আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি॥ ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি॥ কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো— কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে। মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো, মরি হায়, হায় রে— মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি॥ তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিলে রে, তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি। তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে, মরি হায়, হায় রে— তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি॥ ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে, সারা দিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে, তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে, মরি হায়, হায় রে— ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, ও মা, তোমার রাখাল তোমার চাষি॥ ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে— দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে। ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে, মরি হায়, হায় রে— আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ ব’লে গলার ফাঁসি॥ আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। Lyrics by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Music by: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Saturday, January 21, 2012

নিভৃতে

তুমি কখনো জানোনি
তোমার প্রতি আমার ভালবাসা
বুকের একটি নিদিষ্ট স্থানে জন্ম নিয়ে
স্থির তরঙ্গের মত সেখানেই থেমে গেছে
নিরবে, নিভৃতে ।

জেনেছি শুধু আমি, আমার অস্তিত্ব,
আমার প্রতিটি রক্তবিন্দু সহ্য করেছে
সেই থেমে যাওয়ার কষ্ট ।

হৃৎপিন্ডের চলাচল ব্যাহত হয়েছে,
হয়েছে রক্তক্ষরণ ।
তুমি জানতেও পারোনি,
জানবেও না কোনদিন ।

বাস্তবতায় উদভ্রান্ত আমি, আর আঁচড় কেটো না....

তোমার নিঃসঙ্গতা কি দুর হয়েছে? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে!
মনে আর কোন শব্দ নেই এবার মনে হয় বদলে যাচ্ছি
অভিনয় করতে পারি না,
শব্দো বর্ণের আঘাতেও আমার ভীষণ কষ্ট হয়।
তোমার স্বপ্ন ভঙ্গে নয় বরং নিজের কারণেই
নিজের চাওয়া গুলো কে প্রতিদিন নিজ হাতে হত্যা করে
তারপর নিজ হাতে কবর খুরে দাফন করতে করতে ক্লান্ত আমি।
তোমাকে আনন্দে থাকতে দেখলে আমার কষ্ট হবে না
তোমাকে আমি কখনো পেতে চেয়েছি বা চাইনি
এ নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্ব থেকে মুক্তি আমি পাবো কিনা জানি না।

ভালবাসি তোমার সবুজ মনটাকে, বঞ্চিত কষ্টকে,
আমার ভেতরে সবুজের চাষ করি;
তাই সবুজ বিবর্ণ হতে দেখলে কষ্ট পাই,
তোমার অতীত কষ্ট ইতিহাসের সব ক'টি পাতা যদি-
আমার সবুজ কান্না দিয়ে ধুয়ে দিতে পারলে প্রজাপতি হতাম,
অকূলপাথার ভালবাসা তোমার জন্য কান পেতে উচ্ছ্বাস শোন
জেনে রাখো অক্ষতা আমার ভালবাসার মানদণ্ড নয়;
বাস্তবতায় উদভ্রান্ত আমি, আর আঁচড় কেটো না....

জানো !

কিছু বিমুর্ত স্মৃতি দিয়ে
তাসের ঘর সাজাই নিয়তই
কাশফুল ছোঁয়ার সামান্য অনুভূতির
বিশাল উপলব্ধি নিয়র পার করতে পারি সমগ্র
যৌবন ,জানো তুমি !

আকাশের নীল ধার করে মেটাতে পারি
তোমার শাড়ি দেখবার অর্বাচীন ঋণটুকু ।
জানো না তুমি! বেদনার সুখ দিচ্ছি
এক যুগ থেকে !

জানো নি তুমি ! ভালোবাসি শব্দটা না শুনেও
ভালোবাসা শব্দটা তুলে রেখেছি তোমার জন্য ।
হা হা হা আমি এখন অট্টহাসিতে ভাঙ্গতে পারি
কতগুলো বিলাসী বয়াম
এটাও জানলে না তুমি !

জ্যোৎস্না ও অগ্ন্যুৎপাত

তোমার ফর্দ গুনে গুনে আমি শুদ্ধ হবো ।
গণনা-হীন বলি দেব এক একটা স্বপ্ন
মন্ত্র আর আরতির মাঝ খানে ।
জীবনের জঙ্গল-গন্ধ অন্ধকারে -
সুখ বিসর্জনের তুমুল উল্লাস ।
জেনে রাখ ! ভালোবাসি ।

স্মৃতির লম্বা পেরেক ঠুকে ঠুকে
শুয়ে থাকি রক্তপাতের ভেতর ,
দিকপাল ক্ষমতা-লোভীদের মতন
প্রতিযোগিতা নেই দখলদারিত্বের ,
জ্যোৎস্না ও অগ্ন্যুৎপাতে আমি সমান্তরাল
জেনে রাখ পুরুষ ! ভালোবাসি ।

পাঁজরের খোঁয়াড়ে নিত্যই গুপ্ত হত্যা
নিত্যদিন প্রগলভ নির্বাসন নিজেকেই ।
না আমি লা দিভিনা কোম্মেদিয়া জন্যে -
দান্তের নিজ রক্তে ডুবে থাকা কলম !
কিছুই দেবার নেই তোমার ...দীর্ঘ অপ্রাপ্তির অন্ধকার !
জেনে রাখ ! ভালোবাসি । ।

Friday, January 20, 2012

কষ্টের দিন গুলি

তুমি কি জানো কষ্টের দিনগুলো কতটা নির্মম ?
সময় থমকে যায় দুৎখরা ঘিরে রাখে হরদম
জীবন জড়ায়ে ধরে বিষধর কালপণী
সময়ের ট্রেন চলে বিয়গলের সুরে বয়ে নিয়ে গ্লানী।

জীবনে নেমে আসে অদৃশ্য কুয়াশার জাল
নিঃশ্বাসে বিশ্বাসে মৃত্যূ নেমে আসে ভেঙ্গে যায় হাল
আলোর পথ সেযে কত দূর ডানা মেলে পিপিলিকা
অন্ধকার গিলে খায় এক জোড়া চোখ লাগে বড় একা।

আকাশ হারায় মঘের কাছে মেঘ নামে বৃষ্টি হয়ে
এক ফালি চাঁদ জোত্ছনা হারায় ঝরে পড়ে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
যে জীবন সঁপে ছিল বিশ্বাসে ভালবেসে বেঁধে রাখি
সে ভালবাসা টেনে নিয়ে যায় মৃত্যূর দুয়ারে ডাকি।

প্রেমের দেবী প্রেম দাও মোরে শত প্রাণ আজ রাঙ্গাতে
লৌহ মানবীর পাষাণ বুকের হৃদয়ের দ্বার ভাঙ্গাতে
আজ সব নিষিদ্ধ প্রাণে প্রেমের আলপনা দেব এঁকে
যুগে যুগে সব কবিরা এ প্রেমের জয় গান যাবে লিখে।

নীল তারা

তুমি যেন বহু দূরে এক নীল তারা
বারবার ডেকে যাই,নেই কোন সাড়া
তবু ঠিক রোজ রাতে আঁধারের মাঝে
তুমি মোর শাহজাদা অপরূপ সাজে
চোখে ঢালো আলো সুধা সেই দূর থেকে
অমলিন সুখ পাই এতটুকু দেখে!
তবে যদি কোনদিন মেঘে ঢেকে যায়
ফাঁকা বুকে সাদা বিদ্যুৎ চমকায়
জেনো প্রিয় দূরে এক কিশোরীর বুকে
সেই ক্ষণপ্রভা কাঁপে অনিমিখ দুঃখে
মাঝে থাকে একরাশ গম্ভীর মেঘ
নিদারুন বিষাদিত তপ্ত আবেগ!

লাশ হয়ে ঝুলে থাকি

লাশ হয়ে ঝুলে আছি, হৃদয় ক্ষত বিক্ষত
জীবন সোপানে, ভালবাসার সমুদ্রে ব্যার্থ,
হৃদয়ের আকুতি দিয়ে চেয়েছি তোরে আপন করে
সে স্বপ্নমালা তো মুকুলেই গেছে ঝরে।

স্মৃতির পৃষ্ঠা যেন এক একটা রাত
সে পৃষ্ঠার বুকে থাকে শুধু তোর পদাঘাত,
কল্পবিলাসী আমি, স্বপ্ন ভালবাসি
লাশ হয়ে ঝুলে থাকি ভালবাসার দেয়ালে
যদি ফুল হাতে আসিস তুই আপন খেয়ালে
আজো বুঝতে পারি না তুই কি? শুধুই কল্পবিলাসী??

ভালবাসার এক রঙ্গা ঘুড়ি হয়ে উড়িস তুই নীল বিষাধের আকাশে
কোন সে গরল ছড়িয়ে দিলি তুই আমার বাতাসে?
যে অমৃত সুধা পানে আমি হই বিষে নীল
তুই তো ভাল থাকিস! কত না সাবলীল!
তবে কেন আমি ভাল থাকবো না বল??

আমি তো চেয়েছিলাম ভালবাসার এক রঙ্গা ঘুড়ি হয়ে উড়তে
আমি তো চেয়েছিলাম তোরে জ্যোস্নাতে ভিজাতে
আমি তো চেয়েছিলাম যাব তোরে নিয়ে জ্যোস্না স্নানে
আমি তো চেয়েছিলাম ভালবাসা দেব তোর মনে
আজ আমি ক্লান্ত। খুব ক্লান্ত অশ্রু ক্ষরণে
কেন তুই ফিরে আসিস বার বার স্মরণে
তুই তো ভাল থাকিস! কত না সাবলীল!
তবে কেন আমি ভাল থাকবো না বল??

প্রাপ্তি

চলে যাবার সময় হটাৎ তোমার পিছু ফিরে তাকানো ...
স্পষ্ট দেখতে পেলাম তোমার প্রাপ্তি ... চোখেঁর কোনের চিকচিক জল ।
আর ঘুটঘুটে অন্ধকারের সাথে মিশে যাওয়া তোমার চুল ...
আমাকে নিয়ে গেল দুর থেকে দুরত্বে।
কখনোই অনুভব করি না ...
কষ্টগুলোর অবাধ বিচরন ... যেন তন্দ্রাচ্ছন্ন আমি...
দু'চোখের কোনে জলের অস্তিত্ব নির্বাক...
তাই এখনো খুজে বেরাই ... আমার প্রাপ্তি ।

( গতকাল তোমার মন খারাপ ছিলো ...
যখন শুনলাম ... বুকের ভেতরটা দুমরে মুচরে উঠলো... মনটা তখন থেকেই খারাপ ... মনে হচ্ছিল তোমার মন খারাপের দিনে আমি কেন সেচ্ছাচারির মত ভাল ছিলাম ... তোমার কষ্টটা কেন খোদা আমাকে দিলেন না ...
তোমার মুখের একটু হাসির জন্য আমি হয়তো বিশ্বসংসার তন্য তন্য করে ১০৮টি নীলপদ্ম খুজে আনতে পারবো না ...তবে তোমার মুখের একটু হাসির জন্য রাতের পর রাত ঠায় দাড়িয়ে থাকতে পারবো ....
কোথায় ?
কোথায় আবার ..
জায়গাটা কোথায় বলনি তো এখনো... )

জোনাকি তুমি নেই

তুমি নেই তাই আমি ভালো আছি
আরো কাছাকাছি তুলো মেঘেদের ঘেষাঘেষি গা
ঘাম মেখে নেওয়া ফিরিয়ে দিতে কেউ নেই আর
তুমি নেই তাই করি চিৎকার
ভীষণ খুশিতে তিনফুট লাফ,বৃষ্টির দলে এলোমেলো নাচ
শহরের সব সাদা মেয়েদের চেয়ে চেয়ে দেখি ইচ্ছেমতন
সুযোগ পেলেই রিক্সা আরোহী বড় আপুদের চোখ টিপে দেই
বুক টিপে দেই লোকাল বাসের ব্যস্ত সুযোগে
যা ইচ্ছে তাই লিখতে পারি-বিবেচনাহীন অর্থছাড়া
শ্রাবণের শেষ বাদল ধারায়
ভিজি না এখন;ঘরের ভেতরে কাঁথামুড়ি দিয়ে
প্রবল অলস,ল্যাপটপ খুলে সাদা রমণীর অঙ্ক দেখি
শিল্পের কলঙ্ক দেখি

তুমি নেই তাই রাত হলে কোন ব্যস্ততা নেই
সুযোগ পেলেই
নেটে চ্যাটে বসি খুব সুইট সুইট ছোট আপিদের
সুযোগ পেলেই
খাতা খুলে গুনি দুই তিন তিন-চার দুই এক
তুমি নেই তাই জুতোর ভেতরে জেগেছে পেরেক
দুপুর রোদের এলোমেলো হেটে,কাগজ অফিস
প্রেসের দোকান,সম্পাদকের রাগী ফ্যন্টাসি-মরে গেছে সব।

তুমি নেই তাই তোমার বুকের তীর্থে আমার
মুখ রাখবার অধিকারহীন সময় আমাকে স্বস্তি দিয়েছে

তুমি নেই তাই কোন দায় নেই
দায় এড়াবার কোন বাহানা,বাজে অজুহাত
একা জেগে থাকা বিচ্ছিরি রাত
হঠাৎ হাওয়ায় উড়ে গেছে দূর কর্পুর হয়ে।

তুমি নেই তাই অনেক প্রিয় নিকোটিন চুমু
ইচ্ছে মতন ঠোঁট রাখে ঠোঁটে
লাল লিপস্টিক,লাল ল্যাম্পপোস্ট
ভীষণ সোহাগে মাঝরাত প্রেম একা জেগে উঠে
খুঁজে বের করে খুচরো কয়েন,ব্যবসায়ী লো
খুঁজে বের করে সস্তা বোতল,একলা মাতাল
খিস্তি-খেউর,অশ্লীল হাসি
আর কারা যেন মুঠো করে ভাঙে কাঁচের চুড়ি;-স্বপ্নবদল,
গাঢ় তৃষ্ণায় গলায় ঢালে প্রিয় ফেলিডল!।।


____________-ভুতের আছড়

Sunday, January 8, 2012

কত রাত মদির হইছি~

আসমান জুইড়া যে চাঁন রুপে ঝকমক করতাসে
তার চেয়েও আরো বেশী উজ্জ্বল ঝকমইকা
চুমকী আলো ছড়াইছোস তুই আমার মনে
আমার মনে সারা দিবানিশি জ্বলে এই আগুন
আমি পুড়ি – পুড়ি
আবার পুড়ি,
তবু শুধুই পুড়তে ইচ্ছা করে;
তোর আগুনে পুইড়া মরার স্বাদ হইসে আমার-

তুই যহন প্রত্থমবার শাড়ী পইড়া আইছিলি
দুইজনে নয়াগঞ্জের মেলায় গেসিলাম যেইবার
তহনো এমন লাগসিলো
তোর দিকে চাইতে পারি নাই
মনে হইসিলো সুরুজটা ঠিক মাথার উপর উঠসে
চোখে খালি ধান্ধা;

নদীর ভাঁজে ভাঁজে আমি তোর
গায়ের কামিনী গন্ধ পাই
হেইদিন বেতুসলতার বনে তুই যহন খুব কাছে আইছিলি
ঠিক একই রকম গন্ধে দিনভর মাতাল আমি
কত খেলা খেলি তোর লগে-

________নীলসাধু

Thursday, January 5, 2012

চেয়েছিলাম রোদ্দুর হও...

হৃদয়ের সহজাত লুকোচুরিতে রোদ্দুর হও চেয়েছিলাম ;
সময়ের নীলাভ ঘূর্ণিপাকে তুষার ঝড় হলে
স্তব্ধ পাথর ভেঙে ভেঙে শক্ত সমর্থ ঢেউ হলে
দৃশ্যমান জলরাশি দিগন্তমুখী সমীরণ ছুঁয়ে ছুঁয়ে
সফেদ কাশবনে মৃদু হিল্লোল তুললো কুন্তল রোলে ;
অজস্র প্রবহমান বিভার সঞ্চারী ;
সুষমা মেঘের রূপোলী জল গড়ে গড়ে
অভিমানী দাতাকর্ণ হলে উচ্ছ্বসিত সমুদ্র কোলে ।


চক্রাকারে বাঁধতে চাইলে...

বেলাভুমির নৈশপুরের জলদস্যু হলে
দুর্ধর্ষ শিকারী হলে হরিত বুনো পিঙের ;
তোমার ইচ্ছেমুঠোয় ঝাপাঝাপিতে তার অহর্নিশি
চাইলে অসংখ্য সুরলহরী রিনিঝিনি ঝর্ণা নামাও
স্তব্ধতায় চুপটি করে বসিয়ে রাখো গোধূলিরাঙা চক্ষু নিয়ে;
প্রচণ্ড বাধ্যগত পঙ্খী তোমার; আর
তোমার রহস্যপুরী দুঃসাহসিক সৌন্দর্য দেখে আমি কূল পাইনে ...

___________পাহাড়ী

অপেক্ষা......

undefined


একদিন তোমায় দেখতে গিয়েছিলাম
নির্জন কোন এক জোছনা ভরা রাতে
নির্লজ্জের মত ঘন্টার পড় ঘন্টা দাঁড়িয়ে
তোমার জন্য অপেক্ষা করেছি
তুমি তো পাষানী ছিলেনা !
তাহলে কেন অভিমান করেছিলে ?
তোমার আশায় সেদিন ভোরের রবি দেখেছিলাম
ধলদিঘীর পাড়ে কাটিয়েছিলাম অনেক বেলা
তোমার পথপানে অনন্ত অপেক্ষায়॥


___________জসিমু্দ্দীন মারুফ

'উপহাস..''

undefined

অনেকদিনপর আজ কাদঁলাম্--
নির্বাক চোখে দিগন্তে তাকিয়ে থেকে,
শুধু অশ্রু বর্ষন করলাম!
চিৎকার করে এখন আর কাদঁতে পারি না,
চার বছরের বুনিত স্বপ্নগুলো আজ,এক মুহূর্তের অভিশাপে ভেঙ্গে গেলো।
হাসি পাচ্ছে,নিজের ভাগ্য দেখে পরিহাসের হাসি--
নিজেকে খুব ঘেন্না লাগছে,এতোটা খারাপ আগে কখনো ভাবিনি নিজেকে।
আঠারোতে পা দিয়ে আজ আমি হতবাক!!
কি পেয়েছি নিজের জন্য,কি পাইনি এই ছোট্ট জীবনে..
হিসেব কষতে গিয়ে দেখলাম--
না পাওয়ার পাল্লাটার ভারে আমি মুষরে যাচ্ছি!

এখন আমি জীবন থেকে বিরতি চাই--
হাপিয়ে গেছি,ক্লান্ত হয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ছি বার বার।
এখন আমি স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই,
কেউ স্বপ্ন দেখালে মনে হয় আমাকে নিয়ে ঠাট্টা করছে হয়ত!
হাসি পায়,খুব হাসি পায় নিজের ভাগ্য দেখে!
আঠারোতে দাড়িয়ে পিছন ফিরলে--
সেই ৫/৬ বছরের আমিকে দেখতে পাই,
যে কিনা ছোট্ট ছোট্ট পায়ে আলোকিত করতো ঘর,
যার দু'চোখে ভরা স্বপ্ন শুধুই অনুপ্রেরনা দেয়।
আর সামনে তাকালে বর্বরতায় ভরপুর এক জীবন দেখা যায়,
যে জীবন গ্রাস করে নেয় সব স্বপ্ন!ভয় হয়,ভীষন ভয় হয় আমার!!
আর বর্তমান??হাঃ হাঃ হাঃ হাসি পায়,খুব হাসি পায়
উপহাসের হাসি,নিজের প্রতি ঘেন্না হয়!!


____________ইলা

বাসি ফুলগুলো.....

ফুলদানিতে বাসি ফুলগুলো..
মনে করিয়ে দেয় এই তো সেদিন
ফুলগুলো দিয়ে বলেছিলে.......
হয়ত শুকিয়ে যাবে ফুল,
ঘ্রাণও আর ভেসে বেড়াবে
না বাতাসে।

তবু মনে রেখো এই কথাটি
আমার ভালোবাসা কোনদিন
শুকিয়ে যাবে না, ভালোবাসার
ঘ্রাণও থেকে যাবে চিরকাল
মনে পড়তেই বাসি ফুলগুলোকে
বুকে জড়িয়ে ঘ্রাণ নিতে থাকি.....

________জান্নাতী

কান্না, বৃষ্টি আর একটা প্রজাপতি !

কি আশ্চর্য! তুমি আমাকে মিথ্যে বলেছিলে? তুমি সাদা প্রজাপতি ভালবাসো না?
ওটার শুভ্র ডানার আলতো স্পর্শে তুমি পুলকিত হও না?

আচ্ছা, নিছক এক ডালি মিথ্যে কথার খেয়ায় তুমি আমাকে কেন ভাসিয়ে দিলে? একবারও কি ভেবে দেখছ যে, এই একলা আমি নিঃসঙ্গ তরী টি বাইতে বাইতে অজুত ক্রোশ দূরের কোন সলিল পথের বাঁকে নিতান্তই নিস্তেজ আত্মায় নির্বাক নিরব সুরে নির্মীলিন হয়ে যাবো.. নিরালায় জানবে না কেউ ই !

ইন্দ্রধনুর সাতরাঙা পালক গুলো থেকে বিচ্ছুরিত আলোকের রশ্মি গুলো কখনোই কিন্তু চোখ ধাঁধিয়ে দেয় না.. তারপরও রঙধনুর রূপে নিজেকে রাঙিয়ে তুমি কেমন করে আমাকে গ্রাস করে নিয়েছিলে.. আজও যার সুপ্ত বেদনার সুর হৃদয়ের তানপুরাটায় ক্ষণে ক্ষণে করুণ সুরের মিছিলে বেজে উঠে !

স্তব্ধ এক রাত্রির নিস্তব্ধ মায়ার বুক চিরে হঠাৎ ই তুমি বলেছিলে, “পাশেই আছি”।
কি নির্মম তাই না? এখনও তুমি পাশেই আছ, কিন্তু যার পাশে, সে আমি নই।
শুকনো হাসিতে খিলখিল করে তনু মন তাই উচ্ছ্বল হয়ে উঠতে চাচ্ছে, আচ্ছা আমি কি তাদের বাঁধা দিবো?

অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে তোমাকে পরখ করে নেবার অসম্ভব ক্ষমতা আমি স্রষ্টার কাছ থেকে আদায় করে নিতে পারিনি.. তাই তোমার অন্তরাঙ্গে প্রবেশ করাও আমার আর হয়ে উঠেনি.. বাইরের স্বতঃস্ফূর্ত ভালবাসায় আমি তাই অস্থির হয়েছিলাম.. ভুল করে মিথ্যে মায়ার ধূম্রজালে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছিলাম.. প্রায়শ্চিত্ত কি তবে আমার জন্যই নিশ্চিত নিয়তি !!

হৃদয়ের ভ্রমে ক্রোধ আর উন্নাসিক উগ্রতা না হয় বিসর্জন ই দিলাম.. কিন্তু তোমার মিথ্যে অভিনয় কি কোনদিন ও স্মৃতি থেকে বিসর্জিত হবে?
তুমি জানতে যে আমি সত্যি ই তোমাকে ভালোবাসি, কিন্তু আমি জানতাম না- তুমি আমাকে মিথ্যে ভালোবাসার রাজটীকা পড়িয়ে দিচ্ছো !

তুমি যখন চেয়েছিলে তখন আমি একটা সাদা প্রজাপতি এনেছিলাম তোমার জন্য, ওটা আর তোমাকে দেওয়া হয়নি॥ তুমি কি জান – ওটার ডানা এখন আমার রক্তে অনেক লাল হয়ে গেছে। আমি খুব দুঃখিত, তোমার সাদা প্রজাপতি আর তোমাকে দেওয়া হলো না, তুমি তো লাল প্রজাপতি ঘৃণা করো, তাই না মেয়ে?

____________নিঝুম অরণ্য

Sunday, January 1, 2012

বিবর্তনের পথ

undefined

স্থলচর

অনেক খুঁজেও
কোন রাস্তার দেখা মেলেনা আজ।

কেবলি পথ ভুল হয়ে যায়..
ভুল পথে ধাবমান হই ঝলকানো আলোয়
হুঁশ হারিয়ে ছুটি ত্রস্ত পায়ে
নেশা ধরানো চ্ছটার পিছু পিছু
এক প্যাঁচানো পথে
কাল্পনিক কোন রথে।

বুঝতে পারি, এ জ্বর নয় অন্য কিছু
অন্য কোন শাখাপ্রশাখাময় ভাবনা যতন
ঘিরে আছে ঘোর লাগানো নেশার মতন।

বনভূমে, আমি চলেছি প্রাচীন পথের খোঁজে।
বৈকালিক ছায়ার ছুড়ে দেয়া প্রশ্নের তীরগুলো
সম্ভোগে এক হায়ারোগ্লিফিক্স হয়ে ধরা দেয়
দূরে দূরে উড়ে বেড়ায় অচেনাভাবে
প্রবেশ করতে দেয়না ভেতরে..

বড্ডো আনমনে করে তোলে, ক্বচিৎ দাঁড়ালে
অপসৃয়মান হয়ে জুড়ে বসে ভাবনার আড়ালে।


_______আশরাফুল কবীর

তোমার জন্য...

undefined

আচ্ছা,আমি কথা বলতে গেলে তুমি আমাকে চুপ করিয়ে দাও কেন ......?
উচিত কথা বলি বলে.....নাকি নিস্তব্ধতায় খুঁজে পেতে চাও বলে....?
একেবারেতো মুখে আঙ্গুল দিয়ে,ইশারা করে খুব বলছ চুপ থাকতে....
নাহ,পারবনা চুপ করতে....একশবার কথা বলবো.....
জানি ঘরে ফিরে এলেই রাজ্যের জিজ্ঞাসা নিয়ে এঘর ওঘর করে খুজবে আমায় চোখে এক রাশ আকুতি নিয়ে.....
মুখেতো তোমার কথা ফুটবেনা জানি সেতো আমি ভালো করেই....
খালি পারো আমার সাথেই জেদ দেখাতে...........
আচ্ছা জেদ না হয় কর সে ঠিক আছে.....কিন্তু আমাকে যে ১৫ টা চিঠি লিখার কথা ছিল তা কবে দিবে বলোতো...?
মাত্র তো দিলে ৫ খানা....আরো কি ১০ দিন বসে থাকতে হবে....?
আমি কিন্তু বসে থাকতে পারবনা.....আর কত অপেখ্হা করব বলো...
সারাদিনেত সময় ই দাও না আর রাত্রি তে থাক তুমি ক্লান্ত....
বড্ড ফাকিবাজ হয়ে গেছ তুমি....অলসতায় ও কম যাও না.....
ওহ আরেকটা কথা বলে রাখি.....আমার চুল গুলো কিন্তু দিনে দিনে পাতলা হয়ে যাচ্ছে....বুড়ি হয়ে যাচ্ছি কিনা...
খোপাও করতে পারিনা ঠিক মত....চুলে আটকানো ক্লিপ গলে গলে পরে যায়....
তুমি না বলেছিলে ফুলের মালা কিনে আনবে খোপায় পরাবে বলে....?
দেখো আবার বেলী ফুল কিনে এনোনা কিন্তু.....তীব্র গন্ধে আমার মাথা ধরে যায়...
কাঠালী,হাসনুহেনা হলেই চলবে......ইশ শখ কত গন্ধ নিতে চাও আবার....
কাঠালী,হাস্নুহেনার সুবাসে আমার গন্ধ তুমি আলাদা করে পাবেতো..নাকি বারবার ছল করে বলবে ফুলের গন্ধ আর আমার গন্ধ একাকার হয়ে গেছে....?
ওহ ভালো কথা..তুমি না বলেছিলে গন্ধ নিয়ে তোমার কিসের যেন এক তত্ত্ব আছে তোমার......?
বললেনাত.......বড্ড ফাকিবাজ হয়েছ তুমি....ফসকে ফসকে যাও বারেবারে...

__________মেঘলা_দুপুর