিনী ভ্রমে
সকৌতুকে ডাকে,
সখিত্ব বিনাশিত;--
রূপ প্রকাশিতে নয়,
রূপ দেখে মুগ্ধ হতে জন্মেছি এই দেশে।

আপন পটেতে হোক আপনে প্রকাশ,
স্বমহিমায় মুগ্ধ হয়ে
তৃপ্তির ঢেকুর তুলক এই নীলাকাশ।


______বিকেল

অজানা পথের বাঁকে.....


এত পথ আমি পেরিয়ে এসেছি,
আরও যেতে হবে।
শরীরে ক্লান্তি এসে ভর করেছে,
ক্লান্তিতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে চোঁখ-
এক সময় ঘুমিয়ে পরি।
অন্য এক জগৎতে,
ঘটে আমার আবির্ভাব।
এদিকে কোন ক্লান্তি নেই,
হাতের কাছেই লক্ষ্য এসে ধরা দেয়,
চাইলেই হাত বারিয়ে ধরতে পারি-
কিন্তু আমি ধরিনা।
কারন আমি যানি-
এ যে স্বপ্ন,
আমাকে ধরতে হবে বাস্তবে,
ঘুম শেষ হয়,চোঁখ মেলি।
যে খানে ছিলাম,সেই জায়গাতেই পরেআছি,
শতকষ্ট হয়,তাউও উঠে দাড়াই-
ছুটে হারিয়ে যাই, অজানা পথের বাঁকে।

Saturday, August 27, 2011

একখণ্ড ভাবনা....


আমার একখণ্ড ভাবনা আজ তোমাকে দিতে চাই
তোমাকে দিতে চাই ফুলের স্নেহমাখা স্বপ্ন;
মুক্তির ভাষা আমার জানা নেই,
পাইনি আমি আবিরের রঙমাখা ভালবাসা;
জীবনের আশাহত সুখ বিলীন করেছি-তাই
ভাবনার রংগুলো রঙিন করে করে,
হয়তো আমি আকাশের কোনো দিগন্তে
নয়তো পৃথিবীর কোনো অজো-পাড়াগায়ে
শীতের কুয়াশায় শিশির হয়ে-আর
রাতের প্যাঁচা হয়ে হয়ে মুক্তির স্বাদ ভোগ করবো।

সত্য মিথ্যার প্রহসনে-যে কুহকভাব
দিনের আলো খেলা করে
তার সাথে অমিল হয়ে হয়ে
আমি সত্যকে চিনে নেব;
এই চেনার মাঝে কোনো ভুল থাকেনা
থাকেনা কোনো হতাশার ছায়া;
পথের ধূলায় পড়ে থাকা-শিশুরা তাই
অভিযোগ করতে জানেনা।

যখন সবুজ রঙের পাতায় দেখি
রঙ বদলের রঙিন খেলা-তখন
বর্ষার পলিসিক্ত মাঠে আমি কর্মব্যস্ত,
তোমাকে ভালবাসার সময় নেই;
তুমি যদি মধ্যাহ্নের আলো হয়ে কিংবা
দুপুরের বৃষ্টি হয়ে আমায় স্মরণ করো
তবেই তুমি ভালবাসা পাবে।


______কে. এম. ওমর ফারুক

তোমাকে কখনও আমার -তুমি বল হয়নি
তুমি বলেছ সবসময়‍‍‍---
আমি যে পাইনি সাহস
এখন আমি বুঝি, তোমার অধর ছিল কাঙাল
পেতে এই ভীরুর কম্পিত পরশ।

কত যে করেছি আলোচনা
খুঁটিনাটি সব বিষয়ে আমার,
সব কিছু চুপচাপ সহে যেতে তুমি
ভাবতে কখন বলি--
কাংখিত কথাটি তোমার।।

তুমি যেতে চেয়েছিলে
শহর থেকে অনেকদূরে,আমার হাত ধরে
বুঝতে পারিনি সেদিন
সবই নিয়েছিলাম রসিকতার ছলে।

অলস সময় করেছি কত পার
শুধু তোমার কথা শুনে--
আমি নয় বোকা ছিলাম
কেন তুমি দাও নি বুঝিয়ে আমায়
বার বার কেন তোমার পাশে যেতাম?

তুমি ভালো বুঝতে আমায়,
বুঝেছোও বটে কানায় কানায়
বাকী ছিল শুধু একটু খানি--
বাকীটুকু কি সত্যি বুঝতে পার নি!
না বুঝলেও আমার মত, এখন বুঝবে
সেটা আমি ভালো করেই জানি--

কোন দিন আর কি দেখা হবে?
হয়তবা না; যদিও তোমায় খুব দেখতে ইচ্ছা করে
তখন বলবে আমাকে, এখন যদি তুমি আমাকে ভাব
সত্যি করে বলবে সেদিন
আমি হয়ত সেদিনও বোবায় রব--
শুধু তোমার কথা শুনবো বলে।।।।


_______উন্মাদ

Friday, August 26, 2011

তোমার অজান্তে …..


তুমি কি জানতে? তোমাকে আমি খুঁজেছিলাম।
মোড়ের রাস্তার চায়ের দোকানে
কেটেছিলো আমার উন্মাদ বিকেল বেলা।
তোমার অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা
জানালার গ্রিল আঁকড়ে ধরে ডুঁকরে কেঁদেছিলাম।
তবুও তুমি আসনি, সান্ত্বণার বাণী শোনাতেও না।
আমার অভিমানী মনকে পোষ মানিয়েছিলাম এই ভেবে
তুমি পাষাণ নও, হয়তো এই সবই হয়েছে তোমার অজান্তে!

তুমি কি বুঝতে? তোমাকে আমি অনেক ভালোবেসেছিলাম।
আমার নির্ঘুম রাত কাটত শুধু তোমার ভাবনায়।
রাতের আকাশের সাথে হয়েছিলো গভীর সখ্যতা।
তারাদের সাথে আমার স্বপ্নগুলোও মিটির মিটির করে জ্বলত।
ভাবনায় দেখতাম তুমি এসেছ, সেই তুমি
যাকে ঘিরে আমার স্বপ্নের জাল বোনা।

তুমি কি শুনতে? তোমার জন্য আমার আর্ত বাণী।
স্রষ্টার কাছে করা আমার প্রার্থণা সংগীত।
যাতে তোমার জন্য থাকত আন্তরিক দু’আ।
এবং তোমার সুস্থতা ও কণ্টখীন জীবনের কামনা করা হতো।
তোমার জন্য ঐ রোদেলা দুপুরকে বলতাম
“ তপ্ত রৌদ্র ভুলে কোমল উষ্ণতা দাও, মার্তণ্ড।“
শীতকে বলতাম, “শীতে তার কষ্ট হবে,
তোমার শীতলতায় আমাকে জর্জরিত কর, তবু তাকে না।
সে থাকুক অনেক ভালো, কষ্ট হোক আমার সঙ্গী”।

তুমি কি দেখতে? তোমাকে দেখে আমার ছেলেমানুষী উল্লাসে মেতে উঠা।
নিষ্পলক চোখে ব্যাকুল কথামালার স্ফুলিঙ্গ ঝরানো।
অব্যক্ত কথা ইঙ্গিতে বোঝানোর ব্যর্থ চেষ্টা।
চোখের নীরব ভাষায় তোমাকে দেখাতে চাইতাম
অজানা ভবিষ্যতের কোনো এক বর্ণিল স্বপ্ন,
যার কেন্দ্রমণি হয়ে থাকবো আমরা দু’জন।



_______ঈশিতা জুলিয়া

নিস্তব্ধ বিকেলের নিরবতা ভেঙ্গে
একঝাঁক কাঁকের কর্কশ চিৎকারে
যখন আন্দোলিত হয় চারিপাশ-
তখন,- তীব্র মানসিক যন্ত্রণায়
কাতরাতে থাকে বিবাগী মন।।

শেষ বিকেলের আলো শেষ হয়ে গেলেও
এখনও যায়নি মুছে তার লালিমা
ছোট্ট ছোট্ট মেঘপুঞ্জ উড়ছে হেথা সেথা
দেখে যেন মনে হয়,
এ আকাশের রক্তাক্ত, ব্যথিত মুখচ্ছবি।

ক্লান্ত পথিকের ঘরে ফেরা আর
কর্মব্যস্ততার কোলাহল থেমে
চারিপাশে যেন ঘিরে ধরে নিস্তব্ধতা।।

এ অসহ্য....... কেন??? কেন???
কেন এত বেশি নিস্তব্ধতায় ডুবে আছি
লোকচক্ষুর অন্তরালে....
এ কোন ঝড় উঠেছে এই বুকে??

ঝড়ের তোড়ে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে
পংতিমালা যত সাজানো ছিল মনে।
দুর্বোধ্য, দুর্ভেদ্য এ অন্ধকার,
প্রচণ্ড শূন্যতার হাহাকার
আমাকে ঘিরে ধরছে কেন???

কে দেবে উত্তর, ঐ কাঁক, ঐ সন্ধ্যে
নাকি ঐ নীলাভ আকাশ??
এরা উত্তর দিতে জানে না,
এরা উত্তর দিতে পারে না।
যে জানে সে তো চলে গেছে দূরে
দূর থেকে দূরান্তরে..... বহুদূরে,
শুধু রেখে গেছে বিচ্ছিন্ন আমায়
নিস্তব্ধ এ কোন অন্ধকারে।।



_______আল-ইমরান

Thursday, August 25, 2011


আজ সকালের রাঙা প্রভাত আমাকে আকুল করেছে
পাখির কিচির মিচির শব্দে-মন আমার ব্যাকুল হয়েছে
সারারাত জেগেছি
মাথাব্যাথাও কিছু ছিল
তাই ঘুমাতে পারলামনা।
বের হলাম রাস্তায়
নিরব রাস্তা কোথাও কেউ নেই-তাই
পাখিদের মিছিল-আজ সতেজ হয়েছে,
গাছের পাতার রং ভোরের আলোয়
বদল বদল খেলে
সতেজ হতে শুরু করেছে;
আমিও বদলে যাই সকালের রঙে।
কিছু লোক প্রার্থনালয় হতে আসছে
চলছে তারা সমালোচনার ঝড় তুলে
ওদের চোখে-মুখে পবিত্রতার ছায়া নেই,
এই আঁকাবাঁকা উঁচু-নিচু রাস্তার মতোই
ওদের দেহ মনে স্রষ্টার বিশ্বাস দেখেছি-আর
আকাশের মেঘগুলো ভাগ হয়ে হয়ে
নীলকে আশ্রয় করে দিচ্ছে-আলোর পৃথিবী গড়তে;
উঁচু উঁচু দালান যা রাতে দেখেছিলাম
ক্ষণিক হেসে তার রঙও বদলে গেছে-এভাবে
হেঁটে হেঁটে বহুদূর গিয়েছি
আজ আর ঘুমাতে পারিনি

_______
কে. এম. ওমর ফারুক

Wednesday, August 24, 2011


তুমি আসবেতো তাই...

আজ দোসরা ফাল্গুন...
বিকেলের সোনালী আভায় চারিদিক ভরে গেছে...
শিমুল গাছটি রাঙ্গা ফুলে ছেয়ে গেছে...

আজ তুমি আসবেতো তাই...

আজ ক্লাশ থেকে একটু আগে বের হয়েছি...
সিগারেটের টাকা বাচিঁয়ে দুটো লাল গোলাপ কিনেছি...
আজ আর চায়ের দোকানে পলাশ, বাবলুদের সাথে আড্ডা দিবো না...কোনো?

আজ তুমি আসবেতো তাই...

চারিদিক আজ ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে...
আকাশ যেনো আবির রংয়ে সেজেছে...
যেন কাউকে আজ বরণ করে নিবে...
মন বলছে...

আজ তুমি আসবে...

বেঞ্চটা আজ ফাঁকাই পেলাম...
বেঞ্চটির পিঠে এখনো যোগ চিহ্নটি আছে...
থাকবেই বা না কেনো?
আগলে রেখেছি যে...

আজ যে তুমি আসবে...

ক্ষনে ক্ষনে বেলা অনেক হলো...
পাখিরা যে যার যার নীড়ে ফিরে গেলো...
হাতের ফুল দুটো ঢুলু ঢুলু হলো...
পথ চেয়ে বসে আছি...

আজ যে তুমি আসবে...

আকাশে এখন অনেক তারা...
চাঁদ যেনো আমাকে ব্যাঙ্গ করছে...
বলছে.. ওরে বোঁকা ছেলে...
এখনো বসে আছিস?
আমি বললাম.....

ও যে আমায় কথা দিয়েছে.....
ও আজ আসবে...

______ধুমকেতু
হাবি
কিছু কথা ছিল
বলার সময় পাচ্ছি না- সুযোগ ও পাচ্ছি না
তুমি কি শুনবে? নাকি কিছু বলতে চাইছো?

সিনথি: বলতে গেলেই তো ইতিহাস
শুনতে চাইলে করবো হা- হুতাশ
আমার স্বভাব-ই এমন
বলা এবং শুনা দুটো ই পছন্দ হয় না তেমন!

মিরর: তাহলে কিভাবে মনের ভাব প্রকাশ হবে?
ফুলে না বসে মৌমাছি মধু পান করেবে কিভাবে?

সিনথি: এভাবেই চলুক না আরো কিছুক্ষন
আমার কথা আমার মাঝে
তোমার কথা তোমার বুকের ভিতর
ঢেউ তুলুক কথার জল এভাবে, কেমন!

মিরর: তুমি চাইছো যেমন
ঢেউয়ে ঢেউয়ে উঠে যদি ঘুর্ণিঝড়, সাইক্লোন-
মন সইবে কি করে তখন?

সিনথি: আগামী স্বপ্নটা হবে আমাদের দুজনের
আকাশে একসাথে দুটো পাখি উড়বে
নাকি আগামী স্বপ্নটা তোমার-আমার দ্বিধা- দ্বন্দ্বের।

মিরর: দ্বিধা- দ্বন্দ্ব যদি এতই
আমিই তবে বলি
তোমার দায়িত্ব শোনার,
শোনো, তুমি আমাকে ভালোবাসো কিনা-
তা হয়তো এখনো স্পষ্ট জানিনা
জানি এতটুকু আমি ভালোবাসি তোমাকে
তুমি-ই কেবল একটা মানুষ,
আশ্রয়ে থাকবে আমার সুখে দুঃখে-

সিনথি: আমি নিরাশ্রয় নই
নীড়- হারা পাখিও নই যে
তোমার বুকে আশ্রয় পেতে অধীর থাকবো
আমি যেভাবে তোমাকে ভালোবাসি
সেভাবেই কভু তোমার আশ্রয় চাইবো না।

মিরর: আশ্রয়ের কথা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো বুঝি
ভালোবাসা মানেই তো মিলন
তাইতো তোমার বুকের মাঝে আমিও আশ্রয় খুঁজি!

সিনথি: আমাদের ভালোবাসায় কেবল সুখ থাকবে,
কোন দুঃখ থাকবে না
এমন ভালোবাসাতো আমি চাইনি
আমি চাই ভালোবেসে কাঁদবো
চাই এমনি করে জীবন চলে যদি
তবে কান্না মাঝেও আমি হাসবো।

মিরর: তীরে এসে তরী তলিয়ে দেবে
ভালোবাসো যদি এত তবে
মিলনে ভয় পাচ্ছ?

সিনথি: মিলন হলেই ছাড়াছাড়ির ভয় থাকে
এই কি তবে ভালো নয়
আমি জানবো তুমি কেবল আমায় ভালোবাসতে
নদীর জল ধাক্কা খাক নদীর বাঁকে বাঁকে!!



_________রিয়া হাবিব

তোমায় পেয়ে দেখেছিলাম
কত রঙীন স্বপ্ন ,
ছেড়ে তুমি আজ চলে যাওয়ায়
হল সবই ভগ্ন ।
তোমায় নিয়ে ভেসেছিলাম সহজিয়া অনুরাগে ,
তোমায় ছাড়া একা আমি-
দুঃখ নিলে না তো ভাগে ।
একে অপরের ছিলাম মোরা
ছিল একদিন ,
চোখের জলে ভাসিয়ে দিলাম সুখের সেই দিন ।
তোমার সুরে সুর মিলিয়ে গেয়েছিলাম কত গান ,
একা একা আজ শত গানেও পেলাম না সেই তান ।
সেই দিন আর তোমার মনে থাকবে নাকো হায় !
এই কথা ভেবে সারা আমি
পলে পলে মরে যাই ।

স্বপ্ন দেখিয়েছিলে তুমি,
ভুলিলে তা কেমনে -
এখন আমার দৃষ্টি শুধুই
ওই মেঘপানে ।
বুকের এ বিষজ্বালা যে
আমার একার নয় ,
হাজার লোকের বুকের জ্বালা
যেন আমার বিশ্বময় ।
গ্রীষ্মের দাহে মরুভূমির বুকে
তৃষ্না স্বরূপ আমি ,
থাকবো শুধু বৃষ্টির আশায়
সাথে অন্তর্যামী ।
বলবো কথা তারই সাথে
একমনে দিন গুনে ,
পাবকের দিকে ধাইলি ও তুই
না জেনেশুনে ।
পতঙ্গ রূপ রঙ্গে ধেয়ে তুই
পড়লি দাবানলে -
পড়লি চেতন হয়ে অচেতন,
ও তুই উঠবি কোন কূলে ?


_________Gaffar Ansary

Tuesday, August 23, 2011


আমি একটি গ্রামিন বালিকাকে চিনতুম
নাম তার সুরলা
সুরলাদের বাড়ির পথ দিয়েই আমাদের বাড়ি
যেতে হতো
আমি যখন ওদের বাড়ির পথদিয়ে হাঠতুম
ও আমাকে দেখেই দেৌড়ে বাড়ির ভিতর
চলে যেত
শুধু আমাকে দেখলেই ঐ রকম করতো

আমাকে দেখে খুব লজ্জা পেত !
কখনো বুঝিনি ওর কি এত লজ্জা ?
কেনই বা লজ্জা হতো ?

এর পর অনেকদিন চলে গেল
আমিও গ্রাম থেকে শহরে চলে
আসলুম

আট বছর পর যখন একই পথ দিয়ে
হাঠতে ছিলুম
একজন নারী দেখলুম পুকুরের পাড়
একা বসে রয়েছে
না , চিনতে ভুল হয়নি ওই সেই
বালিকা সুরলা
আজ কত বড় হয়েছে !
সুরলা এক দৃস্টিতে পুকুরের জলের
দিগে চেয়ে রয়েছে

আমি যখন ওর কাছা কছি চলে আসলুম
সুরলা আমার দিগে একবার তাকিয়ে
আবার সে পুকুরের জলের দিগে চেয়ে
রইলো

সুরলার দিগে চেয়ে বুঝলুম ওর মুখে
সেই বালিকার রুপ নাই যে আমাকে
দেখে দেৌড়দিয়ে ঘরে চলে যাবে
ওকে দেখে বুঝাযায় ওর চোখে
কি যেন বিষন্নতা খেলা করছে
তাই এক দৃস্টিতে জলের দিগে
চেয়ে থাকা

_____মানুষ আজিজ
উন্মত্ত যৌবনের শূণ্য তীরে
বেঁধেছ তুমি দূর্ভেদ্য নীড়ে
হাজার রমনীর বৃহৎ ভীড়ে
মোনালিসা হয়ে এসেছ ফিরে
দেখাচ্ছ নতুন স্বপ্ন জীবনকে ঘিরে
ঐশ্বরিয়া হয়ে কেন রয়েছ দূরে?
অপলক চোখের চাহনি ছেড়ে
আসবে কী তুমি আমার ঘরে?
চল না, ডেটিং করতে সবুজ চরে
স্বপ্ন নয় আসলের ভালোবাসা জনম ভরে
চাঁদের আলোয় সাগরের তীরে
হারিয়ে যাবো মোরা তারার ভীড়ে
কখনো কী ভালোবাসবে এমন করে?
পূর্ণিমার রাতে নদীর ধারে
ঝাউবনের ফাঁকে লুকোচুরি করে
হাঁটবো দুজন দুটি পথ ধরে
ধলপ্রহরের আগে আসবো ফিরে
দুজনের গড়া ভালোবাসার নীড়ে
কখনো কী বাঁধবে আমায় প্রীতি-স্নেহ ডোরে?
সর্বক্ষণ এ প্রশ্ন আমার মনে আসে ফিরে ফিরে।

________পানির কল,চট্টগ্রাম

বৃষ্টি তুমি কি আমার বন্ধু হবে,
কৃত্রিমতার ছাপ মুছিয়ে দেবে?
আমি এখন বুঝি কত সহজে মনের কথা বলা যায়....
কি সহজ করে- টুপটুপ শব্দে
অবলীলায় মনের কথা বলে যাও
কোন সংশয়, কোন দ্বিধা নেই।
বৃষ্টি আমি কি কখনো
তোমার মত সহজে দুঃখ প্রকাশ করতে পারবো?
বৃষ্টি আমি সঙ্গ চাই তোমার
আমি সহজ হতে চাই।
বৃষ্টি তুমি কি আমায় সঙ্গ দেবে?


আমার হৃদয়ের যত আবর্জনা,
কুসংস্কার, জঞ্জাল, ময়লা
তুমি ধুয়ে নেবে....
সাথে ধুয়ে দেবে আমার ভাবনা গুলোকে
ওরা পবিত্র হতে চায়!
বৃষ্টি তুমি এত সহজ কেন?
কাঁদার ইচ্ছে হলে সময়ে- অসময়ে কাঁদো
পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়ের মতো- অভিমানে।
কই আমি তো দুঃখে অভিমানে, ক্রোধে পাথর হয়ে যাচ্ছি,
কাঁদতে চেয়েও জোর করে সামান্য কান্না আসে না।
তবে কাঁদাতে পারি আমি!
বৃষ্টি তুমি কি আমার বন্ধু হবে?
বৃষ্টি তোমার কাছ থেকে কান্না শিখবো
কৃত্রিমতা বর্জিত ভালোবাসা তোমার
কত সহজ সরল কথা বলো
অভিমান করো,
আর অভিমান শেষে রোদের কাছে আত্মসমর্পন করো।
বৃষ্টি আমি ভালোবাসতে চাই
তোমার ভালোবাসা চাই
বৃষ্টি তুমি কি আমায় ভালোবাসা দেবে?
বৃষ্টি তুমি কি আমার বন্ধু হবে?

________রিয়া হাবিব

একদিন আমিও ছিলাম এই পৃথিবীতে
ভালোবাসতাম ঘাস ফুল, সুবর্ণ সকাল
শিশিরে সতেজ সবুজ মুগ্ধ বনানী, নদী
পাখির কূজন; এসব এপিটাকে লিখে
বন্দী করো না আমাকে কখনো কেউ।

তোমাদের কেউ ছিলাম না এই আমি
কোথা থেকে হঠাৎ এসেছিলাম একদিন
আবার হঠাৎই ফিরে যাবো সব ছেড়ে!
এসব এপিটাফ কী করে রাখবে ধরে?

সমাধি পাথরে লেখা আকুতি মুছে যাবে
পাথর খয়ে খয়ে নিশ্চিহ্ন হবেই একদিন,
তবু আমার ভেতরই রয়ে যাবো এই আমি
এপিটাফে লিখে শোধ হয় কি কোন ঋণ!

তোমাতে আমাতে খুব মিল, এই যেমন
আমার মত হারিয়ে যাবে তুমিও একদিন!

Sunday, August 21, 2011


হয়তো সময় থমকে গেছে-
তোমার যাওয়ার সাথে সাথে,
তাইতো আমি তেমনই আছি-
যেমন ছিলাম শেষ দেখাতে।

আজো আমি হাতড়ে বেড়াই-
ফেলে আসা দিনগুলোকে,
তুমি কতো দিব্যি আছো-
মহারাণীর মতো সুখে।

তোমার সুখেই সুখ খুজেছি-
তাইতো আজো বেঁচে থাকা,
বলবোনা আর ফিরে দেখো-
তুমিহীনা জীবন কেমন ফাঁকা।

আজো যেমন মধ্যরাতে-
লাফিয়ে উঠি হকচকিয়ে,
ভাবি তুমি পাশেই বসে-
দিচ্ছ মাথায় হাত বুলিয়ে।

এই জনমে হয়নি পাওয়া-
পরজনমে যেন পাই,
ভালো থেকো সুখে থেকো-
যেখানে থাকো যেমনটাই।

Saturday, August 20, 2011

স্বপ্নের পৃথিবী


আমার নিজের কল্পনার পৃথিবীতে
আমি নিজেই অস্তিত্বহীন
তোর উপস্থিতি ছাড়া ।
তোর আপনার গড়া ধরিত্রীতে
আমার স্থান নেই ভাবিব কেমনে
তোর হৃদয় কি এত নিষ্ঠুরতায় ভরা ?

আমার মনে নেই কোন সূদুরে
আমি স্বপ্ন দেখেছি
তোর আগমনী গান ছাড়া !
তোর স্বপ্নে আমি রইনি কোনদিন
জানিব কেমনে
তোর স্বপ্ন এত পাষান করে গড়া ?

জানিব কেমনে তোর স্বপ্নের পৃথিবীতে
স্বপ্নাতুর চোখে
ভাসে অন্যের ছবি ?
আমি তো কভু মানিনা এ কথা
যদিও বিশ্বাসযোগ্য হয়
পশ্চিমে ওঠে রবি !

বাস্তবের পৃথিবীতে না হোক
স্বপ্নের পৃথিবীতে
যায়গা দিস মোরে
আমার স্বপ্নের পৃথিবীতো
সেই কবেই
উম্মুক্ত করেছি তোর তরে ।

মনে হয় ,
তুই আমার ধরায় চিরদিন
স্বপ্ন হয়েই রবি
তোর তরে তাই সৃজন করে যাই
স্বপ্নের পৃথিবী ।

গোধূলী এখনও হয়নি বিলীন
... ... নামেনি তো ঠিক সন্ধ্যে;
ক্লান্ত আমি স্নিগ্ধতায়; শ্রান্ত ভালো-মন্দে।

মরা ঘাসে গোধূলী আলো ঝিকমিক করে
এই অবেলায় কেন এলে-
... ... ডুববে সূর্য একটু পরে।


ভাবনার অতলে নীল পেয়ালা; ডুব দেয় তাতে মন
অনুভব করি রক্তে শিহরন; কেমন যেন লাগে এখন!
প্রতিশোধ নিতে জাগে সাধ
তুমি ত্বর সইছো না আবার
সইতে পারছো না বাঁধ।
কে শুরু করবে আগে কথার মালা
... কার নিভবে আগে অন্তর্জ্বালা।
কার পেয়ালায় পড়বে মধু, কার পেয়ালায় খুন
কার জীবনে আসবে বসন্ত গাইবে কোকিল গুনগুন।


ছিঁড়ে যাক গতির সূতো; এসো মুখোমুখি হই
শেষ বোঝাপড়া হয়ে যাক বন্ধন থেকে মুক্ত হই।
আসুক আরেক জন্মতিথি
... একা থাকবো; থাকবো নির্জন
হবে ভালোবাসার পুনঃবিভাজন ।।

Thursday, August 18, 2011


ভালোবাসা মানে কি???
ফুটন্ত গোলাপের ছড়িয়ে থাকা
লাল পাপড়ির সুবাস??
নাকি, শুকিয়ে যাওয়া এক নীল পদ্ম???
ভালোবাসা মানে কি???
চৈতের খরতাপে পুড়ে যাওয়া একটি মন
নাকি, শ্রাবনে রিমঝিম বৃষ্টির সুর???

ভালোবাসা মানে কি???
পৌষের শীতের সকাল কুয়াশা ঢাকা দিন
নাকি, হিমেল হাওয়ায় বুলিয়ে যাওয়া একটি পরশ???

ভালোবাসা মানে কি???
বসন্তে কোকিলের কুহুতান,
চারিদিকে সুবাসিত অজস্র ফুলের মেলা
নাকি, গ্রীস্মের তাপে চৌচির হয়ে যাওয়া একটি হৃদয়??

ভালোবাসা মানে কি???
তোমার জন্য আজীবন আমার অপেক্ষার পালা
নাকি, তোমাকে মনে করে গোপনে চোখের জল ফেলা??
বলে যাবে কি এসে শেষবার, আসলেই ভালোবাসা মানে কি?

Wednesday, August 17, 2011


কোন এক কালে বিকালের রোদ্দুর
উঁকি দিয়েছিল মোর দুয়ারে
পুলকিত করেছিল খুব যতনে।

সেদিন থেকে শুরু হয়েছিল
ভালবাসার কাল গণনা-

অবশেষে শরতের
কোন এক বিকেলে-
প্রেম এসেছিল গোপনে
কাল গণনায়...
আমার প্রেমের বয়স
তখন ছিল মাত্র ছত্রিশ'শ সেকেণ্ড।

তারপর প্রেম লালন করেছি
শীত,বৃষ্টি আর তপ্ত রোদের
দহন থেকে....
কাউকে ছুঁয়েই দেখতে দেইনি।

অত:পর
অ-নে-ক বছর পর
বুঝলাম
প্রেম খেলা করেছিল
শুধু এই দু'টি চোখে
খেলাতে পারেনি প্রেম
অন্য কারো চোখে।

Tuesday, August 16, 2011


কোনো একজন যাকে বুঝতে আমার ভুল হয়
কোনো একজন যাকে চিনতে আমার ভুল হয়,
সে অজস্র দৃশ্যের মাঝে নৈঃশব্দ্যে খেলা করে
তাকে চিনতে আমার ভালোলাগে;
তাকে বুঝতে আমার ভালোলাগে
ভালোলাগে
স্তব্ধতার মন যখন দক্ষিণমুখী হয়ে
অপূর্ব এক ভরাট চোখে আমায় দেখে;
হয়তো আমার ছবি
হয়তো আমার প্রোফাইলটি
আমরা মুখোমুখি কেউ কাউকে দেখিনি
সভ্যভব্য মানুষের মতো
আমাদের কথা হয় ইন্টারনেটে,
আমার ইচ্ছা হয়
হৃৎপিণ্ডের ধ্বনির প্রাচীর ভেঙে
ছুটে যাই তার কাছে,
আমার অবহেলিত অবাধ জীবন
কাঁটায় কাঁটায় বাঁধা পড়ে
আর এ প্রাচীর ভেঙে
যেতে পারিনা কোনো মতে

______ওমর ফারুক

Monday, August 15, 2011


স্বপ্নগুলো বুনে দিলাম
দিগন্তের ঐ পাখায় ;
আদরগুলো লেগে থাকুক
হাজার চুমোর শাখায় ;
নশ্বর এ পৃথিবীতে আর ক’টা দিনই বা বাকি ?
স্মৃতি হাতরে দেখবে যখন সকলই ছিল ফাঁকি ।
আমার কথা পরলে মনে
আকাশ পাণে চেয়ে
হাত বাড়িয়ে চেয়ে নিয়ো
দহনের গান গেয়ে ।।

মাঝ রাত্রিরে জাগবো আমি
দিগন্তের ঐ শাখায়
চোখ বুজলে পাবেআমায়
ফেলে রাখা স্মৃতির পাখায় ।

নিশীথ রাত বাঁশ পাতার ফাঁকে লাজুক একাদশীর দেখী
তার বিরহে, স্বাক্ষী থেকো তোমরা ও ফুল ও ফল ও নিশাচর পাখি।
আমি ভেবে পাইনা আগা-মাথা, এদিকে সেদিকে অযথা হাটা-হাটি
অসহ্য অনল ধিক-ধিক সদা মনের মাঝে, নির্ঘুম ক্লান্ত চোখ দুটি।
বুঝিনি আজও ভালবাসার একোন পরিণতি, না পারলাম শত্রু হতে
না পারলাম বন্ধু হয়ে পাশে বসে রাখতে চখে-চোখ হাত তার হাতে !
কুল-মান হারা অসামাজিক বক-প্রেমিক, শুনি ঝিঁ ঝিঁ পোকার গান
নিশীথ বিষাদী গুঞ্জন শেষে কানে আসে ভেসে মোয়াজ্জিনের আজান।
আমায় ফাঁকি দিয়ে সময়ের অনুগামী প্রতারিণী চাঁদও হারায়
আসলে আমরা কেহ কারও নয় কিন্তু আমরা সবার সবায় !
পাখি ডাকে কলরব তুলে ঘোষনা করে নতুন দিনের শুভ সূচনা,
আলো ফোঁটে পুবের আকাশে তবুও হয়না শেষ অনর্থক ভাবনা!

Sunday, August 14, 2011


আকাশ ভরা ঘন কাল
গুচ্ছ মেঘের ভেলা;
বন্ধুবিহীন জীবন কাঁদায়
আজ এ বিকেল বেলা।

দক্ষিiণ হাওয়া শিষ দিয়েছে
ঘাস-পাতা-ধান জুড়ে;
আমরা দু’জন হাত ধরে সেই
হারিয়ে যেতাম দূরে।

জমিয়ে রাখা মনের কথা
গল্প দারুন হত;
স্মৃতিগুলো অতীত হয়ে
লুকায় ইচ্ছেমত।

হঠাৎ করে আজ এ দিনে
সেসব পড়ে মনে;
স্বপ্নগুলো ডাক দিয়ে যায়
দিব্যি প্রতি ক্ষণে।

Saturday, August 13, 2011


অনেকদিন হলো গভীর রাতের আকাশে
রুপালি চাঁদ দেখা হয় নি;
যেতে পারি নি বস্তির ভাসমান সব মানুষের কাছে,
জীবনের গভীর সঞ্চরণে বাস্তব রূপ জেগে ওঠে
অনন্যসাধারণ হতে পারি নি।
আমার নৈর্ব্যক্তিক ভাবনা গুলো জেগে ওঠে
মুহূর্তের মুখে বলে উঠে সত্যের স্তরে,
তোমাদের জন্য আমরা
কী করতে পেরেছি?
কী করতে পারি নি!

আজো স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারি নি
নিশ্চিত করতে পারি নি;
বাসযোগ্য ভবিষ্যত পৃথিবী।
আমারা আজো তোমাদের
ভালোবাসতে পারি নি,
পারি নি তোমাদের মুখে
দু’বেলা ভাতের ব্যবস্থা করতে,
পারি নি রক্ষা করতে তোমাদের সম্ভ্রম।

জাগতিক ভাবনায় আর ক্ষমতার মোহে
তোমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি;
তোমাদেরকে ব্যবহার করেছি
কল্যাণ করতে পারি নি।

অনেকদিন হলো গভীর রাতের আকাশে
রুপালি চাঁদ দেখা হয় নি;
আমার চেতনাগত দিক
থেমে যায় বলে,
আমি নিজেকে প্রশ্ন করি
আমার বাংলাদেশের দুঃখ কী?
কতবার দেখেছি বাংলার লাঞ্চিত দৃশ্যগুলি
বেদনার ইতিহাস হয়ে হয়ে
কালে কালে দৃশ্যের আড়ালে
হরিয়াল গানের মতোই অকাতরে
হরিয়ে গেছে।

অনেকদিন হলো গভীর রাতের আকাশে
রুপালি চাঁদ দেখা হয় নি,
রুপালি চাঁদ দেখা হয় নি।


____ওমর ফারুক

ও চাঁদ তুমি মেঘের আড়ালে লুকিয়ো না
আলো ছড়াও অবিরল,
তুমি আড়াল হলে আমি দিকভ্রান্ত হব
আঁধারে ঢেকে যাবো
মুখ থুবড়ে পড়বো পথের উপর।

ও চাঁদ ঘন-কালো মেঘে ডাকা পড়ো না
আমাকে আঁধারে রেখো না,
ঢাকা পড়লে প্লাবনের আশংকায় ডুবি
তুমি আড়াল হলে ভাঙ্গনের শব্দ শুনি
তুমি আড়াল হলে তীর হারা হব।

ও চাঁদ দৃষ্টির সীমা ছেড়ে যেয়ো না
সারা রাত জেগে থাকো,
তা না হলে আমি অন্ধ হয়ে যাবো
যন্ত্রণায় ধুকে ধুকে মরবো
তুমি কিভাবে নিজেকে ক্ষমা করবে?

গেল বছরের বর্ষা থেকে শুরু
তারপর আবেগী মেঘে ভেসে
গেল শরৎ-
সাদা চাদর মুড়িয়ে হেমন্ত গেল
আমাকে ঋণী করে-
তারপর অনেক কথা,অনেক স্বপ্ন
এবং বাস্তবতার পর
কৃষ্ণচূড়া লাল হল আবার
মেঘগুলো বৃষ্টি ঝরালো
তোমার টিনের চালে।
এবার বল.....
কি ভাবলে তুমি ?
ভাবলাম....
তোমার আবেগ বেশী
ভালবাসা যাবে হয়ত
কিন্তু ঘর বাঁধা যাবে না।

তোমার জীবনে আমি ছিলাম
অনেক খানি জুড়ে,
তারই মধ্যে কবিতা কখন
ঢুকলো তোমার মনে।
কবিতা যখন ভরালো
তোমার সমস্তটা মন।
আমিও হলাম তোমার সাথী
কবিতা পাশে নিয়ে।
একি যাদু করলে তুমি
আমার গভীর মনে,
যেটা শুধু ব্যস্ত ছিল
তোমার সুখের সনে।
তুমি যখন চলে গেলে
চিরকালের তরে।
দিয়ে গেলে কবিতা গুলো
আমার সঙ্গী করে।
তোমার স্মৃতি ,তোমার খাতা,
তোমার লেখা,এরাই রইল
আমার হয়ে বাকী জীবন ধরে।

Friday, August 12, 2011


আমি হয়েছিলাম তোর
সবটুকুই তোর,
তুই হোসনি কখনোই আমার
আমাদের তাই এক আকাশে উড়া হয়নি।

পুড়িয়েছিলাম আমার মন
অনন্ত অনলে,
সেই আগুনে পুড়াসনি তুই
তোর জলে ভেজা মন
তাই জ্বলেনি দাবানল।

গহীন অধরে ডুব দিতে চেয়েছিলাম কতবার
তুই চাসনি ডুবতে
আমাদের জলে ভাসা হয়নি,
যুগল পদ্ম হয়ে উঠা হয়নি আমাদের।

আমার কিছুই তোর হয়নি কোনদিন
আমার কিছুই তুই তোর নিজের করে নিসনি
তাইতো পুর্বসম একা আমি
অনন্ত আধাঁরে নিরুদ্দেশের যাত্রী;

মায়াবতী মেঘের ছায়া
সরে গেছে সেই কবে কোন দূরে
আমার আসমানে একলা চিল শুধু উড়ে ~

_____নীলসাধু

আমি যেন কেমন হেরে গিয়েছি
হারিয়ে দিয়েছো তুমি;
আক্ষেপে মন টুকরো নীলাকাশে
উড়িয়ে দিয়েছি আমি-

ভালোবাসা আজ খেয়ালী রূমাল
ফোটা ফোটা জল মুছে,
ভালোবাসা এক নকশী কাঁথা
সূতো ছিল না সূঁচে!

ভালোবাসা আজ ঝরাপাতা এক
উড়তেই থাকে সারা দিনমান-
ভালোবাসা এক ফ্রেমের ছবি
নজরকাড়া তবু কঠিন পরান!

ভাঙ্গাচোরা জীবন নিয়ে দীর্ঘপথ
কতটা কষ্টে হেঁটে এসেছি আমি
তবু যেন পুড়ে গেছি
ছাই - অঙ্গার করেছ তুমি~

____ইন্টারনেট থেকে নেয়া

Thursday, August 11, 2011


আমার চিরচেনা জগতের মাঝে দেখি আমি
ভালবাসার রূপ ভেঙে ভেঙে;
প্রেমের ফুলে ফুলে রঙিন হয়ে হয়ে যেন সব
জীবন মৃত্যুর মাঝে বেঁচে থাকে অনন্তকালে;
দিনের শুভ্রতাকে রাতের গভীরতাকে, মেপে
অনেক হয়েছি ক্লান্ত;
তাই পৃথিবীর সুখে, আমি সুখী হতে চাই না।


রাতের গভীর চাঁদে পাহাড়ের ছায়ামূর্তি দেখি,
দেখে মনে হয় আমি সেখানেই আছি;
আমার চিরচেনা জগতের মাঝে হয়তো
সন্ধ্যার হাওয়া বয়ে আবিরের রঙে মিশে মিশে
সকালের রোদ্দুরে পবিত্র হয়ে হয়তো
নতুন জীবনের পথে,
তুলশী পাতার মতোই
আবার এ ভালবাসা জয়ী হয়েছে।
পবিত্র ইচ্ছার কাছে সৎ কর্মই আসল।
যে আমায় ভালবাসে;
গুণবিচারে সেই আমার ভুল ধরে,
আমি ভালবাসি তারে,
ভালবেসে যেতে চাই অনন্তকালে।


তুমি নেই সবকিছু তাই এক অন্তর্ভেদী শূন্যতার একান্ত প্রতীক।
যেন তুমি নেই বলে ইহ পরকালে কখনো কিছুই থাকবে না -
বর্তমান ভবিষ্যৎ এবং অতীত।
ভরে যাবে যেন এক শব্দহীনতার অসহ্য সংগীত।
তুমি নেই বলে, জ্বলবে না আলো, উড়বে না পাখি…….
দিঘির কালো জলে পুষ্পিত হবে না সেই রক্তমাখা পদ্মের শরীর
বিরহ ভিষন খেলা অন্তর্ভেদী রক্ত মাংস এবং বধির।
যেন এক দীর্ঘ হাহাকার মৃত্যুর অধিক যেন অবিরাম ক্ষুধা সর্বগ্রাসী
নিষ্ঠুর থাবার নিচে যেন এক সম্পন্ন বসুধা -
লন্ডভন্ড পড়ে আছে পত্র পুষ্পহীন।
ধরিত্রীর যত শ্যামলিমা নিমিষে উধাও।
ভষ্মিভূত প্রান্তরের যেন কোন সীমা পরিসীমা নেই।
যেন সব কিছু বিবর্ন বিস্বাদ।
এক যন্ত্রনার ক্রমাগত ছায়া প্রসারিত জীবনে মরনে।
বিরহ নিশ্চল এক অন্তরীক্ষ তার গতিময় কায়া।
তুমি নেই বলে………..
কাল মহাকাল জ্বলে ছারখার প্রতিদিন নিজেরী অনলে

Wednesday, August 10, 2011


চলেই যদি যাবে তুমি,
কেন এলে হৃদয়ে।
বিষাদের সেই কাঁটাটা নিয়ে,
সেধিয়ে দিলে অন্তরে।

ভুলেই যদি যাবে তুমি,
কষ্ট কেন দিলে।
দুঃখের এই নোনা জলে,
ছেড়ে চলে গেলে।

উড়ে চলে গেলে তুমি,
আমায় একা ফেলে।
মাঝ পথের এই আঁধারে,
স্বপ্ন দিলে ভেঙে।

আমায় মনে করো তুমি,
যদি কোনো প্রহরে।
দেখবে আমি দাঁড়িয়ে পাশে,
তোমার পানে চেয়ে।

কাটাতে হবে সারাটি জীবন,
তোমার স্মৃতি নিয়ে।
যদি পারো মনে রেখো,
নিঃস্ব মানুষটিকে।

কেন তুমি কালো মেঘের ওড়নায় বেঁধেছো দু চোখ
..... ..... ..... অন্ধকারের উৎস-
তুমি কি তবে সৌন্দর্য চিনতে পারোনি
..... ..... ..... জোৎস্না আলোক!


কেন তুমি জোনাকিকে জানাওনি শেষ বিদায়
..... ..... ..... সায়াহ্নে ঝরে পাপড়ি-
তুমি কি তবে দীর্ঘ পথ চলতে চাওনি
..... ..... ..... পুষ্প সৌন্দর্য!

Tuesday, August 9, 2011


রাতের অন্ধকারে ঝুরঝুর বৃষ্টির ধ্বনিরা যখন,
খেলা করে চেনা জানা প্রকৃতির মাঝে
মেঘ রৌদ্রের খেলা হয়তো শেষ হয়েছে, অনেক আগে,
সোনালি মুখের প্রান্তে অনিশ্চিত হাতে, কোনো এক
যৌবনের খেলোয়াড়ি উৎসাহে মেতেছে,
পাপের অস্তিত্ব দীর্ঘ হয়েছে আর, তাই
নেশার ঘোরে রুবাইয়াৎ পড়ে পড়ে
ঈশ্বর পোষণ করে, নিজের মাঝে নিজে,
তার ভাবনা করুণ হয়ে হয়ে যেন সব, মিথ্যে
আর্ত শব্দের মাঝে খেলা করে,
আমার করুণা হয়, আমার করুণা হয়।


গভীর নলকূপের জলে আর
শিশিরের জলো বিন্দুর মাঝে
অস্তিত্ব মিশেছে, খুঁজে পাই
খুঁজে পাই তার ভাবনার জগৎ হয়তো
বিলীন করতে গিয়ে বিলীন হয়েছি নিজে,
তবুও থেমে থাকতে চাই না এখানে,
সাদা কালো ছায়া গুলো, নরম শীতলে
হাজার বছর শুধু হৃদয় হতে হৃদয়ে
জন্মান্তরে খেলা করে
হয়তো প্রকৃতি আর মানুষের খেলা গুলো
অতৃপ্ত হয়ে হয়ে এভাবেই খেলা করে।


বন্ধু হল ভোরের আলো, বিশাল নীল আকাশ
ভালবাসার উষ্ণতায় স্নিগ্ধ সুবাতাস।
বুকের মাঝে চাপা ব্যথা, একটু অভিমান
ফেলে আসা অতীতে মনের পিছুটান।

বন্ধু নিয়ে হাজার কথা হাজার অনুভূতি
বহুদিন পথচলার পর মধুর পরিণতি।
প্রাণের বন্ধু অল্প হলেও প্রাণের মাঝেই রবে
বন্ধুকে নিয়ে ছড়াটাকে ছোট্ট করি তবে-

বন্ধু হল কাছের কাছের মানুষ কখনও জীবনসাথী
হাসি আর আনন্দে তুমুল মাতামাতি।
কখনও বা ভুল বুঝে কষ্ট দেয় বুকে
বন্ধুর কাছেই পাই সমাধান থাকি মহাসুখে।


কোন এক মেঘাচ্ছন্ন বৃষ্টিস্নাত দিনে
আমি, এলোকেশে দাড়িয়ে ছিলাম বারান্দায়
তুমি দূর থেকে মুগ্ধ হয়ে বলেছিলে
বাহ্ কি সুন্দর!
আমি লজ্জায় লাল হয়ে জানতে চেয়েছিলাম-কে ??
তুমি লাজে রাঙ্গা হয়ে বলেছিলে-এই মেঘ আর বৃষ্টি।

এরপরে, হাতে হাতে রেখে,
আমি আর তুমি কাটিয়েছি
কতো গুলো দিন, কতোগুলো শ্রাবন,
কাটিয়েছি কতো একান্ত মুর্হুত।

এখন তুমি নেই, চলে গেছো বহুদূরে
হয়তো ভুলে গেছো সব স্মৃতি,
মুছে দিয়েছো আমাকে তোমার মন থেকে
শুধু কি তবে আমি মনে রেখেছি সব মুহুর্তগুলোকে?।

আজ ,আবার এই মেঘাচ্ছন্ন বৃষ্টিস্নাত দিনে
ছড়িয়ে এলোকেশ ,দাঁড়ালাম বারান্দায়,
পাল্টে গেছে সেই দিন, পাল্টে গেছে সেই মুহুর্ত
তবু মনে পরে তোমার লাজে রাঙ্গা সেই উত্তর
বাহ্ ! কি সুন্দর
এই মেঘ আর বৃষ্টি।।



Monday, August 8, 2011


বিনম্র ভঙ্গিতে বিষন্ন চিত্তে
দাড়িয়ে থাকো তুমি কে,
চোখ মেলে চেয়ে দেখো ইচ্ছেমতো আঁকো
বেলা বয়ে যায় যে,
কিছু বলতে চাইলে বলে দাও
হতে পারে এ প্রহর শেষ দেখা,
তুমি যেভাবে ইচ্ছে নাচাও
মুছবেনা যা আছে মনে আঁকা,
কত শত মন ভাঙ্গে গড়ে আবার নতুন করে,
নতুন আলোয় পথ দেখা নতুন কোন ভোরে....
অপ্রকৃতস্থ আমি যখন পথে নামি
খেয়ালের দরজা খুলে,
মনের কথকতা নীরব বিষন্নতা
সবকিছু যাও ভুলে,
একটা জীবনে কতোটা প্রহর
এক প্রহরে কত জীবন,
না কাটুক তোমার আশার ঘোর
না লাগুক মনে কাঁপন,
কত শত মন ভাঙ্গে গড়ে আবার নতুন করে,
নতুন আলোয় পথ দেখা নতুন কোন ভোরে....